somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সেই মেয়েটা!

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ছোট ছিলাম। বয়সও তেমন বেশী ছিলোনা। এই ১২/১৩ হবে। তবে চালু ছিলাম অনেক। বাড়ন্ত বয়সের সাথে চাঞ্চল্য মন আর কৈশোরের দুরন্ত ছুটে চলা একটা ছেলে। যার একেবারে কোথাও বিশ্রাম নিতেই ইচ্ছে করতোনা। শুধুই
উৎফুল্লো থাকতো সারাটা দিন। কখনো মাঠে, কখনো পুকুর কিংবা কখনো বন্ধুদের নিয়ে এ গোলি থেকে ও গোলি! সব খানেই পাওয়া যেতো সেই দুষ্টু ছেলেটাকে। মানে আমাকে। একবারের একটা ঘটনা বলি, একটা মেয়েকে পছন্দ হইছিলো তখন।
শুধু আমার একার নয়, আমি আর নয়ন সহ আমার আরো ৩ টা বন্ধুর! একসঙ্গেই। মেয়েটার বাসা ছিলো আমাদের এলাকা থেকে একটু দূরে। প্রতিদিন সকাল এবং বিকালে আমি নয়ন আর আমার ওই তিন বন্ধু প্রতিদিন একসাথে মেয়েটার বাসার সামনে গিয়ে ফিল্ডিং মারতাম। একটু আড়ালে লুকিয়ে লুকিয়ে ফলো করতাম মেয়েটা কি করছে? আমাদের আবার দেখে না ফেলে! একটা ভয় ভয় কাজ করতো। মেয়েটার বাবা আমাদের জন্য একটু ডিস্টার্ব ছিল। সারাদিন বাড়ির উঠানে বসে থাকতো। তবে কথা ছিলো আমাদের মধ্যে যে, মেয়েটাকে আগে পটাতে পারবে সেই মেয়েটার সঙ্গে প্রেম করবে। সেই শর্ত মোতাবেক প্রতিদিন আমাদের মিশন চলছিল। আমার একটা ছোট "ওয়াকম্যান প্লেয়ার" ছিল। সেটা সাথে করে নিয়ে যেতাম প্রতিদিন। মেয়েটাকে দেখতাম আর গান প্লে করে দিতাম। তবে শুধু একটা গানই প্লে করতাম প্রতিদিন। ওই গানটা তখন খুব ভালো লাগতো। আর গানটাও ছিলো সময়উপযোগি সং। একদিন গানটা ছেড়ে দিয়ে ওর বাসার পাশের মাঠে একটা আড়াল জায়গাতে দাড়িয়ে মেয়েটাকে দেখছি আর গানটা বেশ জোরে সাউণ্ড দিয়ে শুনছি। মেয়েটাকে শোনানোর চেষ্টায় ছিলাম।
গান বাজছে কুমার শানুর,

"আমি ভালোবাসি শুধু একজনকে,
সুন্দর এই পৃথিবীতে।
দোষ কি সে কথা মেনে নিতে...
আমি ভালোবাসি শুধু একজনকে
সুন্দর এই পৃথিবীতে।।

গানটা প্লে করে দিয়ে আমি ফ্রেন্ড ফয়সালের সঙ্গে একটু মজা করছিলাম। মেয়েটার বাবা যে হঠাৎ করে কখন আমাদের পেছনে চলে এসেছিল? ঠিকই পাইনি।
মেয়েটাকে গান শুনানোর চেষ্টা করতে গিয়ে ওর বাবাকেই শুনিয়ে দিলাম। আর ধরাও
খাইলাম। ক্যাসেট প্লেয়ার রেখেই পলাই গেছিলাম! পরে অবশ্যে চুপিচুপি ক্যাসেট প্লেয়ার নেওয়ার জন্য আইছিলাম। কিন্ত অনেক খোঁজাখুঁজি করেও আর পেলাম না!
হইতো মেয়েটার বাবা সেটা নিয়ে গিয়েছিলো। মেয়েটাও হইতো দুই, একবার
গানটা শুনেছিল। জানিনা কি হয়েছিল আমার সে ক্যাসেট প্লেয়ারটার। পরে আর কখনো যাওয়া হইনি সেখানে। তবু স্মৃতিটা এখনো জীবন্ত লাগে।

সেই দিন গুলো!
সেই মেয়েটা!
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০০
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মাটির কাছে যেতেই..

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

মাটির কাছে
যেতেই..


ছবি কৃতজ্ঞতাঃ https://pixabay.com/

ঠিক যেন
খা খা রোদ্দুর চারদিকে
চৈত্রের দাবদাহ দাবানলে
জ্বলে জ্বলে অঙ্গার ছাই ভস্ম
গোটা প্রান্তর
বন্ধ স্তব্ধ
পাখিদের আনাগোনাও

স্বপ্নবোনা মন আজ
উদাস মরুভূমি
মরা নদীর মত
স্রোতহীন নিস্তেজ-
আজ আর স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাকা ভাংতি করার মেশিন দরকার

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:১০

চলুন আজকে একটা সমস্যার কথা বলি৷ একটা সময় মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা ছিল৷ চাইলেই টাকা ভাংতি পাওয়া যেতো৷ এখন কেউ টাকা ভাংতি দিতে চায়না৷ কারো হাতে অনেক খুচরা টাকা দেখছেন৷ তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেলা ব‌য়ে যায়

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩০


সূর্যটা বল‌ছে সকাল
অথছ আমার সন্ধ্যা
টের পেলামনা ক‌বে কখন
ফু‌টে‌ছে রজনীগন্ধ্যা।

বাতা‌সে ক‌বে মি‌লি‌য়ে গে‌ছে
গোলাপ গোলাপ গন্ধ
ছু‌টে‌ছি কেবল ছু‌টে‌ছি কোথায়?
পথ হা‌রি‌য়ে অন্ধ।

সূর্যটা কাল উঠ‌বে আবার
আবা‌রো হ‌বে সকাল
পাকা চু‌ল ধবল সকলি
দেখ‌ছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পর্ণআসক্ত সেকুলার ঢাবি অধ্যাপকের কি আর হিজাব পছন্দ হবে!

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৭



ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তায় অনুষ্ঠিত একটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশি নারীদের একটা রোবোটিক্স টিম। এই খবর শেয়ার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা। সেখানে কমেন্ট করে বসেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:১৪


কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়
আমার বাবা-কাকারা সর্বমোট সাত ভাই, আর ফুফু দুইজন। সবমিলিয়ে নয়জন। একজন নাকি জন্মের পর মারা গিয়েছেন। এ কথা বলাই বাহুল্য যে, আমার পিতামহ কামেল লোক ছিলেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×