ম্যাককালামের প্রতিরোধে লা-জবাব ভারত

সোমবার ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৩৫২ রানের বিশ্বরেকর্ড গড়ে আউট হন ওয়াটলিং। চতুর্থ দিন মাত্র এই একটি উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৫৭১। হাতে আরো ৪টি উইকেট নিয়ে ভারতের চেয়ে ৩২৫ রানে এগিয়ে আছে তারা। ২৮১ রানে অপরাজিত ম্যাককালামের প্রতিরোধ ও প্রতিআক্রমণে দিশেহারা ভারত এখন উল্টো চলে গেছে ব্যাকফুটে।

আগের দিন ওয়াটলিংকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে ইনিংস পরাজয় এড়িয়েছেন ম্যাককালাম। এরই পথে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শতকটি। সোমবার নিউ জিল্যান্ডের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টানা দ্বিতীয় টেস্টে দ্বি-শতক করে এখন ক্যারিয়ারের প্রথম ত্রি-শতক ছোঁয়ার পথে আছেন কিউই অধিনায়ক।

সোমবার ৬ রানে এগিয়ে ব্যাট করতে নেমে ভারতের বোলারদের একরকম কাঁদিয়েই ছেড়েছে এ জুটি। নিয়মিত বোলারদের দিয়ে কতভাবেই না চেষ্টা করলেন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। এমনকি চা-বিরতির পর বিরাট কোহলির হাতে গ্লাভস দিয়ে বলও হাতে তুলে নিলেন তিনি। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হলো না।

অবশেষে তৃতীয় নতুন বল হাতে পেয়ে ওয়াটলিংকে এলবিডব্লিউ করে ফেরান মোহাম্মদ সামি। ৩৫২ রানে ভাঙে রেকর্ড জুটি। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে এর আগের সর্বোচ্চ ৩৫১ রান করেছিলেন শ্রীলঙ্কার মাহেলা ও প্রসন্ন জয়াবর্ধনে; ২০০৯ সালের নভেম্বরে আহমেদাবাদে এই ভারতের বিরুদ্ধেই।

নিউ জিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৪ রানে পঞ্চম উইকেটের পতনের পর ম্যাককালামের সঙ্গী হয়েছিলেন ওয়াটলিং। ১২৪ রান করে যখন তিনি আউট হলেন স্বাগতিকদের সংগ্রহ তখন ৪৪৬। সবচেয়ে বড় কথা এই রান করতে ৩৬৭ বল মোকাবেলা করেছেন তিনি। আর ম্যাককালামের মতো তিনিও ছাড়িয়ে গেছেন তার আগের সর্বোচ্চ রান।

এরপর উইকেটে নামা অভিষিক্ত জিমি নিশাম ভারতীয় বোলারদের উপর চড়াও হয়ে দ্রুত তুলে নিয়েছেন ৬৭ রান। আর মাঠের নায়ক ম্যাককালাম মাত্র ১৯ রান দূরে প্রথম ত্রি-শতক থেকে। আগের সর্বোচ্চ ২২৫ তো আগেই পেরিয়েছেন। সেটাও করেছিলেন এই ভারতের বিপক্ষেই ২০১০ সালের নভেম্বরে হায়দেরাবাদে।

অকল্যান্ডেও প্রথম টেস্টে ২২৪ রান করে নিউ জিল্যান্ডকে জিতিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন ম্যাককালাম। এখন স্বভাবতই ত্রিশতক করার পরও না হারার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েই ইনিংস ঘোষণা করবেন তিনি। ড্র হলেও যে সিরিজ জিতবে তার দল। অকল্যান্ডে প্রথম টেস্ট জিতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে স্বাগতিকরা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: নিউ জিল্যান্ড: ১৯২ (উইলিয়ামসন ৪৭, নিশাম ৩৩; ইশান্ত শর্মা ৬/৫১, সামি ৪/৭০) ও ৫৭১/৬ (ফুলটন ১, রাদারফোর্ড ৩৫, উইলিয়ামসন ৭, ল্যাথাম ২৯, ম্যাককালাম ২৮১* অ্যান্ডারসন ২, ওয়াটলিং ১২৪, নিশাম ৬৭*; শর্মা ০/১২৪, জহির ৩/১২৯, সামি ২/১৩৬ জাদেজা ১/১০৮, শর্মা ০/৪০, কোহলি ০/১৩, ধোনি ০/৫)

ভারত: ৪৩৮ (ধাওয়ান ৯৮, বিজয় ২, পুজারা ১৯, ইশান্ত শর্মা ২৬, কোহলি ৩৮, রোহিত শর্মা ০, রাহানে ১১৮, ধোনি ৬৮, জাদেজা ২৬, জহির ২২, সামি ০*; সাউদি ৩/৯৩, বোল্ট ৩/৯৯, ওয়াগনার ৩/১০৬, নিশাম ১/৬২)