নির্বাচনে ভোট ‘জালিয়াতির’ প্রতিবাদে ছয় জেলার আট উপজেলায় বৃহস্পতিবার হরতাল ডেকেছে বিএনপি।
Published : 19 Feb 2014, 05:52 PM
এগুলো হলো- মেহেরপুর সদর, ঝিনাইদহের সদর ও শৈলাকুপা, বগুড়ার সোনাতলা, বরিশালের বাকেরগঞ্জ ও গৌরনদী, পাবনার সুজানগর ও সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলা।
বুধবার বিকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, স্থানীয়ভাবে এই হরতাল ডাকা হয়েছে।
বিভিন্ন উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের লোকজন ভোট কেন্দ্র দখল করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “এখনো আমরা সব তথ্য পাইনি। স্থানীয়ভাবে যেসব উপজেলা থেকে খবর আসছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে- ক্ষমতাসীন দল ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনে উৎসাহিত হয়ে উপজেলা নির্বাচনও একতরফাভাবে করছে। বিভিন্ন উপজেলায় কেন্দ্র দখলের নমুনা তার প্রমাণ।”
বিএনপির এই নেতা বলেন, এদিন ৯৭ উপজেলায় ভোট হয়েছে। এর মধ্যে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ, ঢাকার নবাবগঞ্জ, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর ও শিবালয়, বগুড়ার সোনাতলা, সিরাজগঞ্জের সদর ও কাজীপুর, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, বরিশালের গৌরনদী ও বাকেরগঞ্জ, খুলনার দিঘলিয়া, মেহেরপুর সদর, ঝিনাইদহের শৈলকুপা ও সদর, জামালপুরের সরিষাবাড়ি, ভোলার লালমোহন, শরিয়তপুরের গোসাইরহাট, পাবনার সুজানগর প্রভৃতি উপজেলায় আওয়ামী লীগের ‘ক্যাডাররা’ ভোট কেন্দ্র দখল করেছে।
বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেয়া হয় বলেও অভিযোগ তার।
“এর প্রতিবাদে স্থানীয়ভাবে আটটি উপজেলায় বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকা হয়েছে,” বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, “৫ জানুয়ারি নির্বাচনে যে কলঙ্কের তিলক এই সরকার নিজেদের কপালে লেপন করেছে সেই ধারাই উপজেলা নির্বাচনেও তারা অব্যাহত রেখেছে।
“ভোট ছাড়া অটোমেটিক সংসদে অটোমেটিক প্রধানমন্ত্রী আজ অদ্ভূত এক নির্বাচন করলেন।”
সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, বরকত উল্লাহ বুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশীদ, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী আসাদুজ্জামান, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করীম শাহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।