এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে রোববার। এবছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৩২ হাজার ৭২৭ জন।
Published : 08 Feb 2014, 12:39 PM
এর মধ্যে সাত লাখ ৩৩ হাজার ২০২ জন ছাত্র এবং ছয় লাখ ৯৯ হাজার ৫২৫ জন ছাত্রী।
গত বছরের তুলনায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ৫৫৪ জন। গত বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ তিন হাজার ২০৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শনিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পরীক্ষার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা শেষ করতে সব মহলের সহযোগিতাও চেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি জানান, এবার দুই হাজার ৯৪২টি কেন্দ্রে ২৭ হাজার ৪৮৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেবে। গত বছরের থেকে এবার ৪১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ১৮৪টি কেন্দ্র বেড়েছে।
এবার আটটি বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ১০ লাখ ৯০ হাজার ৫৫৫ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে দুই লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৯ জন এবং এসএসসি ভোকেশনালে এক লাখ দুই হাজার ৪২৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে।
৯ ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী ২২ মার্চ পর্ন্ত তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা হবে। আর ২৩ থেকে ২৭ মার্চের মধ্যে শেষ করতে হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “পরীক্ষা শেষে হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ২০ মে’র মধ্যে ফলাফল দিতে পারব। যেন ১ জুলাই শিক্ষার্থীরা কলেজে ভর্তি হতে পারে।”
প্রথম দিন রোববার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত আট বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, সহজ বাংলা প্রথম পত্র এবং বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রথম পত্রের পরীক্ষা রয়েছে।
মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে সকাল ১০টা থেকে কুরআন মাজিদ ও তাজবীদ এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে বাংলা-২ সৃজনশীল পরীক্ষা রয়েছে।
এবার বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র এবং গণিত ছাড়া বাকি ২১টি বিষয়ের পরীক্ষা সৃজনশীল পদ্ধতিতে হবে। সৃজনশীল প্রশ্ন সব বোর্ডে একই হবে। তবে সনাতন প্রশ্নগুলো হবে বিভিন্ন বোর্ডে আলাদা আলাদা।
এবারো দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও সেরিব্রাল পলসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী শ্রুতি লেখক সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবেন। তাদের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা নেয়া ও ফলাফল দেয়ার সময়সীমা নির্ধারিত হয়ে গেছে। তবে এবছর বিশ্ব ইজতেমার কারণে ১ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা না নিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।
পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে সব মহলের সহযোগিতা চেয়ে মন্ত্রী জানান, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
“যে ব্যবস্থা নিয়েছি তাতে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হবে।”
এবারো জনপ্রতিনিধিরা পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে পারবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো শিক্ষকও এবার মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে পারবেন না।
তবে কেন্দ্র সচিব মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন বলে জানান নাহিদ।
শিক্ষাসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসলিমা বেগম, মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিয়া প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।