ছেলেরা হল সৃষ্টির ত্যাগের এক অপূর্ব মহিমায় ভরপুর! ছোটবেলা থেকেই ত্যাগের অপূর্ব মহিমায় নিজেকে তৈরি করতে শিখে। সৃষ্টির অপার রহস্যের এক অনন্য দৃষ্টান্ত ছেলেরা। ছোট বেলায় নিজেকে না জানার আগেও শিখে নেয় ত্যাগ। স্কুলের টিফিন রেখে দিয়ে ছোট বোনটির মুখে তুলে দেয়। লুকিয়ে লুকিয়ে চকলেট এনে বোনের হাতে ধরিয়ে দেয়। বোনের আবদার রক্ষার জন্য অনেক উঁচু গাছে উঠে আম জাম লিচু পেড়ে আনে। আর মায়ের হাতে মার খেয়ে চুপ করে থাকে। ছোট বোনটি গ্লাস ভেঙ্গে ফেললে তার দ্বায় নিজের উপর নিয়ে নেয়। তবুও সামান্য খুনসুটিতে ভাইটি নির্দয়!
আর একটু বড় হতেই বন্ধুর জন্য,সমাজের জন্য ত্যাগ করতে শিখে। শত দুঃখ কষ্টের মধ্যেও বন্ধুর মুখে হাসি ফুটাতে চায়। মা বাবাকে মিথ্যা বলে বন্ধুর জন্য ছুটে যায় তেপান্তরে। পাড়া পড়শির সমস্যায় দৌড়ে আসে অনায়াসে। মৃত অর্ধ মৃত ব্যক্তিটিকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যায়। রাতের পর রাত জেগে সেবা করে। পাড়ার কোন মেয়েকে কেউ বিরক্ত করলে প্রতিবাদ করে। তবুও সামান্য ভুলে ছেলেটি বখাটে!
মা বাবার কাছ থেকে শত মিথ্যা অজুহাত দিয়ে নেয় কিছু পকেট মানি। দু ক্রোশ পথ হেটে এসে তার প্রেমিকার জন্য ত্যাগ করে। দু মুট খেয়ে জমা করে প্রেমিকাকে কিছু দিবে বলে। নিজের শত অভাবের মধ্যেও বন্ধুর কাছ থেকে হাত পা ধরে ধার করে আনা টাকা দিয়ে প্রেমিকার মুখের হাসি দেখতে চায়। প্রেমিকাকে দেখা পাওয়ার জন্য ছুটে আসে পাগলের মত। প্রেমিকার পছন্দের অপছন্দকে মূল্য দিতে সিগারেট ত্যাগ করে। তবুও সামান্য অপরাধে প্রেমিক স্বার্থপর!
ছেলেটির যৌবন স্ত্রীর জন্য, ছেলে-মেয়ের জন্য বিনা অভিযোগে ত্যাগ করে। মাথার ঘাম পায়ে পেলে দু টাকা রুজি রোজগার করে নিজের জন্য কিছু না রেখে স্ত্রীর প্রয়োজন মেটায়। সন্তানের জন্য ভাল জামা কাপড় কিনে নিয়ে যায়। স্ত্রী সন্তানের নিরাপদ জীবনের জন্য যুদ্ধ করে। শত ব্যস্ততার মধ্যেও স্ত্রী সন্তানের খবরাখবর নেয়। তবুও সামান্য ক্লান্তে স্বামীটি বা বাবা উদাসীন!
ছেলেরা হল পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন এবং ত্যাগে পরিপূর্ণ জীবনের এক অনন্য দৃষ্টান্ত। তারা সৃষ্টির কর্তার দয়ার ও ভালবাসার প্রতিনিধিত্বের প্রতীক।
(আমি এখানে মেয়েদের খাটো করিনি কিছু সত্য বলেছি মাত্র)।