বিশ্বব্যাপী প্রবল সমালোচিত চলচ্চিত্র ‘ইনোসেন্স অফ মুসলিমস’ ইউটিউব থেকে মুছে ফেলতে মার্কিন আদালতের নির্দেশের পরও হাল ছাড়ছে না টেক জায়ান্ট গুগল। বরং আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার কথা বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে।
Published : 03 Mar 2014, 05:14 PM
ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন ফেডারেল আদালতে অভিনেত্রি সিনডি লি গার্সিয়ার করা কপিরাইট মামলার রায়ে ইউটিউব থেকে চলচ্চিত্রটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয় আদালত।
আপাতত আদালতের রায় মানলেও লড়াই করার কথা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে গুগল। ইউটিউবে চলচ্চিত্রটির প্রতিটি ট্রেইলারের কপিতে বিশেষ ‘টেকডাউন নোটিস’ ঝুলিয়ে দিয়েছে গুগল। তাতে গুগলের বক্তব্য, “চলচ্চিত্রটিতে ৫ সেকেন্ড অভিনয় করেছেন এমন এক অভিনেত্রির কপিরাইট দাবির কারণে এই ভিডিওটি আর দেখা যাবে না। ভিডিওটি সরিয়ে নিতে গুগলকে নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন আদালত। আমরা ওই রায়ের সঙ্গে একমত নই, এর বিরুদ্ধে লড়াই করব আমরা। ”
মার্কিন আদালতে করা ওই কপিরাইট মামলায় অভিনেত্রী গার্সিয়া দাবি করেছিলেন, ওই চলচ্চিত্রের যে চিত্রনাট্য তাকে দেওয়া হয়েছিল তাতে ইসলাম বা এর নবী বিষয়ে কোনো উল্লেখ ছিল না। চলচ্চিত্রটিও সে অনুযায়ী তৈরি করা হয়নি; বরং তার কণ্ঠস্বর ব্যবহার করে নতুন সংলাপ পরে কম্পিউটার এডিটিংয়ের মাধ্যমে যোগ করা হয়েছে। গার্সিয়ার দাবি, এর ফলে তার প্রাণহানির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
অপরদিকে গুগলের বক্তব্য ছিল, ইউটিউবে কোনো ভিডিও আপলোড করার ক্ষেত্রে গুগল যে নীতিমালা মেনে চলে, ওই চলচ্চিত্র সেগুলো মেনেই আপলোড করা হয়েছে। ফলে, আপলোডার নিজে চলচ্চিত্রটি ইউটিউব থেকে না সরালে গুগলের এ ক্ষেত্রে কিছুই করার নেই।
চলচ্চিত্রটির কারণে ২০১২ সালে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভে প্রাণ হারিয়েছেন অনেক বিক্ষোভকারী। রোষের শিকারে মারা গেছেন রাষ্ট্রদূতসহ মোট চারজন মার্কিন নাগরিক। বাংলাদেশ, ব্রাজিল, ভারত এবং ইন্দোনেশিয়াসহ ১৭টি দেশ ভিডিওটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল গুগলকে। অস্ট্রেলিয়া, মিশর এবং খোদ মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা গুগলকে ভিডিওটি গুগলের নীতিমালার পরিপন্থী কি না তা পর্যালোচনা করে দেখার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু ভিডিওটি তাদের নীতিমালা ভঙ্গ করেনি সেই সিদ্ধান্তেই অটল আছে গুগল।