.......শুনেন শুনেন
.........কন্যার বাবা
............শুনেন দিয়ে মন
...............কন্যার জন্য
..................বিয়ের প্রস্তাব আসলে
.....................করবেন কি তখন?
.....প্রাত্র যদি হয় আমেরিকা
......আফ্রিকা-ইউরোপ
.........মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী
............বিয়ে কথা ফাইনাল
..............করার আগে ভাল করে
................খোজ-খবর নেওয়া অতীব জরুরী।
....প্রস্তাব আসা মাত্র
......পাত্র প্রবাসে কি চাকরী করে
.........কোন কোম্পানীতে কাজ করে
...........কত দিন পর দেশে আসতে পারে
..............বিয়ের পরে বউকে কি রাখতে পারবে?
..................এই বিষয়গুলি জানতে হবে।
.....টাকার লোভে পড়ে
.......দালান-কোটা দেখে
..........যাচাই-বাচাই না করে
............কন্যার সাথে আলাপ না করে
..............হুট করে সিন্ধান্ত নিয়ে বিবাহ দিলে
................কন্যার সংসারে শুরু হবে অশান্তি আর অশান্তি।
প্রবাসীদের স্ত্রীদের সুখ-দুঃখের কিছু বাস্তব চিত্র প্রিয় ব্লগারদের পোষ্ট পড়ে জানতে পেরেছি। এই ঘটনাগুলো শুনতে খুব খারাপ লাগে। সবাই শুধুমাত্র প্রবাসীদেরকে দোষারোপ করার চেষ্টা করে। কিন্তু কি কারনে প্রবাসীরা প্রতি বছরের কিছু সময় পরিবারকে দিতে পারে না সেই দিকে কারো খেয়াল নেই।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত এক কোটিরও বেশী প্রবাসীর বেশীর ভাগই শ্রমিক। তারা সামান্য বেতনের চাকরী করে। সাথে পরিবার রাখাতো দুরের কথা অনেক সময় ঠিকমত টাকাও পাঠাতে পারে না। বেশীর ভাগ প্রতিষ্টানে দুই বছরে মাত্র ২ মাসের ছুটি দেয়। যারা সরকারী চাকুরী করে তারা প্রতি বছর মাত্র এক মাসের ছুটি পায়। যারা ব্যবসা করে তাদের কথা আলাদা। যখন খুশী তারা দেশে যেতে পারে। কিন্তু প্রবাসীরে একটি বিরাট অংশ প্রতি বছর ছুটিতে দেশে যেতে পারে না। তাদের পরিবারগুলোতে সমস্যা সৃষ্টি হয়। প্রবাসীর স্ত্রী নেককার হলে স্বামীর জন্য অপেক্ষা করে। দুষ্ট টাইপের হলে যত সব অরাজক কান্ড করে বেড়ায়।
তাই প্রবাসীর উচিত বিয়ে করার আগে সবকিছু পাত্রী পক্ষকে খুলে বলা.......পাত্রীপক্ষের উচিত কন্যার সাথে এই বিষয়ে সরাসরি আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেয়া।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২১