এশিয়া কাপে সবচেয়ে সফল দুই দল ভারত ও শ্রীলঙ্কা গত আসরের ফাইনালেই উঠতে পারেনি। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানের অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক মনে করেন, এবারো এশিয়ার সেরা ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় কেউ ফেভারিট নয়।
Published : 23 Feb 2014, 11:11 AM
রোববার হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “যে কারোর শিরোপা জেতার সুযোগ রয়েছে। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এই টুর্নামেন্টে সবারই ভালো করা জরুরি।”
শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্য থাকলেও এ জন্য চাপ নিচ্ছেন না পাকিস্তান অধিনায়ক।
“শিরোপা ধরে রাখাই আমাদের মূল লক্ষ। টুর্নামেন্টে নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে চাই। গতবারের চ্যাম্পিয়ন হলেও আমাদের ওপর কোনো চাপ নেই।”
শ্রীলঙ্কার কাছে তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে হারলেও স্বাগতিক বাংলাদেশকে সমীহ করছেন মিসবাহ।
“নিজেদের মাঠে বাংলাদেশ কঠিন প্রতিপক্ষ। গতবার তারা ভারত, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল। ফাইনালেও তারা হেরেছে শেষ মুহূর্তে। আমার মনে হয়, ওদের হারাতে নিজেদের সেরা ক্রিকেটই খেলতে হবে।”
প্রায় এক মাস ধরে বাংলাদেশে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। চারবারের চ্যাম্পিয়নরা এ জন্য বাড়তি সুবিধা পাবে বলেই মনে করেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। তবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা ছাড়াও টুর্নামেন্টের অপর দুই দলকেও সমীহ করছেন তিনি।
“শ্রীলঙ্কা স্বাগতিকদের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছে। ওরা কিছুটা হলেও বাড়তি সুবিধা পাবে। নিজেদের শেষ সিরিজে হেরে গেলেও ভারত সব সময়ই কঠিন প্রতিপক্ষ। নিজেদের দিনে আফগানিস্তানও যে কাউকে হারিয়ে দিতে পারে।”
প্রতিপক্ষকে সমীহ করলেও নিজের দলকে পিছিয়ে রাখছেন না মিসবাহ। দলে অভিজ্ঞ শহীদ আফ্রিদি, সাঈদ আজমল, মোহাম্মদ হাফিজের উপস্থিতিতে অনেকখানি নির্ভার পাকিস্তানের অধিনায়ক।
“আমাদের দল ভারসাম্যপূর্ণ। দলের সমন্বয় ভালো। বেশ কয়েকজন ম্যাচ উইনার রয়েছে। আহমেদ শেহজাদ, শেরজিল খানের মতো তরুণরা উঠে আসছেন।”
২০০৯ সালে মার্চে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে দেশের বাইরেই খেলতে হচ্ছে পাকিস্তানকে। পাকিস্তানের নতুন কোচ মঈন খান জানান, তাতে নাকি তাদের ওপর বিরূপ কোনো প্রভাব পড়েনি।
“সংযুক্ত আরব আমিরাতের কন্ডিশন পাকিস্তানের মতোই। তাই সেখানে খেলেও আমাদের সেরা প্রস্তুতি হয়েছে। আর বাংলাদেশের কন্ডিশনের সঙ্গেও আমরা ভালোভাবে পরিচিত।”