এক বছর ধরে একটা ঝর্নার মিথ শুনছিলাম। এদিকেই কোথাও লুকানো আছে। কিন্তু স্থানীয় কেউ ই সঠিক লোকেশন টা বলতে পারছিলো না। এত ঘন জঙল যে কেউ এই পাহাড়ের ঢালে যায় না। শুধুমাত্র সাহসী শিকারীরা যায় মাঝে মাঝে বুনো শুকর বা হরিন শিকার করতে। এমনই এক শিকারীকে সেদিন পেয়ে গিয়েছিলাম। হাজার বার রিকুয়েষ্ট করেও তাকে সঙ্গে নিতে পারলাম না। (এতদিন ধারনা ছিল, আমার রিকুয়েষ্ট গুলা বেশ ভয়াবহ লেভেলের হয়-কেউ ফেলতে পারে না)।
তবে উনি গাছের ডাল দিয়ে মাটিতে একটা নকশা একে দেন। ম্যাপ এর আগা মাথা কিছু বুঝি নাই। শুধু একটা কথা মাথায় গেঁথে গিয়েছিল- সব কয়টা পাহাড়ের খাঁজ ডানে মোড় নিবে। এরপর শুরু হল এক অমানুষিক এক্সপিডিশন। এই পাহাড়ের ডাউন ট্রেইল, আবার আপ ট্রেইল, ঝিড়ির ট্রেইল, হাজার হাজার জোকের ট্রেইল, খাড়া খাড়া জুমের ট্রেইল, ৪-৫ বছর আগের জুমের জংলি ট্রেইল। যাদের এই সৌভাগ্য/দূর্ভাগ্য হয়েছে তারা বুঝবেন পুরান জুম কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি?? ভর দুপুরে জংলি কলা বাগানের পাহাড়ে রাস্তা হারিয়ে ফেললাম। ডানে তো যাব পরে, মোড়ই তো খুঁজে পাইনা।
অবস্থা এমন হয়েছে যে ফেরার রাস্তাও খুঁজে পাচ্ছিনা। ডানে মোড়ের মায়রে বাপ বলে মাথা থেকে সব ম্যাপ ট্যাপ ঝেড়ে ফেললাম। পাঁচ মিনিট মাথা ঠান্ডা করে ভাবতাম বসলাম। মাইনুল ভাই থেকে শেখা কিছু বেসিক টেকনিক এখন কাজে লাগাতে হবে। ঝর্না থাকলে পাহাড়ের খাঁজ গুলোর ফরমেশন একটু অন্য রকম হবে, সব চেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে ঝিরি ধরে ধরে মেইন স্ট্রিম ফলো করে এগিয়ে যাওয়া। সবকিছু ভুলে আবার ট্রেকিং শুরু করলাম। পুরানো একটা জুমের রাস্তা ফলো করে একটা একটা ঝিড়িতে এসে পরলাম। এই ঝিড়ি টাই কিছুক্ষন পর একটা বড় ঝিড়িতে মিশে গেল। ঘন্টা খানেক পরই কাঙ্খিত সেই গমগমে আওয়াজ কানে আসল। নতুন উদ্যোমে পা চালানো শুরু করলাম। শেষ বিকালের আলোয় এরপর যা দেখলাম- পুরা মাথা নষ্ট। অবাক হয়েছি এর হাইট দেখে।
প্রেজেন্টিং ইউঃ ২৫০+ ফিট উচ্চতার পনি টেইল শেইপের একটা লুকানো ওয়াটার ফল।
বান্দরবান।
আলোচিত ব্লগ
মাটির কাছে যেতেই..
মাটির কাছে
যেতেই..
ঠিক যেন
খা খা রোদ্দুর চারদিকে
চৈত্রের দাবদাহ দাবানলে
জ্বলে জ্বলে অঙ্গার ছাই ভস্ম
গোটা প্রান্তর
বন্ধ স্তব্ধ
পাখিদের আনাগোনাও
স্বপ্নবোনা মন আজ
উদাস মরুভূমি
মরা নদীর মত
স্রোতহীন নিস্তেজ-
আজ আর স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
টাকা ভাংতি করার মেশিন দরকার
চলুন আজকে একটা সমস্যার কথা বলি৷ একটা সময় মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা ছিল৷ চাইলেই টাকা ভাংতি পাওয়া যেতো৷ এখন কেউ টাকা ভাংতি দিতে চায়না৷ কারো হাতে অনেক খুচরা টাকা দেখছেন৷ তার... ...বাকিটুকু পড়ুন
বেলা বয়ে যায়
সূর্যটা বলছে সকাল
অথছ আমার সন্ধ্যা
টের পেলামনা কবে কখন
ফুটেছে রজনীগন্ধ্যা।
বাতাসে কবে মিলিয়ে গেছে
গোলাপ গোলাপ গন্ধ
ছুটেছি কেবল ছুটেছি কোথায়?
পথ হারিয়ে অন্ধ।
সূর্যটা কাল উঠবে আবার
আবারো হবে সকাল
পাকা চুল ধবল সকলি
দেখছি... ...বাকিটুকু পড়ুন
পর্ণআসক্ত সেকুলার ঢাবি অধ্যাপকের কি আর হিজাব পছন্দ হবে!
ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তায় অনুষ্ঠিত একটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশি নারীদের একটা রোবোটিক্স টিম। এই খবর শেয়ার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা। সেখানে কমেন্ট করে বসেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়
কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়
আমার বাবা-কাকারা সর্বমোট সাত ভাই, আর ফুফু দুইজন। সবমিলিয়ে নয়জন। একজন নাকি জন্মের পর মারা গিয়েছেন। এ কথা বলাই বাহুল্য যে, আমার পিতামহ কামেল লোক ছিলেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন