somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পন্ডিত রবিশঙ্কর ও প্রথমা স্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী একটি সম্পর্কের ট্র্যাজেডী

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ২:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রবিশঙ্করের প্রথম পত্নী, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর কন্যা ও আলী আকবর খাঁর বোন অন্নপূর্ণা দেবী ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের ইতিহাসের জীবন্ত কিংবদন্তি। নিভৃতচারী এই শিল্পীই একবার স্বেচ্ছায় ডেকেছিলেন আলিফ সুর্তিকে, দিয়েছিলেন দীর্ঘ সাক্ষাৎকার। সে সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে রচিত এই লেখাটি বেরিয়েছিল, ম্যানজ ওয়ার্ল্ড-এ, আগস্ট ২০০০-এ। লেখাটির নির্বাচিত অংশ

এক বটবৃক্ষের ছায়াতলে অন্নপূর্ণার সংগীত-প্রতিভা লালিত হয়েছে। সেই মহিরুহ ছিলেন তাঁর বাবা, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ। অন্নপূর্ণা অবশ্য প্রতিভার আলো ছড়াতে পেরেছিলেন নিজের গুণেই। পরে সেতারের অসামান্য প্রতিভা পণ্ডিত রবিশঙ্করকে বিয়ে করে তিনি সুরের বাঁধনে আরও ভালোভাবে জড়িয়ে পড়েন। এ বাঁধন অবশ্য টেকসই হয়নি। বেদনাদায়ক ব্যাপার হলো, সে বিচ্ছেদের সূত্র ধরেই সংগীতের ভুবন থেকে হারিয়ে গেছে তাঁর সুর। রবিশঙ্করের সঙ্গে বিরোধের ফলেই অন্নপূর্ণা প্রতিজ্ঞা করেছিলেন জীবনে আর কখনোই দর্শকদের সামনে সেতার বা সুরবাহার বাজাবেন না। প্রতিজ্ঞায় অনড় থেকে তিনি বেছে নেন মুম্বাইয়ের বাসগৃহে নিভৃত নিঃসঙ্গ জীবন। তাঁর ৭৪ বছরের জীবনে কোনো রেকর্ডিং করেননি, প্রায় ৫০ বছর হলো বাইরের কোনো লোক তাঁকে বাজাতে দেখেনি। এর মাত্র একবার ব্যত্যয় ঘটেছিল বিখ্যাত শিল্পী জর্জ হ্যারিসনের বেলায়। অন্নপূর্ণার রোজকার রেওয়াজের সময় তিনি তাঁর পাশে বসার অনুমতি পেয়েছিলেন।
তিরিশের দশকের কথা। আলী আকবর তখন বয়সে তরুণ। সরোদে সর্বশেষ পাঠে তালিম নিচ্ছেন। তাঁর ছোট বোন অন্নপূর্ণা, বেনারসের ১৬০ মাইল দূরে, মাইহারে, তাঁদের বাড়ির চৌহদ্দিতে এক্কা-দোক্কা খেলে বেড়াচ্ছেন। খেলা থামিয়ে নিজে থেকেই ভাইকে বলছেন, ‘ভাইয়া, বাবা ওভাবে না তো, এভাবে শিখিয়েছিলেন’। তারপর গড়গড় করে তিনি বাবার তালিম থেকে গাইতে শুরু করলেন। অথচ বাবার কাছ থেকে তিনি কোনো তালিম পাননি। আলাউদ্দিন খাঁ তাঁর বড় মেয়েকে গান শিখিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছিলেন। বিয়ের পর সংগীত সে মেয়ের রক্ষণশীল স্বামীর বাড়িতে সমস্যা তৈরি করে। এ জন্য ছোট মেয়ের বেলায় একই ভুল করতে চাননি। অন্নপূর্ণা চুপিচুপি চালিয়ে যাচ্ছিলেন সংগীতের সাধনা। কিন্তু একদিন ধরা পড়ে গেলেন। অন্নপূর্ণার নিজের জবানিতে সেদিনের ঘটনাটা এ রকম: ‘আমি সংগীতে এমন তন্ময় হয়ে ছিলাম—বাবা যে ফিরে এসে আমাকে দেখছেন, তা খেয়ালই করিনি। আমাকে তিরস্কার না করে বাবা তাঁর নিজের ঘরে ডেকে নিলেন। বাবা বুঝতে পেরেছিলেন, সংগীতের ওপর আমার সত্যিকারের দরদ আছে। আমি যেহেতু সংগীত ভালোবাসি, এটা আমি করতে পারব। সেই থেকে আমার তালিম নেওয়া শুরু।’
অন্যান্য শিক্ষার্থীর মতো ধ্রুপদি গান দিয়ে তালিম শুরু হয় অন্নপূর্ণার। এরপর তিনি সেতার শেখেন। একদিন বাবা তাঁর কাছে জানতে চাইলেন সুরবাহারে তালিম নেওয়ার আগ্রহ আছে কি না। এটি সেতারের সমগোত্রীয় সুরযন্ত্র। কিন্তু আকারে আরও খানিকটা বড়, আর বাজানোও বেশ কঠিন। তবে শিখতে পারলে সেটা খুবই গৌরবের ব্যাপার। অন্নপূর্ণা সে কথা স্মরণ করে বলছেন, ‘বাবা বললেন, “তোমাকে আমার গুরুর বিদ্যা শেখাব। কারণ তোমার মধ্যে লোভ নেই। এ বিদ্যা শিখতে হলে খুব শান্ত মন আর অসীম ধৈর্য দরকার। আমার মনে হয়েছে, গুরুর এই উপহার তুমি ধরে রাখতে পারবে। সংগীতের প্রতি তোমার সত্যিকারের অনুরাগ আছে। তবে এটা শিখতে হলে তোমাকে সেতার বাজানো ছাড়তে হবে। সেতার সকলেরই পছন্দ, সাধারণ মানুষ ও সমঝদার সবাই সেতার ভালোবাসে। কিন্তু সুরবাহারের প্রশংসা করবেন কেবল সেইসব শ্রোতা যাঁরা সংগীতের গভীরতা বুঝতে পারেন বা অন্তরের মধ্যে সুর অনুভব করেন। সাধারণ শ্রোতারা অবশ্য তোমার দিকে টমেটো ছুঁড়ে মারতে পারে। এখন তুমি কী করতে চাও সেটা বলো।” আমি একদম মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। আমার সোজা জবাব ছিল, আপনি যা আদেশ করবেন তাই হবে।’
এরই মধ্যে উদয়শঙ্করের ছোট ভাই রবীন্দ্রশঙ্কর (১৯৪০ সালের দিকে তিনি নাম বদলে রাখেন রবিশঙ্কর) তালিম নিতে এলেন মাইহারে। রবিশঙ্করের বয়স তখন মাত্র ১৮। আর ১৩ বছরের লাজুক কিশোরী অন্নপূর্ণা, রবিশঙ্করের ভাষায়, ‘খুব উজ্জ্বল, আর দারুণভাবে নজরকাড়া। চোখ দুটো ভারি মিষ্টি, আর গায়ের রং আলুভাইয়ের (ওস্তাদ আলী আকবর খাঁ) চেয়ে ফর্সা।’ তবে তাঁদের বিয়ে প্রেম করে হয়নি। এ ব্যাপারে অন্নপূর্ণা দেবীর ভাষ্য: ‘মাইহারে মা-বাবার সঙ্গে আশ্রমের মতো একটা পরিবেশে বড় হয়েছি। পণ্ডিতজির আকর্ষণে জড়িয়ে পড়ার প্রশ্নই ছিল না। আমরা প্রেম করে বিয়ে করিনি। এটা ছিল বাড়ির পছন্দে বিয়ে।’
পণ্ডিত রবিশঙ্করও তাঁর আত্মজীবনী রাগমালাতে লিখেছেন, ‘আমাদের মধ্যে প্রেম, রোমান্স বা লুকোচুরির কিছু ছিল না। ওই সময়ে অনেকে অবশ্য এ রকমই ভাবত। বিয়ের আগে এ ব্যাপারে ওর সত্যিকারের মনোভাব কী ছিল সেটা আমি জানতাম না। আমাকে বলা হয়েছিল ওর মত আছে।’ ১৯৪১ সালের ১৫ মে সন্ধ্যাবেলা তাঁদের বিয়ে হয়। সংগীতের সমঝদার ও সমালোচকদের মতে, সুরের জগতে রবিশঙ্কর বা আলী আকবরের চেয়ে বড় প্রতিভা ছিলেন অন্নপূর্ণা। ওস্তাদ আমির খান যেমন বলেছেন, ‘ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর ৮০ ভাগ পেয়েছেন অন্নপূর্ণা, আলী আকবর খাঁ ৭০ ভাগ, আর ৪০ ভাগ রবিশঙ্কর।’ আলী আকবর নিজেও এর সঙ্গে একমত হয়েছেন তাঁর বিখ্যাত এই ভাষ্যে, ‘রবিশঙ্কর, পান্নালাল ঘোষ আর আমাকে এক পাশে রেখে আরেক পাল্লায় অন্নপূর্ণাকে রাখলে ওঁর পাল্লাই ভারী হবে।’
অন্নপূর্ণার মতে, এই জিনিসটা নিয়েই তাঁদের দাম্পত্যজীবনে টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল। অন্নপূর্ণা জানাচ্ছেন, ‘দর্শকদের সামনে আমি যতবার বাজিয়েছি, সকলেই আমার ভীষণ তারিফ করেছে। আমি বুঝতে পারতাম, পণ্ডিতজি এটা ভালোভাবে নিচ্ছেন না। আমারও লোকের সামনে গিয়ে বাজানোর খুব গরজ ছিল এমন নয়। তাই, এটা বন্ধ করে আমি নিজের মতো সাধনা চালিয়ে যেতে থাকি।’ এটা এখন আর কোনো গোপন ব্যাপার নয় যে, এই দুই শিল্পীর দাম্পত্যের টানাপোড়েনকে উপজীব্য করেই গুণী চলচ্চিত্রকার ঋষিকেশ মুখোপাধ্যায় তাঁর অভিমান ছবিটি তৈরি করেছিলেন। ছবিটি বেশ জনপ্রিয় হয়। ছবিতে বিখ্যাত এক গায়কের (অমিতাভ বচ্চন) সঙ্গে তার লাজুক বউয়ের (জয়া ভাদুরী) টানাপোড়েন দেখা দেয় সংগীত-প্রতিভাকে কেন্দ্র করে। জনপ্রিয়তার দিক থেকে বধূটি তার স্বামীকে ছাড়িয়ে গেলে টানাপোড়েন চরমে পৌঁছে। ঋষিকেশ অবশ্য ছবির কাজ শুরু করার আগে অন্নপূর্ণার সঙ্গে কথা বলে নিয়েছিলেন। ছবির কাহিনিতে ওই দম্পতি সুখী জীবনে ফিরে গেলেও রবিশঙ্কর আর অন্নপূর্ণার জীবনে তা হয়নি। তাঁদের দাম্পত্য-কলহ আরও অবনতির দিকে গেছে। এবং এর পরিণতি ঘটেছে তাঁদের বিচ্ছেদে। বিয়েটা টিকিয়ে রাখতে অন্নপূর্ণা শপথ করেছিলেন যে জনসমক্ষে তিনি আর কখনো সুর পরিবেশন করবেন না। কিন্তু এত বড় আত্মত্যাগের পরও তাঁর সংসার টেকেনি।
রবিশঙ্কর অবশ্য এ ব্যাপারে কিছুটা ভিন্ন কথা বলেছেন। টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘বিয়ের পর আমার সঙ্গে বাজাতে ওকে অনেক জোরাজুরি করেছি। কিছু অনুষ্ঠানও করেছি আমরা...তবে এরপর থেকে সে আর একা অনুষ্ঠান করতে চাইত না। সে সব সময় চাইত আমার সঙ্গে বসে বাজাতে। তারপর আমরা যখন আলাদা হয়ে গেলাম তখন তো ও অনুষ্ঠান করাই ছেড়ে দিল...সে হয়তো দর্শকের মুখোমুখি হতে চাইত না, হয়তো নার্ভাস লাগত ওর, কিংবা অন্য কিছুও থাকতে পারে এর পেছনে। তবে যা-ই থাকুক না কেন, সে অনুষ্ঠান করা বন্ধ করেছে তার নিজের ইচ্ছায়। এটা খুব আফসোসের একটা ব্যাপার, কারণ ও অসাধারণ এক সুরস্রষ্টা।’
এ ব্যাপারে রবিশঙ্করের ছাত্র মদনলাল ব্যাসের—যিনি ৩৬ বছর ধরে দ্য নবভারত টাইমস-এর সংগীত সমালোচক হিসেবে কাজ করেছেন—ভাষ্য আবার অন্য রকম। ‘কনসার্ট শেষ হলে লোকজন রবিশঙ্করের চেয়ে অন্নপূর্ণাকেই ছেঁকে ধরত বেশি। এটা পণ্ডিতজির পক্ষে মানা কঠিন হতো। রবিশঙ্করের সঙ্গে তাঁর জুড়ি ভালো হয়নি। তিনি অসামান্য এক প্রতিভা। এমনকি তাঁর বাবা—যিনি ছিলেন আপসহীন, ক্ষমাহীন এক গুরু—তাঁকে মূর্তিমতী সরস্বতী বলে ডাকতেন। এর থেকে বড় প্রশংসা আর কী হতে পারে?’
অন্নপূর্ণার সুর দুর্ভাগ্যজনকভাবে হারিয়ে গেছে। তাঁর অনুষ্ঠান দেখতে পাওয়ার কথা মনে করতে পারবেন এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম। তাঁর বাজানো একটি মাত্র রেকর্ড আছে। সেটা এক দুর্লভ, ব্যক্তিগত রেকর্ডিং। তাঁদের একটি যুগলবন্দী অনুষ্ঠানে দরজার বাইরে রাখা স্পিকার থেকে সেই বাদন রেকর্ড করা হয়েছিল। প্রকাশ্য অনুষ্ঠান থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার পর রবিশঙ্কর এবং তাঁর বর্তমান স্বামী রুশি পান্ডের বাইরে তৃতীয় যে ব্যক্তিটি সরাসরি অন্নপূর্ণার বাদন শুনেছিলেন, তিনি বিটলস তারকা জর্জ হ্যারিসন। জানা যায়, সত্তরের দশকে বেহালাবাদক ইয়েহুদি মেনুহিনকে নিয়ে ভারত সফরে এসেছিলেন জর্জ হ্যারিসন। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁদের সম্মানে কিছু করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। মেনুহিন বলেন, তাঁর একটি অসম্ভব আবদার আছে। তিনি অন্নপূর্ণার বাদন শুনতে চান। শ্রীমতী গান্ধী কি সে ব্যবস্থা করতে পারবেন? অনেক অনুরোধ-উপরোধের পর নিমরাজি হলেন অন্নপূর্ণা। তবে কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন হবে না। তিনি যখন রেওয়াজ করবেন, তখন তাঁরা পাশে বসে তা শোনার সুযোগ পাবেন। নির্ধারিত দিনে মেনুহিন যেতে পারেননি। তাঁর পরিবারের একজন অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে দেশে রওনা হতে হয়েছিল। একমাত্র সৌভাগ্যবান ব্যক্তি হিসেবে হ্যারিসন তাঁর বাদন শোনেন।
রবিশঙ্কর ও অন্নপূর্ণার জীবনে ছেলে শুভর আগমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। শুভর পুরো নাম শুভেন্দ্র শঙ্কর। ১৯৪২ সালের ৩০ মার্চ তার জন্ম। জন্মের আট সপ্তাহের মধ্যে এক জটিল রোগ ধরা পড়ল তার। অন্ত্রের নালিতে প্রতিবন্ধকতার জন্য খুবই বিরল ধরনের, যন্ত্রণাময় ব্যথা হতো। মাস খানেকের মধ্যেই ছেলেটি সেরে উঠল। কিন্তু এক নতুন উপসর্গ দেখা দিল। ছেলেটি সারা রাত কাঁদত। রবিশঙ্করের আত্মজীবনী থেকে জানা যাচ্ছে, রোজ ১০ ঘণ্টার বেশি সেতার সাধনার পরে এই কাঁদুনে শিশুকে নিয়ে সারা রাত জেগে থাকার বিড়ম্বনা থেকেই তাঁদের দাম্পত্য জীবনের প্রথম টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল। রবিশঙ্কর লিখেছেন, ‘এ সমস্যার কারণে রাত-জাগা অভ্যেস হয়ে গেল শুভর। এটা এক বছর বা তারও বেশি সময় ধরে চলল। আমি খেয়াল করলাম, অন্নপূর্ণার ব্যক্তিত্ব দিন দিন বদলে যাচ্ছে। আমাদের দুজনেরই শক্তিক্ষয় হচ্ছিল খুব। মেজাজ বিগড়ে যাচ্ছিল আমাদের দুজনেরই। ওই সময়টাতে তুচ্ছ কারণে আমার মেজাজ বিগড়ে যেত। দুজনে একসঙ্গে রেগে উঠতাম। আমি আগে বুঝতে পারিনি, কিন্তু এবার খেয়াল করলাম, ও ঠিক ওর বাবার মেজাজ পেয়েছে। ও আমাকে প্রায়ই বলত, “তুমি শুধু সংগীতের জন্য আমাকে বিয়ে করেছ! আমাকে তুমি ভালোবাসো না! তোমার জন্য তো অন্য সুন্দরীরা আছে!” অন্য কোনো মেয়ের সঙ্গে কথা বললেই ওর খুব হিংসা হতো। যখনই আমি অন্য কোনো শহর থেকে অনুষ্ঠান করে ফিরতাম সেখানে আমার কোনো প্রেম আছে বলে আমাকে দুষত। এটা ওর অবসেশন হয়ে দাঁড়িয়েছিল।’
বোম্বেতে তাদের দাম্পত্য-সংকট চরমে পৌঁছাল যখন অন্নপূর্ণা আবিষ্কার করলেন, নৃত্যশিল্পী কমলা শাস্ত্রীর সঙ্গে রবিশঙ্করের প্রেম চলছে। মর্মাহত অন্নপূর্ণা ছেলে শুভকে নিয়ে মাইহারে বাবার বাড়ি চলে যান। চিত্রপরিচালক অমিয় চক্রবর্তীর সঙ্গে কমলার বিয়ে হওয়ার পরই কেবল তিনি বোম্বেতে ফিরে আসেন। কিন্তু রবিশঙ্করের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক আর কখনো স্বাভাবিক হয়নি। ১৯৫৬ সালে দুই বছরের জন্য দূরে চলে যান তিনি। ১৯৬৭ সালে তাঁদের সম্পর্কের ইতি ঘটে।
ভাষান্তর: শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×