somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রাচীন পৃথিবী

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পৃথিবী। ১০,০০০ বছর পূর্বে....…...আমাদের প্রাচীন পূর্বপুরুষরা আড়াই মিলিয়ন বছর ধরে গুহায় বসবাস করছিলেন। পাথরে পাথর ঘষে সময় অতিবাহিত করছিলেন। তারপর, হটাত করে সবকিছু পাল্টে গেল। এবং সারা পৃথিবীতে মানুষ আতিকায় সব দৈত্যাকৃতির ভাস্কর্য তৈরি করা শুরু করলো। (যেমনঃ ) কিন্তু কিভাবে এবং কেন? এটা মানবের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রহস্য। কিন্তু সবার জন্য নয়।

Chariots Of Gods গ্রন্থের লেখক Eric Von Danikan বলেন, - হাজার হাজার বছর আগে, যখন আমাদের পূর্বপুরুষরা ছিলেন প্রাচীন স্টোন এইজ মানুষ, তখন ভিনগ্রহের উন্নত বুদ্ধিমত্তার প্রাণীরা পৃথিবীতে এসেছিল।

একজন ইউফোলোজিস্ট বলেছেন- ‘প্রাচীন মানুষের এই ভাস্কর্য বানানোর না ছিল সেই বুদ্ধিমত্তা, না ছিল সেই প্রযুক্তি। তাই এটা তাদের দ্বারা অসম্ভব।‘

সারা পৃথিবী জুরে আছে এমন বিশাল বিশাল পাথরের ভাস্কর্য। প্রায় সবাই জানে, তারা আমাদের প্রাচীন পূর্বপুরুষদের দ্বারা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু যদি এমন হয়, তাদের সবার ধারনা ভুল?
সাধারন ইতিহাসের বইয়ের মতে, পিরামিড এবং স্টোনহেঞ্জ এর মতো কীর্তিগুলো
মানব প্রকৌশলের সাফল্য। যা আমাদের সভ্যতার সূচনাকে চিহ্নিত করে রেখেছে।

কিন্তু আদৌ কি তাই? মানুষ পৃথিবীতে আছে কমপক্ষে ১০০ হাজার বছরের মতো। আর মাত্র কয়েক হাজার বছর আগে তারা গুহা থেকে বের হয়ে এসেই এত বড় বড় ভাস্কর্য বানিয়ে ফেললো? তাই এখানে রহস্য থেকে যায়, কিভাবে তারা এতো বড় বড় পাথরের ভাস্কর্য বানালো এবং কেন? বিজ্ঞানীরা এটা নিয়ে ধাঁধার মধ্যে আছে। আজ পর্যন্ত এটার কোণ ব্যাখ্যা বিজ্ঞানীরা দিতে পারেনি।

ইউফোলজিস্টরা বিশ্বাস করেন, অতীতে এলিয়েনরা পৃথিবীতে তাদের Super Advanced Technology নিয়ে এসেছিল এবং পিরামিডের মতো অন্যান্য ভাস্কর্যগুলো বানিয়ে আমাদের
অতীত সভ্যতার দ্বার খুলে বর্তমান সভ্যতার জন্য একটি চিন্তার বীজ বপন করে রেখে গিয়েছিল।

প্রাচীন এই ভাস্কর্যগুলোর অনেকগুলোর মধ্যে একেকটা পাথরের ওজন ৫০-৭০ টনেরও বেশি। এবং বেসির ভাগ ক্ষেত্রে এদের আনা হয়েছে এক থেকে দেড়শ মাইল দূর থেকে। কোণ কোন ক্ষেত্রে চার-সারে চারশো মাইল দূর থেকে। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ার দূরত্বও চারশো মাইল না। প্রশ্ন হচ্ছে, প্রাচীন মানুষরা যারা কোণ Howard University গ্র্যাজুয়েট না, তাদের মাথায় এমন চিন্তা আসলো কিভাবে? আর কোণ প্রযুক্তির মাধ্যমে তারা এই অসাধ্য সাধন করলো? আর কেনইবা?

ইংল্যান্ডের Stonehenge এর কথাই ধরি। কিভাবে Bronze Age ব্রিটিশরা ৫ টনেরও বেশি ওজনের একেকটা পাথর ২৭০ মাইল দূর থেকে নিয়ে আসলো? তারপর আসে সবচেয়ে বড় ধাঁধা। মিসরের পিরামিড। The biggest one required 2 and half million box of stones. যা বানাতে মাত্র বিশ বছর সময় লেগেছে। যা জ্যামিতিক ভাবে চিন্তা করলে আশ্চর্য হতে হয়। তারপর আসে পিরামিডের মমি। যা আজকে জানিয়ারি ৩০, ২০১৩ তে পৃথিবীর সবচে বড় বড় ক্যামিস্টের পক্ষেও সম্ভব না কোণ প্রযুক্তি ছাড়া একটা মৃতদেহকে হাজার হাজার বছর সংরক্ষন করা। আধুনিক যুগে ফ্রিজের ভিতরে বিজ্ঞানীরা মৃতদেহ সংরক্ষন করে। কিন্তু যদি বিদ্যুৎ না থাকে, তাহলে সেটা কয়েকদিন থাকবে, পরে পচে যাবে। আর পিরামিড, যেটা আধুনিক বিশ্বের অর্থাৎ আজকের দিনের যে i-technology-র পৃথিবীর, সমস্ত পৃথিবীর সমস্ত ভারি-ভারি যন্ত্রপাতি দিয়েও হয়ত এমন একটা পিরামিড তৈরি করতে পারবেনা। আর যদিও পারে, তা ২০ বছরে সম্ভব হবেনা। তাও যদি বা সম্ভব হয়, সেই সৃষ্টি হবে পূর্ববর্তী পিরামিডের নকল। কিন্তু তারা তো আমাদের নকল করে বানায় নি। তারা একটা অভিনব সৃষ্টি করেছে। তাছারাও বাগদাদে পাওয়া গেছে এক ধরনের পট/ছোট মাটির মাত্র, যা কিনা আধুনিক যুগের ব্যাটারির অবিকল। শুধুমাত্র ভিনেগার ঢেলে এক বিজ্ঞানী তাতে উৎপাদন করেছেন ২০ ভোল্ট কারেন্ট। আর পিরামিডের ভিতরে দেয়ালের গায়ে আঁকা আছে হেলিকপ্টার। কিন্তু এই মহান জ্ঞ্যান সেই গুহা থেকে সদ্য আগত অসভ্য মানুষদের মাথায় কিভাবে আসলো? তিন হাজার বছর আগের মানুষ এই জ্ঞ্যান কোথা থেকে পেল?

তার এক মাত্র উত্তর এটাই হয়ত হতে পারে। এলিয়েন ভিজিটেসন।
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রোড জ্যাম ইন ভিয়েতনাম

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭



আমার ধারনা ছিল জটিল জ্যাম শুধু বাংলাদেশেই লাগে । কিন্তু আমার ধারনা ভুল ছিল । ভিয়েতনামে এরকম জটিলতর জ্যাম নিত্য দিনের ঘটনা । ছবিটি খেয়াল করলে দেখবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!

লিখেছেন মাঈনউদ্দিন মইনুল, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬



এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×