আপনি যদি মনে করেন আপনার বিয়ের বয়স পার হয়ে যাচ্ছে,কিন্তু আপনাকে বিয়ে করানোর ব্যাপারে পরিবারের কোন মাথাব্যথা নেই-তাহলে নিম্নোক্ত পদ্ধতিগুলো প্রয়োগ করে দেখতে পারেনঃ
আপনি যে খাটে ঘুমান সেটা অর্ধেক কেটে ফেলার ভাব করে করাত হাঁতে নিয়ে হুলস্থূল শুরু করুন।পরিবারের লোকজন যখন জানতে চাইবে কী হয়েছে?বলবেন,“একা একা এতোবড় খাটে ঘুমাই।কিরকম লাগে!তাই অর্ধেক কেটে ফেলছি।”বাড়ির লোকেরা তখন একটা ব্যাবস্থা করেও ফেলতে পারে।
গভীর রাতে চিৎকার করে নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ুন আর অজ্ঞান হবার ভান করে দরজার কাছে পড়ে থাকুন।‘জ্ঞান ফিরলে’ সবাইকে বলুন যে আপনি একা থাকতে ভয় পান।প্রাথমিক ভাবে এই সমস্যা দূর করার জন্য আপনার ভাইকে দেয়া হবে রাতে আপনার সাথে থাকার জন্যে।কিন্তু আপনি গভীর রাতে “ভূত! ভূত!!” বলে চিৎকার করার সাথে সাথে গুতা মেরে প্রিয় ভাইকে খাট থেকে ফেলে দিন।বাধ্য হয়েই আপনার বিবাহের সুব্যবস্থা করা হবে।
আপনার ছোট ভাইয়ের বিয়ের ব্যাপারে উঠেপড়ে লেগে যান।প্রয়োজনে আপনার বাবাকে বলুন,“আব্বা,তোমার ছেলের বিষয়ে আমার কাছে ভয়ঙ্কর তথ্য আছে,ওরে মাসখানেকের ভিতরে বিয়ে না করালে ‘কিছু একটা’ করে ফেলতে পারে।”ব্যস,খেলা দেখতে থাকুন।বাবা মায়েরা ট্র্যাডিশন প্রিয় হয়।আপনার বিয়ে না দিয়ে তারা কিছুতেই আপনার ছোট ভাইকে বিয়ে করাবেন না।সপ্তাহ দুয়েকের ভিতরেই আপনার একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে।
(বিয়ের বয়েসি)ছোটবোনের কাছে গিয়ে মুখ শুকনা করে বলুন,“তোর জন্য ভালো একটা বর পেয়েছি রে।ভাবতেই খারাপ লাগছে তুই আমাদের ছেড়ে চলে যাবি।”একথা শুনে আপনার বোন অবশ্যই বলবে,“হুঁহ,দাড়াও সংসারে ভাবি না এনে ছাড়ছিনা।” তখন আপনিও তার কান টেনে দিয়ে রুক্ষ স্বরে বলুন,“হেহ,তুই যদি তোর বিয়ের আগে আমার বিয়ের ব্যবস্থা করে ফেলতে পারিস,তাহলে আমার নাম আর অমুক না।নাম বদলে ভোঁদড় রাখব।”আর টেনশন করার কারণ নেই।ভেবে নিন আপনার বিয়ে এই হয়ে গেলো বলে।
একদিন ২ কেজি মিষ্টি নিয়ে বাড়ি ফিরুন।মা-বাবাকে আনন্দের সহিত বলুন,“আমার সবচেয়ে ঘনিষ্ট বন্ধু সাব্বির আছে না?সেই এই মিষ্টি পাঠিয়েছে।গতকাল তার ২য় পুত্র সন্তান হইসে।বড় ছেলে ক্লাশ ওয়ানে পড়ে আরকি।হেহেহে।”মনে করুন মাস দুয়েকের ভিতরে একটা ইয়ে হয়ে যাচ্ছে।
ঘরে একদিন চিৎকার করতে করতে ঢুকেন,“শালার পুত,আমি নাকি কনে পাচ্ছিনা,বুড়ো হয়ে যাচ্ছি!”তখন আপনার বাবা মা এসে জিজ্ঞেস করবেন,কে বলছে?আপনি তখন “কেউ না” বলে ঘুমিয়ে পড়ুন।
টাকা পয়সা থাকলে বিদেশ যাবার ‘ব্যবস্থা’ করে ফেলুন।আর বাবা মাকে ক্রমাগত ইঙ্গিত দিতে থাকুন,একবার বিদেশে পৌছে গেলে উধাও হয়ে যাবেন।তখন বিদেশ যাওয়ার আগে আপনাকে বিয়ে করিয়ে দেয়া হবে যাতে বউয়ের টানে অচিরেই আপনি ফিরে আসেন।কিন্তু বিয়ের পর বাবাকে গিয়ে বলুন,“আব্বা,চিন্তা করে দেখলাম দেশে থেকেও অনেক কিছু করা যায়।তাছাড়া,আমি তোমাদেরকে ছাড়া কোথাও গিয়ে টিকতে পারবনা।”
[উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো শুধুমাত্র লাজুক টাইপের ছেলেদের জন্য।বাহাদুর(লজ্জাহীন) ছেলেরা নিজে নিজেই এই মহৎ কর্মটি সম্পন্ন করে ফেলতে পারে।অথবা বাবাকে গিয়ে বলে,“আব্বা,তুমি কি আমারে শুক্রবারের আগেই বিয়ে করাবা নাকি আমি নিজেই তোমার বউমারে নিয়া আসব?]