somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অসম্ভবের সাধনা

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমরা সবাই কতো সুন্দর। তাকিয়ে দেখুন নিজ চোখো, অনুভব করুন হৃদয় দিয়ে, ভাবুন নিজমনের ভালো মন্দকে প্রেমের লবণ মাখিয়ে, দেখুন আপনার চোখে সব প্রানবন্ত হয়ে উঠেছে।

আজ আপনাদের প্রতিটা চেহারা গুলো ভাষা হয়ে উঠেছে। কতো যুগের কতো আশা ভরসা, কতো চাওয়া পাওয়া, কত-কিছু আপন মানুষটিকে বলার ছিল। আজও কি তার বুঝতে পারছেন না বন্ধু?

উদাসী বিবাগী মন,
যাচে আজ বাহুর বাঁধন।
কতো জনমের সাঁধন,
ও পায়ে লুটাতে চায়।।


চমকে ওঠে মোর ভুবন,
ও হরিন চোখের চাওয়ায়।।
...............................নজরুল

আপনারা আপনাদের তাওহিদের নৌকায় থাকুন দেখবেন সব ঠিক ঠাক ই আছে। যতো ঝর বাঁধা আসুন তারপরও নিজের প্রেমের মানুষটিকে ডেকে যাবেন- এই হোক আমাদের সাধনা।

আমরা অমর হতে পারি না কেনো জানেন? নিজের প্রেমকে নিজেরা অর্জন করতে গিয়ে তাওহিদের ঈশ্বরকে ভুলে গিয়ে শয়তানের পথে চলে যাই। শয়তান আসে প্রেম হারিয়ে যায়। সেই প্রেম কে খুঁজতে খুঁজতে কখনও হয়রান হয়ে ক্লান্ত হয়ে ঈশ্বরকে ভৎসনা করে, অবহেলা করে কিংবা কেউ শুনতে পাবে না ভেবে মনের ভুলে হলেও, “তাওহিদের রব” এর কাছে বলে রাখি। পরমাত্না তা যন্ত করে রতনের মতো মহাকালে ছেড়ে দেয়। যখন সময় হয় তার প্রতিফলন আসে। এই প্রেম নিবেদন ভাব উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বল তরে নিজেদের মধ্যে ন্যায়সংগত ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখলে আমরা যে, কি অর্জন করতে পারি। তা দয়া করে বুঝে নিবেন। যাকে বলার তার কাছে বলবেন। দেখবেন তিনি তো আপনার অন্তরেই থাকতে ভালোবাসেন।

যারা আজও কাউকে যদি নিজের শত্রু বলে ক্ষমা করতে দিধাবোধ করে থাকেন। তাহলে সেই শত্রু সাহেব কে না মেরে আমাকে শত্রু মনে করে ভেবে দেখুন। তারপর যদি আপনার মন চায় , আমাকে মারতে ইচ্ছে করে মারবেন। এই হোক আপনাদের ন্যায়ের পথে যাত্রা। হোক না একটু সামান্য অহংকার তাতো মানব কল্যানের জন্যই। তাহওহিদ এর আল্লাহ্ সর্বদা ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান করেন।

কেউ না জানলেও আমি বুঝি যে নিজের প্রেমকে হারানো, আপন শয়তানের ওয়াছোওয়াছায় পরে দুরে যাওয়া, অপমৃত্যু বা অন্য কোনো মানব সৃষ্ট কারনে কাউকে হারানো শুধু ক্রধ, রাগ, অহংকার, প্রতিশোধ, খোদার প্রতি অবিশ্বাসরেরই জন্ম দেয়। আমরা যদি হৃদয়ে শয়তান কে জাগতেই না দেই, তাহলে আপনাকে কে জ্বালাতোন করে ঈর্ষার সৃষ্টি করবে বন্ধু?

আজ দেখুন আপনাদের এতো কাছে আপন করে পেয়েও আমি শুধু একটি মানুষ কে কাছে ডেকে ফিরি। সে আমার প্রিয়তমা স্ত্রি মুন। আমরা দু’জন জোড়া আসিফ+মুন। এমন বাঁধর যিষু আপনাদের তাঁর জীবন দিয়ে আপনাদের মাধে প্রতিষ্ঠিত করে গেছে (+) , যে মানবজাতি সেই সময় যদি ইউনিটি হবার ইচ্ছাটুকুকে প্রশয় না দিতো তাহলে আজ আরও অনেক দূরে নিজেদের নিয়ে গিয়ে যিষুকে এতোবড় শাস্তি মাথা পেতে নিতে হতো না। আমার কিছু করার নাই বন্ধু। এ যে স্রষ্টার বিধান আর আল্লাহ্ ই একমাত্র তাওহিদের উপাস্য।

আপনারা সব বোঝেন, জানেন, শিখে নিতে পারবেন তার পরও দু’এক টি ইন্ডিকেট দিয়ে রাখি। নিজগুনে, নিজের মনের মেধা বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে বিচার করে নিবেন।

১। সনাতন ধর্মে মদন কে ভুল করে অনেকে প্রেমের দেবতা ভেবে বসেন। মদন সাহেব আসলে মানুষের কাম কে নিয়ন্ত্রন করার কথা বলেছেন মাত্র। কিন্তু প্রেমের কোনো দেবোতা অর্থাৎ নারী+পুরুষ দু’জন কে দু’জন কাছে পাবার প্রবল ইচ্ছে। যে ইচ্ছে কখনও ফুরায় না। নারী+পুরুষ দু’জন মিলে এক মন হয়ে কাছে পাবার প্রবল ইচ্ছের বিরুদ্ধে শয়তান সাহেবের অবস্থান হওয়ায় তাই প্রেম কে প্রতিষ্ঠিত করার দুঃসাহস সর্বোচ্চ নজরুল আর কিটস খুব বেশী অপরাধ করে নিজেদের সাজা নিজেরা তাওহিদের স্রষ্ট্রা কর্তৃক মাথা পেতে নিয়েছেন। তাই প্রেম প্রতিষ্ঠা করে সাম্য নিয়ে আসার জন্য সব দেবতাই হয়তো মনে মনে এই পৃথিবীতে আসলে প্রবল ভাবে চেষ্টা করেন কিন্তু তারা বিফল হয়ে যান। মনে রাখবেন এক মাত্র ভগবান এক মাত্র উপাস্যক এবং তনি সর্বদা ন্যায়ের পক্ষে। কোনোদিন আপনারা আল্লাহ্ ছাড়া আর কারও কাছে নিজের মনের মানুষকে অন্য কারও কাছে চাইবেন না। একমাত্র তাওহিদের আল্লাহ্ যা বলেন তার ব্যতিক্রম করেন না এবং তিনি ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নাই।

করিমনা কাম ছাড়েনা মদনে,
প্রেম রসিক হবো কেমনে।।
...............................লালন ফকির

২। নিজেরা নিজেদের গোত্র বা অন্য সব মানুষের প্রতি সব সময় একতা করে রাখতে চেষ্টা করবেন। এমন ভাবে থাকবেন যাতে +++++++++++ এরকম। তবে সঁম্পর্কের মধ্যে বিশ্বাস রাখবেন। যদি বিশ্বাসের মধ্যে ফাঁকা থাকে সেই ফাঁকা দিয়ে শয়তান ঢুকতে চাইবে। যখন শয়তান ঢুকতে চাইবে সাথে সাথে শয়তান দমন করতে দ্বিধা বোধ করবেন না। তাহলে দেখবেন আপনারা কতো ভালোভাবে থাকতে পারবেন। এমন করে বাঁচতে জানতে হয়, প্রতিনিয়ত চেষ্টা করতে হয়।

একটি গন্ধমের লাগিয়া,
আল্লাহ্ য় বানাইলো দুনিয়া।
আদম খাইলো আর হাওয়া খাইলো,
ইবলিশ শয়তানে তার আশা পুরাইলো।
.....................................প্রচলিত বঙলা ভাষার লোক গান

এই গন্ধম হইলো প্রেম। এখন এই গানটিকে যদি উল্টিয়ে শয়তানের জায়জায় তাওহিদের আল্লাহ্ কে বুঝতে শিখবেন দেখবেন আপনি থেকেই আল্লাহ্ দিয়ে দিবেন। তাওহিদের আল্লাহ কখনও তার কথার ব্যাতিক্রম করেন না এবং তিনি সর্বদা ন্যায়ের পক্ষে আছেন।

পশু জগত কে সভ্য করিয়া,
নিজেরা আজ বুন মহিষ।।
এই কি প্রেম প্রনয়ন রিতি,’
জংলি, বাঁদর, অলমবুশ!!!

এলো বেহেশত ইনচার্জ ছুটে,
বলে, ও যে বেহেশতী।
উহারে ফেলে দাও ধরনীর বুকে।।
......................................নজরুল

যখন নজরুলকে নিরব হয়ে যাবার ফাইনাল ডিসিসন বা অর্ডার বা কমান্ড দেয়া হয়। তার আগেও ঐ বোকা প্রেমিকটা শুধু এই মানব জাতীর মঙ্গল করতেই চেয়েছিলো। এ কথাটি হয়তো মানুষ বলতে চাইলে বলতে পারে কিন্ত একজন দেবতা বলতে পারে না।

মনে রাখবেন বেহশত এর ইন চার্জ সয়ং তাওহিদের আল্লাহ্ তিনি সর্বপ্রকার ন্যায়বিচারক।

সনতন ধর্মে স্বর্গের দেবতা বা প্রধান হিসেবে ইন্দ্র কে বন্দনা করা হয়। ইন্দ্র আসলে খুব সামান্য ভাবে স্বর্গের দেব দেবীদের সমন্নিত প্রচেষ্টার কথা বলেছিলেন কিন্ত কালের প্রবাহে তা আজ এই বিকৃতি হয়েছে। এমন কি প্রাতিচ্য পুরার সহ প্রধান ও উপ প্রধান প্রতিটি ধর্মই কমবেশী ভুল ভ্রান্তির স্বীকার হয়েছে। এ দ্বায় সয়ং মানুষের কোনো ভাবেই আপানারা আপনাদের তাওহিদের রব কে এজন্য দায়ী করলে ভুল করবেন। আল্লাহ্ তার সৃষ্টির ভালো চান এবং সর্বদা তাদের কল্যানের পথে যাবার জন্য আদেশ প্রদান করেছেন।

আসুন আজ আমরা সবাই এক হয়ে যাই। আপনার মধ্যেই তো আছে সব। আপনার পাশের জনার মন আরো বড় এভাবেই তো আমরা আলাদা থেকেও এক তাওহিদের রবের স্রষ্টির সেরা মানব জাতি।


০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×