জঙ্গিবাদকে বাস্তবতা হিসেবে স্বীকার করে তা মোকাবেলার পথ খুঁজতে একসঙ্গে বসলেন বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা।
Published : 22 Feb 2014, 01:08 PM
নবগঠিত একটি সংগঠনের উদ্যোগে শনিবারের এই গোলটেবিল আলোচনায় জঙ্গি উত্থানের কারণ হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর ‘আপসকামিতার’ দিকটিও উঠে আসে।
সাবেক প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে মানবাধিকার সংগঠক, সাংস্কৃতিক সংগঠক, সাংবাদিক, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ইসলামী দলগুলোর নেতারাও ছিলেন এই বৈঠকে।
ইসলামকে হাতিয়ার বানিয়ে জঙ্গিবাদীদের উত্থানের পেছনে জামায়াতে ইসলামীর ‘ইন্ধনের’ বিষয়টি তুলে ধরা হলে তাতে সমর্থন আসে ইসলামী নেতাদের কণ্ঠেও। জামায়াতের পেছনে পশ্চিমাদের মদদের অভিযোগও আসে।
আল কায়েদার প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরির বাংলাদেশকে হুমকির প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে জঙ্গি দমনের ক্ষেত্রে আইনের শাসনের ব্যত্যয় যেন না ঘটে তার ওপর জোর দিয়ে বলা হয়, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সমস্যার সমাধান হবে না।
বাংলাদেশ সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট আয়োজিত ‘জঙ্গিবাদের হুমকি: বাংলাদেশ ভাবনা’ শীর্ষক এই গোলটেবিলে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের দিকটিও ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানস্থল র্যাডিসন হোটেলে উপস্থিত অর্ধশত আলোচকের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেন দেশের প্রান্তের ছয় জেলার ছয়জন, বিদেশে থেকেও আলোচনায় যোগ দেন কয়েকজন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নিয়ে জঙ্গিবাদের উত্থানের কারণ অনুসন্ধান করে তা মোকাবেলায় নিজেদের পথ খোঁজার পরামর্শ দেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক।
ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলসহ সর্বোচ্চ আদালতে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি রায়দানকারী বিচারক সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে এই ধরনের গোলটেবিলে এই অনুষ্ঠানেই প্রথম দেখা গেল।
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সমাধান হবে না বলে তার মতকে সমর্থন জানান মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাও।
মূলধারার রাজনীতিকদের অনুপস্থিতিতে গোলটেবিল বৈঠকে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে জঙ্গি উত্থানের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর আপসকামিতাকে দায়ী করেন আইন শালিস কেন্দ্রের প্রধান সুলতানা কামাল।
“৭৫ পরবর্তী সময়ে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল নিজেদের স্বার্থে জঙ্গিবাদী শক্তির সঙ্গে আপস করেছে”- তার এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত জানান টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।
ভিডিও লিংকের মাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে তিনিও বলেন, “এ দেশের দুই থেকে তিন শতাংশের বেশি মানুষ ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোকে সমর্থন করে না বলে জানি। তবে ক্ষমতার রাজনীতির সুযোগ নিয়ে তাদের উত্থান হচ্ছে।”
দৈনিক সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার রাজনীতিকদের সতর্ক করে এক্ষেত্রে পাকিস্তানের পরিণতি স্মরণ করিয়ে দেন।
“এক সময় পাকিস্তান দুধ-কলা দিয়ে যে সাপ পুষেছে, এখন তা-ই তাদের দংশন করছে।”
সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন জঙ্গিবাদ নির্মূলকে ‘জাতীয় সমস্যা’ ভেবে তা মোকাবেলায় রাজনৈতিক মতভেদ কাটিয়ে ওঠার পরামর্শ দেন।
তবে জঙ্গি দমন অভিযানে রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপির বিরোধিতার দিকে ইঙ্গিত করেন ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক শাহরিয়ার কবির।
তিনি বলেন, “জঙ্গিবাদ ইস্যুতে কেবল ব্লেইম গেইম দেয়া ঠিক হবে না। ‘আল কায়েদা দমনের কথা বলে বিরোধী দল দমনের চেষ্টা করা হচ্ছে’- এমন দাবি করে বরং আল কায়েদাকে উৎসাহিত করা হবে।”
বৈঠকের প্রারম্ভিক বক্তব্যে আয়োজক সংগঠনের পক্ষে অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবদুর রশিদ জানান, বাংলাদেশে ৪০টির মতো জঙ্গি সংগঠন ক্রিয়াশীল। জঙ্গিবাদের কারণে এই পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট ২২ হাজার ৭০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত কয়েক বছরে হিন্দুদের ৩০০টি মন্দির, ৫০০টি বাড়ি এবং ২০০ দোকান ভাংচুর করা হয়েছে।
“স্বাধীনতার এত বছর পরও মাদ্রাসায় জাতীয় পতাকা কেন ওঠে না, কেন জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় না, তা জানতে হবে,” বলেন বাংলাদেশ সম্মিলিত ইসলামী জোটের সভাপতি মাওলানা জিয়াউল আহসান।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এম আমীর-উল ইসলাম ভিডিও লিংকের মাধ্যমে এই আলোচনায় অংশ নেন।
অধ্যাপক জিল্লুর রহমান খান, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সরোয়ার আলী, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক আব্দুল মান্নান খান, অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, খুশি কবির, সাদেকা হালিম, রোকেয়া কবীর, আবেদ খান, নঈম নিজাম, আলী যাকের, বদিউল আলম মজুমদার, অ্যাডভোকেট জেয়াদ আল মালুম আলোচনায় অংশ নেন।
আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশের প্রথম সেনাপ্রধান কেএম সফিউল্লাহ, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ইশহাক এলাহী চৌধুরী, ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।
ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোতাওয়াক্কি বিল্লাহ রব্বানী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
এই আয়োজনে অন্যতম মিডিয়া পার্টনার ছিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
‘গবেষণা প্রয়োজন’
বিচারপতি খায়রুল হক বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের বাস্তবতা স্বীকার করে তা সমাধানে নিজেদেরই পথ খোঁজার ওপর গুরুত্ব দেন।
“পৃথিবীতে কোনো ধর্ম জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে না। তাহলে কিভাবে জঙ্গিবাদের সঙ্গে ধর্ম আসে, তা খতিয়ে দেখতে হবে।”
ব্যারিস্টার আমীর জঙ্গিবাদকে সমকালীন বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণের পরামর্শ দিয়ে এক্ষেত্রে বাংলাদেশে কোনো ধরনের গবেষণা না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেন।
শাহরিয়ার কবির বলেন, জঙ্গিবাদের গ্লোবাল নেটওয়ার্ক সম্পর্কে না জানলে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের ব্যাপ্তির ব্যাপারে সঠিক তথ্য জানা যাবে না।
“বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি ভাবাদর্শের সংগ্রাম। এ অর্জনকে ধ্বংস করে দিতে এখন ইসলামের উগ্রবাদী ব্যাখ্যা তৃণমূল মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা চলছে।”
বাংলাদেশ এখন নিরাপত্তা আর ভাবাদর্শ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে দাবি করে এথেকে উত্তরণে শুধু সরকারের দিতে চেয়ে না থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে তা মোকাবেলার আহ্বান জানান সরোয়ার আলী।
বিচারপতি খায়রুল হক জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় মানুষের মনোভাব পরিবর্তনে উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ দেন। তার মতে, যে চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্র গড়ে উঠেছিল, তা থেকে দূরে সরে যাওয়া হয়েছে।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আলী যাকের বলেন, “মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে যে বিজয় অর্জিত হয়েছিল, তা ধ্বংস করে দিতে যুদ্ধে পরাজিতরা এখনো বসে নেই। দি ওয়ার ইজ নট ওভার।”
‘জঙ্গিবাদ নির্মূল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, “কেবল জঙ্গিবাদের উত্থানের কারণে বাংলাদেশের মানবাধিকার হুমকির মধ্যে রয়েছে। জঙ্গিবাদকে নির্মূল করাই এখন দেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
সাবেক সেনাপ্রধান সফিউল্লাহ বলেন, ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটানো হয়।
খুশি কবির বলেন, “জঙ্গিবাদের ব্যাপারে একদিন না, প্রতিদিন আলোচনা করা দরকার।”
জঙ্গিবাদী তৎপরতা দেশে থাকলেও তার বিপরীতে শাহবাগ আন্দোলনকে দেখিয়ে তিনি বলেন, “এদেশে প্রচুর মানুষের সেক্যুলার মেনটালিটিও আছে। তাদের কাজে লাগাতে হবে।”
আবেদ খান জঙ্গি দমনে সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলেন, আওয়ামী লীগের দুর্বলতা ও অসংগঠিত অবস্থা সাম্প্রদায়িক শক্তিকে বলবান করে। এমনটি হলে একদিন ‘বলশালী হস্তীকে ক্ষুদ্র শৃগাল ভক্ষণ করবে’।
তথ্য কমিশনার সাদেকা হালিম বলেন, “ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ যদি আত্মতুষ্টিতে ভোগে, তাহলে বাংলাদেশ বড় হুমকিতে পড়বে।”
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বা গুমের মাধ্যমে জঙ্গিবাদ নির্মূল সম্ভব নয় বলে মত দেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানও।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মান্নাও সুশাসন নিশ্চিতের ওপর জোর দিয়ে বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে পারবে না।
ইব্রাহিম খালেদও জঙ্গিবাদ নির্মূলে সুশাসন নিশ্চিতের ওপর জোর দেন। সেইসঙ্গে তিনি জঙ্গিবাদী ভাবাদর্শের অবলোপনে একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়নের সুপারিশ করেন।
সরকারের প্রতি তার পরামর্শ- রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীকে দক্ষ করতে হবে, বিএনপি-জামায়াতের সময় প্রশাসনে যারা তাদের অনুগত হিসেবে দায়িত্বপালন করেছে, তাদের সরিয়ে ফেলতে হবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধীদের সরকারি চাকরিতে ঢোকা বন্ধ করতে হবে।
“বর্তমানে প্রশাসনের যে দুরবস্থা তা থেকে জঙ্গিদমন তো দূরের কথা, সুশাসন নিশ্চিতও কঠিন,” একইসঙ্গে হতাশার সুরও ইব্রাহিম খালেদের কণ্ঠে।
‘পেছনে জামায়াত’
জঙ্গি উত্থানের জন্য সরাসরি জামায়াতকে দায়ী করে শাহরিয়ার কবির বলেন, “বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী থাকলে ‘জঙ্গিবাদের চাষ’ হবে। এই দলটিকে নিষিদ্ধ করতে হবে।”
অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, “বিএনপি-জামায়াত-হেফাজত আলাদা কেউ নন। এটি অনুধাবন করতে হবে।”
গত সপ্তাহের উপজেলা নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, “তারা (বিএনপি-জামায়াত) অনেক হিসেবী হয়ে এগিয়েছে, নির্বাচনের ফল তা প্রমাণ করে।”
জামায়াতের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক।
জামায়াতকে সন্ত্রাসী দল আখ্যায়িত করে তাদের সব প্রকশনা নিষিদ্ধ করার দাবি তোলেন মাওলানা মাসঊদ।
শাহরিয়ার কবির বলেন, “জঙ্গিবাদ শুধু এশিয়াতেই নয়, ইউরোপ-আমেরিকাতেও বিস্তৃত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকা পলিটিক্যাল ইসলামকে প্রমোট করার পরিকল্পনা নেয়। বৃটিশ সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে জামায়াত তৈরি হয়েছে।”
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান ও তুরস্ক দূতাবাসের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের দাবি জানান।
“তারা বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থানে যে ভূমিকা রাখছে, এতে কারো দ্বিমত নেই। যারা বোমা ফাটাচ্ছে তাদের শাস্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি যারা তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে, তাদেরও আইনের মুখোমুখি করতে হবে।”
‘মাদ্রাসা শিক্ষার সংস্কার চাই’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল জঙ্গিবাদের মূলোৎপাটনে সাংস্কৃতিক লড়াই জোরদারের পরামর্শ দেন।
“শিক্ষার সর্বস্তরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়ন করে তাদের শিক্ষাকে জীবিকার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করতে হবে।”
“স্বাধীনতার এত বছর পরও মাদ্রাসায় জাতীয় পতাকা কেন ওঠে না, কেন জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় না, তা জানতে হবে।”
কারা এসব মাদ্রাসাগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে, তা খুঁজে বের করতে মনিটরিং সেল গঠন জরুরি বলেও মন্তব্য করেন ইসলামী দলের এই নেতা।
মাওলানা মাসঊদ বলেন, “কিছু দিন আগে মার্কিন কূটনীতিকরা চট্রগ্রামের মাদ্রাসায় গিয়েছিলেন। তারা সেখানে উসকানি দিতে গিয়েছিলেন কি না, সেটাও দেখার বিষয়।
মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার সফিউল্লাহ বলেন, ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটানো হয়।
ইসলামকে শান্তির ধর্ম হিসেবে তুলে ধরে মাওলানা মাসঊদ বলেন, যারা ভুল ব্যখ্যা করে জঙ্গিবাদ তৈরি করছে তাদের নির্মূলে সবাইকে অত্যন্ত দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।
“জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় সবাইকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়তে হবে, ধর্মীয় ব্যক্তিদের কাজে লাগাতে হবে।”