যশোরের চৌগাছা উপজেলায় স্কুল শিক্ষার্থীদের পিকনিকের বাস পুকুরে পড়ে অন্তত সাত শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় অর্ধশত, যাদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
Published : 15 Feb 2014, 08:34 PM
শনিবার রাতে চৌগাছার ঝাউতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুষমা সুলতানা জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, বেনাপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তিনটি বাসে করে সকালে মেহেরপুরের মুজিবনগরে পিকনিকে যায়। ফেরার পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ঝাউতলা ইটভাটার কাছে মাটিবাহী একটি ট্রাককে পাশ কাটাতে গিয়ে একটি বাস পাশের পুকুরে পড়ে।
ঘটনাস্থল তিন শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। আহতদের চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর আরো চার জনের মৃত্যু হয় বলে জানান ইউএনও সুষমা।
বেনাপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাফফর হোসেন জানান, নিহতদের মধ্যে পাঁচজন ছাত্রী, দুজন ছাত্র।
নিহতরা হলেন- রুনা, শান্ত, সুরাইয়া, জেবা, মিতালী ওরফে মিথীলা, আঁখি ও সাব্বির। এদের সবার বয়স সাত থেকে ১০ বছরের মধ্যে।
চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার আওরঙ্গজেব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ ঘটনায় আহত মোট ৪৬ শিক্ষক-শিক্ষার্থী তাদের ওখানে চিকিৎসা নিয়েছেন।
কয়েকজনকে যশোর আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়।
পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল থেকে ১৪ জনকে যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় বলে জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমান জানান।
রাত আড়াইটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছিল।
চৌগাছা থানার ওসি মতিয়ার রহমান বলেন, বাসটি উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে রেকার আনা হয়েছে।
তবে সেখানে আলোর ব্যবস্থা না থাকায় বাস উদ্ধার কাজ ব্যাহত হয় বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় কেউ নিখোঁজ থাকার বিষয়ে তাদের কাছে কোনো খবর নেই বলে জানান ওসি মতিয়ার।
সাত শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করে শিগগিরই ‘যথাযথ’ তদন্ত করে দায়ীদের শাস্তির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বণিক রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নানা ঝামেলায় আজ তদন্ত কমিটি করা হয়নি। তবে আগামীকাল কমিটি করে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে।”