ভারতের নয়া দিল্লিতে এসএআইএল-এসবিআই ওপেনে দারুণ খেলেও শিরোপা জিততে পারলেন না সিদ্দিকুর রহমান। টাইব্রেকারে ভারতের রশিদ খানের কাছে হেরে গেছেন তিনি।
Published : 26 Feb 2014, 06:34 PM
দিল্লি গলফ ক্লাবে শনিবার চার রাউন্ড শেষে রশিদ খানের সমান ১৮ শট কম খেলে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন সিদ্দিকুর। ফলে শিরোপা নির্ধারণের জন্য টাইব্রেকারে গড়ায় প্রতিযোগিতা। যেখানে ‘বার্ডি’ (কোনো হোলে পারের চেয়ে এক শট কম খেলা) করে শিরোপা জিতে নেন দিল্লির এই গলফ ক্লাবেই বেড়ে ওঠা রশিদ।
গত নভেম্বরে এই গলফ ক্লাবেই হিরো ইন্ডিয়ান ওপেনের শিরোপা জিতেছিলেন বাংলাদেশের সেরা গলফার সিদ্দিকুর।
প্রথম রাউন্ডেই পারের চেয়ে ১১ শট কম খেলে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিলেন দিল্লি গলফ ক্লাবেই বেড়ে ওঠা রশিদ। পরের রাউন্ডগুলোতে ধীরে ধীরে তাকে ধরে ফেলেন সিদ্দিকুর। শনিবার এক পর্যায়ে রশিদকে ছাড়িয়েও গিয়েছিলেন তিনি।
শনিবার পারের চেয়ে তিন শট কম খেলেন সিদ্দিকুর। শেষ দিনে প্রথম হোলে ‘ঈগল’ (কোনো হোলে পারের চেয়ে দুই কম খেলা) মেরে দিনের শুরুটাও দারুণ করেছিলেন সিদ্দিকুর। পরে আরো দুটি ‘বার্ডি’ করেন কিন্তু সঙ্গে আসে একটি ‘বোগি’ও (পারের চেয়ে এক শট বোশি খেলা) করেন।
তৃতীয় রাউন্ড শেষে ১৫ শট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম পেশাদার এই গলফার।
শেষ দিনটা দারুণ গেছে বাংলাদেশের আরেক গলফার মো. জামাল হোসেন মোল্লার। পারের চেয়ে মোট পাঁচ শট কম খেলে যৌথভাবে ২৩তম স্থানে থেকে টুর্নোমেন্ট শেষ করেন তিনি। আর পারের চেয়ে মোট দুই শট বেশি খেলে যৌথভাবে ৫৭তম হয়েছেন মো. শাখাওয়াত হোসেন সোহেল।
খুব কাছ গিয়েও শিরোপা না জিততে পারায় অবশ্য খুব একটা হতাশ নন সিদ্দিকুর। বরং নিজের ভুল শুধরে উন্নতি করতে হবে বলে জানান তিনি।
“এখন যেভাবে আমি বলে হিট করছি, তাতে আমি অনেক খুশি। তবে কিছু ভুলও করেছি; এমনকি ১০ ফুট দূর থেকেও হোলে বল ফেলতে পারিনি। কিছু সুযোগ হারিয়েছি। আর যদি কিছু হোলে ঠিকভাবে বল ফেলতে পারতাম, তাহলে হয়ত আমি জিততাম।”
নতুন মৌসুমে এটা ছিল সিদ্দিকুরের প্রথম টুর্নামেন্ট। মৌসুমের শুরুতেই ভালো খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে মালয়শিয়ায় আগামী মার্চে ইউরেশিয়া কাপে ভালো করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তিনি।