কারচুপির অভিযোগে দ্বিতীয় দফা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের পর বিক্ষোভ মিছিল শেষে ওই মোনাজাতের মধ্যেই অশ্লীল ও অশ্রাব্য শব্দ থাকার কারণে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
ভিডিওচিত্রটিতে মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল হাইকে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে মোনাজাত করার আগে দলীয় নেতা-কর্মীদের অশ্রাব্য গালাগাল করতে দেখা যায়।
২৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দফায় মুন্সীগঞ্জ সদর ও শ্রীনগরেও নির্বাচন হয়। দুই আসনেই জয়ী হন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা।
ওইদিনই দুপুরে সদর উপজেলার মোক্তারপুরে আব্দুল হাইয়ের নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীদের একটি মিছিল শেষে এই আলোচিত মোনাজাতটি অনুষ্ঠিত হয়।
আব্দুল হাই ১৯৯১ সালের বিএনপি সরকারের স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
মোনাজাতের সময় সদর উপজেলার বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মোশাররফ হোসেন পুস্তী এবং ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।
মুন্সীগঞ্জ জেলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রতিবেদন করতে গিয়ে একাত্তর টেলিভিশনের ক্যামেরায় এই ভিডিওচিত্রটি ধারণ হয়। তখন সেখানে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন একাত্তর টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মিল্টন আনোয়ার।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যেখানে এই ঘটনাটি ঘটে তার পাশে দাঁড়িয়েই নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আমি ‘লাইভ’ দিচ্ছিলাম।
“আব্দুল হাই মোনাজাত শুরু করলে আমি ক্যামেরাম্যানকে তাৎক্ষণিকভাবে সেদিকে ক্যামেরা ধরতে বলি। তবে মোনাজাতের ভেতর অশ্লীল ও গণমাধ্যমে প্রচার না করার মতো শব্দ ছিল। সে অংশটি এডিট করে দেখাতে হয়েছে।”