----------------- ডঃ রমিত আজাদ
পাতায় পাতায় রঙিন দিনের স্বপ্ন আঁকি
মিষ্টি মাখা মধুর সুরে কোকিল ডাকি
নবীন ফুলের গন্ধ নিয়ে মাতামাতি
শিশির-ঝরা কলমীফুলে হাসির রাশি,
বাতাস যখন আসে ধেয়ে পাশাপাশি,
উতলা মন বুঝতে পারে,
নদীর পারে, বনের ধারে
আসলো হাসি, আসলো ফাগুন,
হাতছানি দেয়, রোদের আগুন,
তীব্র শীতের দুঃখ বিলীন,
বসন্ত দিন, অন্য রঙিন
ফিরে এলো এই সুযোগে,
তোমার শুভ জন্মদিন। ।
প্রিয়তমা!
কখনো কখনো মনে হয়,
ভুলে যাই তোমার জন্মদিন,
কি হবে আর মনে রেখে?
কিন্তু ভোলা হয়না,
ভুলে যেতে দেবেনা বলেই বোধহয়,
মেয়েরা বাসন্তি রঙ শাড়ী পড়ে,
হালকা প্রসাধনে মুখে আনে কোমল স্নিগ্ধতা,
ফাগুনের আগুন রঙে জ্বলে বসন্তের অনল,
উৎসবের মাতামাতিতে, মৃদু হাসির ঝিলিক,
তরুণীদের ঠোট ছুঁয়ে ছড়িয়ে যায়
অজস্র ফুলের পাঁপড়িতে,
ওরা বসন্ত বরণ করে তোমার জন্মদিনে।
আমি
চোখের ভাষায় মনের আকাশ দেখি
নিশব্দে কৃষ্ণচূড়া ঝরে,
বাতাসে দোল খায় বাগান বিলাস,
আমার জীবন আর বর্ণালী নয়,
গানের খাতা মলিন হয়েছে সেই কবে!
ভালোবাসা কেমন সর্বনাশা!
আজ এমন বসন্তে
তুমি পাশে থাকলে,
আমি আরোও উদাস হতাম।
না তুমি পাশে নেই,
তাই বসন্ত উৎসব নয়,
কেবলই বসন্ত দিনের দুঃখ
খুঁজে পাই তোমার জন্মদিনে
শুভ জন্মদিন তোমাকে!
আমার কথা একদম ভেবোনা কিন্তু,
এমন বসন্ত দিনে,
কি হবে অপ্রয়োজনে মনটা খারাপ করে?
দামী ইরেজার দিয়ে মুছে ফেলো স্মৃতি,
অতীত নয়, বর্তমানই সব,
আনন্দে উদ্ভাসিত করে হৃদয়,
দীপ্তিভরা আঁখির কোলে তৃপ্তি নিয়ে,
তুমি বসন্ত বরণ করে নাও আপন সুখে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২৮