মুন্সীগঞ্জে উপজেলা নির্বাচনের চার কেন্দ্রে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থক প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা ও বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
Published : 27 Feb 2014, 10:52 AM
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার মালির পাথর প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভট্টাচার্যেরবাগ প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র এবং শ্রীনগর উপজেলার আলমপুর হোসেন আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও ভাগ্যকূলে মান্দ্রা চারিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে এ ঘটনা ঘটে।
এর মধ্যে মালির পাথর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে স্থানীয় বিএনপির এক নেতা ও তার ছেলের ওপর হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সদর থানার ওসি শহীদুল ইসলাম জানান, সকাল সোয়া ১০টার দিকে আয়াত আলী (৫০) ও তার ছেলে মামুন দেওয়ান (২৫) অজ্ঞাত পরিচয় দুর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হন বলে তারা খবর পেয়েছেন। তাদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শ্রীনগরের আলমপুরে হোসেন আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে সকাল সোয়া ৯টার দিকে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে বিএনপি কর্মী অহিদুল আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আহসান আলীকে চড় দিলে দুই দলের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এসময় কয়েকজন আঘাত পান।
একই উপজেলার ভাগ্যকূলে মান্দ্রা চারিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যেও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
এ কারণে ওই কেন্দ্রে সকাল সোয়া ৯টা থেকে ২৫ মিনিট ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয় বলে জেলার পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জানান।
এদিকে জেলা বিএনপি সভাপতি সাবেক উপ-মন্ত্রী আব্দুল হাই সদরের ভট্টাচার্যেরবাগ প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঢোকার সময় আওয়ামী লীগের কর্মীরা তাকে বাধা দেয়। এর জের ধরে পরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে।
সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে বিএনপির প্রার্থী মোশারফ হোসেন অভিযোগ করেন, মহাকালীর বাগেশ্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়, মহাকালী গোসাইবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রনছ দেওভোগ ১ নম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়, অনির্বাণ বৈখর প্রাথমিক বিদ্যালয়, রামশিং প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যাপক জাল ভোট দেয়া হচ্ছে।
তবে অভিযোগ নাকচ করে জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল হাসান বাদল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জাল ভোটের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।