অনলাইনে গুজব ছড়ালে তা শনাক্ত করতে ব্যবহৃত হবে লাই ডিটেক্টর। এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ গুজব ছড়ালে তাদেরকে শনাক্ত করা যাবে।
Published : 22 Feb 2014, 04:46 PM
বিবিসি জানিয়েছে, এ প্রযুক্তি চালু হলে অনলাইনে কোনো খবর ছড়ালে তার সত্যাসত্য যাচাই করা যাবে। এছাড়া কেউ যদি শুধুমাত্র মিথ্য খবর ছড়ানোর জন্য অনলাইনে অ্যাকাউন্ট খোলে তাদেরকে শনাক্ত করা যাবে। এতে সরকার ও জরুরি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান অপরাধীদের বিরুদ্ধে সহজেই কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
২০১১ সালে লন্ডনে ঘটে যাওয়া দাঙ্গার ঘটনায় ব্যবহৃত হয়েছে বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া। ফেইসবুক, টুইটার ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ফোরামে পোস্ট ও কমেন্টসের ফলে মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছিলেন সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলো যেন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ শেফিল্ড পরিচালিত এক গবেষণায় প্রধান গবেষক ড. ক্যালিনা বন্টচিভা জানান, অনলাইনে চার ধরনের গুজব রটে, এগুলো হচ্ছে--
গুজব: ব্যাংক বা অন্যকোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুদের হার বেড়েছে।
বিতর্কিত খবর: টিকা নেওয়ার ফলে অসুস্থতা ও মৃত্যু।
ভুল তথ্য: অসত্য কোনো খবর অনিচ্ছাকৃত অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়া।
ভূয়া তথ্য: ইচ্ছাকৃত ক্ষতিকরার উদ্দেশ্যে কোনো ঘটনা ছাড়াই ভূয়া তথ্য ছড়ানো।
মাঝেমধ্যে দেখা যায় অনলাইনে বিভিন্ন রকম গুজব রটে। যেমন অ্যাপলের ডিজাইনার জনি আইভ অ্যাপল থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন, মারা গেছেন জাস্টিন বিবার, দাঙ্গা ঠেকাতে মাঠে নামছেন সেনাবাহিনী এরকম নানা অসত্য খবর।