উপজেলা পরিষদের প্রথম দফা নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে নিজেদের সমর্থিত প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়ে ‘একতরফা’ ভোট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
Published : 19 Feb 2014, 01:28 PM
বুধবার সকালে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করে বলেন, “৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনে উৎসাহিত হয়ে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র দখল করে একতরফা ব্যালেট পেপারে সিল দিচ্ছে। প্রথম দফা ভোটের আজ সকাল ১০টার মধ্যে পাবনার সুজানগর, বগুড়ার সোনাতলা, শরীয়তপুরের শিবালয়সহ বিভিন্ন উপজেলায় ভোট কেন্দ্র দখল ও সশস্ত্র ক্যাডারদের মহড়ায় এই দৃশ্য স্পষ্ট হয়ে গেছে।”
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনিটরিং সেলের উদ্যোগে এই সংবাদ ব্রিফিং হয়।
রিজভী অভিযোগ করেন, বগুড়ার সোনাতোলা, পাবনা সুজানগর, মানিকগঞ্জের শিবালয়, ভোলার লালমোহন, শরীয়তপুরের গোসাইরহাট, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, মেহেরপুর সদর, ররিশাল দক্ষিন ঝিনাইদাহের শৈলকুপা, গাজীপুরের কাপাসিয়া, জামালপুরের শরিষাবাড়ি, বরিশাল উত্তর প্রভৃতি উপজেলার অধিকাংশ ভোট কেন্দ্র দখল করে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর এজেন্টদের জোর করে বের করে দেয়া হয়েছে। ভোটারদের মারদোর করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র ক্যাডারা অস্ত্র হাতে ভোট কেন্দ্রে দিচ্ছে।
ভোটাররা ভোট দিতে পারছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, “৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা উৎসাহিত হয়ে এখন উপজেলাও একই কায়দায় কাজ করছে। তাদের গোপন পরিকল্পনা প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে আজকের প্রথম দফার উপজেলা নির্বাচনে।”
উপজেলা নির্বাচনের সময়ে যৌথ বাহিনী দিয়ে বিরোধী দলের ওপর দমনীতি চালাতেই প্রধানমন্ত্রী নিজের হাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রেখে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব।
পরে নয়া পল্টনের কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অভিযোগ করেন, তার ও দলের যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমানের নির্বাচনী এলাকা কেরানীগঞ্জের তিন উপজেলায় দল সমর্থিত প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার চালাতে দেয়া হচ্ছে না। নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার-হয়রানি করা হচ্ছে।