নেটওয়ার্কঃ ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের যেমন অনেক বন্ধু-বান্ধব থাকে, এটির তেমন বিভিন্ন নেটওয়ার্কের সাথে বন্ধুত্ব আছে। ২জি থেকে শুরু করে ৪জি (LTE) পর্যন্ত তার অবাধ বিচরণ। তাই সহজেই যেকোন স্থানে ব্যবহার করা যায়, যে কোন অবস্থানে এমনকি পানির নিচেও ব্যবহার করা যায় যদি নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়। মাইক্রো-সিম তার পছন্দের জিনিস। এই জিনিসের সাথে সে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
শারীরিক গঠন: যদিও পূর্বেই এই বর্ণনা দিয়েছি। এবার পুঙ্খানুপুঙখভাবে দিচ্ছি। ১৩৯মিমি*৭১মিমি*৭.৯মিমি (৫.৪৭ * ২.৮০ * ০.৩১ ইঞ্চি) দেখছেন, কতো স্লিম বডি!!! ওজনটাও মোটামুটি কম আছে মাত্র ১৪৬ গ্রাম। শুনেছি এই সেটে নাকি পানি ঢুকে না আর গায়ে ময়লাও লাগে না। ১মিটার পানির নিচে ৩০ মিনিট সদর্পে অবস্থান করতে পারে।
ডিসপ্লে: টিএফটি ক্যাপাসিটিভ টাচ স্ক্রিণ, ১৬মিলিয়ন কালারস, ১০৮০ x ১৯২০ পিক্সেল, ৫.০ ইঞ্চি ডিসপ্লে (-৪৪১ পিপিআই পিক্সেল ডেনসিটি), মাল্টিটাচ - ১০ আংগুল পর্যন্ত (এই বিষয়টা আমি বুঝি নাই), শাটারপ্রুফ এবং দাগ পড়ে না এমন গ্লাস, সনি ব্র্যাভিয়া ইঞ্জিন ২।
মেমোরি: মাইক্রো এসডি আপটু ৬৪জিবি; ইন্টারনাল ১৬ জিবি, ২জিবি র্যাম (ওই বেটা, রেম লিখলে এমন করস কেন??)।
ডাটা:
জিপিআরএস-১০৭কেবিপিএস, ইডিজিই-২৯৬কেবিপিএস,
স্পিড-HSDPA-42MBps, HSUPA-5.8MBps, LTE Cat3-50MBps UL, 100MBps Dl.
WLAN-Wifi 802.11 a/b/g/n, Wi-Fi direct, DLNA, Wi-fi hotspot.
ক্যামেরা: পিছনেরটা - ১৩.১ মেগা.পি (৪১২৮ x ৩০৯৬ পিক্সেল), অটোফোকাস, এলইডি ফ্লাশ, + সনি ক্যামেরার সুবিধাসমুহ।
সামনেরটা: ২.২মেগা.পি ১০৮০পি @৩০এফপিএস।
ফিচারস: এন্ড্রয়েড জেলিবীন ৪.১.২ অপা.সিস্টেম, ভি৪.৩ জেলিবীন, ভি৪.৪ কিটক্যাট এ আপগ্রেড করা যাবে।
চিপসেট: Qualcomm MDM9215M / APQ8064
সিপিউ: Quad-core 1.5Ghz Krait; জিপিউ: Adreno 320
ব্রাউজার: HTML 5.0 কালার: ব্ল্যাক, হোয়াইট, পার্পল।
গান-টান, ভিডিও-টিডিও ভালোই চলে। ডকুমেন্ট দেখার সুবিধা, স্টিল ছবি দেখা বা এডিট করার সুবিধা আছে এই ফোনে।
ব্যাটারী: মাইরালছে আমারে!!! এইখানেই কবি ধরা খাইছে!!! মাত্র ২৩৩০মিলি এম্পিয়ার আওয়ার ব্যাটারী এই সেটে সংযুক্ত করেছে সনি। যা খুবই দ্রুত শেষ হয়ে যায়। কমপক্ষে ৩০০০মিএআ করা দরকার ছিলো। আর এটা নন রিমুভএবল ব্যাটারি। হালারা আমগো কত্ত ঝামেলায় ফালাইছে। ব্যাটারী শেষ তো সেট এর ব্যবহার ও শেষ।
ছবি, ভিডিও কিন্তু সেইরাম হয়। সেইরাম পরিস্কার। আমি অধম এই মালখান কিনছি। কিন্তু মালে আমারে সমস্যায় রাখছে। ওয়াটার প্রুফ বলে মালের নাক-কান সব বন্ধ করা। যার ফলে সেট প্রচুর গরম হয়ে যায় আধা ঘন্টা ব্যবহার করলেই। চার্জার, ইউএসবি বা হেড ফোন কানকশান দিতে গেলে নাক কানের পর্দা সরাইতে হয়। আমার হাতের নখই প্রায় নষ্ট হইয়া গেছে সেটের জ্যাকেট খুলতে খুলতে। ব্যাটারীর কথা তো বললামই। দ্রুত নেমে যায়।
তাই মাঝে মাঝে আমার চিতকার করে বলতে ইচ্ছা করে, "দাও ফিরায়ে আমার সেই নকিয়া ১১০০, লও এই ভার্জিন স্মার্ট ফোন।"
ছবি: ফ্রম জিএসএমআরিনা...