রাশিয়া সরকারের বিরুদ্ধে ম্যালওয়্যার নির্মাণের অভিযোগ এনেছে জার্মান কম্পিউটার সিকিউরিটি ফার্ম জি ডেটা। প্রতিষ্ঠানটির দাবি সদ্য আবিস্কৃত কম্পিউটার ম্যালওয়্যার ‘উরুবুরস’ নির্মাণের পেছনে হাত রয়েছে ওই ইউরোপিয় পরাশক্তির।
Published : 02 Mar 2014, 05:42 PM
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, উরুবুরসের বিভিন্ন বৈশিষ্ট বিশ্লেষণ করে ম্যালওয়্যারটির সঙ্গে রাশিয়া সরকারে সংশ্লিষ্টতার কথা বলেছে জি ডেটা। ম্যালওয়্যারটির জটিল কোডিং, সিরিলিক ওয়ার্ডসের উপস্থিতি আর সর্বপরি ম্যালওয়্যারটির আচরণ ইঙ্গিত করছে রাশিয়া সরকারের দিকেই।
এ ব্যাপারে জি ডেটা ব্লগের ‘এমএন’ ছদ্মনামে গবেষক জানিয়েছেন, কম্পিউটারে অনুপ্রবেশেন পর একটি পুরানো ম্যালওয়্যারের জন্য খোঁজ করে থাকে উরুবুরস। সেই পুরানো ম্যালওয়্যারটি হচ্ছে এজেন্ট.বিটিজেড। ২০০৮ সালে এজেন্ট.বিটিজেজের আক্রমণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল পেন্টাগনের কম্পিউটার সিস্টেমে। ওই ম্যালওয়্যারটির নির্মাতা হিসেবে বরাবরই সন্দেহ করা হয়েছে রাশিয়াকে।
সম্প্রতি ট্রাস্টিকন কনফারেন্সে সাইবার অপরাধের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের সরকারে সংশ্লিষ্টতার কথা বলেছিলেন সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম এফ-সিকিউরের চিফ টেকনোলজি অফিসার মিক্কো হিপ্পোনেন। সরকার সমর্থিত সাইবার অস্ত্রের কথা বলতে যেয়ে স্টাক্সনেট ভাইরাসের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। স্টাক্সনেটের নির্মাতা যে মার্কিন সরকার এবং ইসরায়েল তা এখন আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
জি ডেটা জানিয়েছে, এযাবৎকালের সবচেয়ে বিপজ্জনক রুটকিট ম্যালওয়্যারগুলোর একটি উরুবুরস। কম্পিউটার থেকে ডেটা চুরি ছাড়াও নেটওয়ার্ক ট্রাফিকের উপর নজরদারি করে ম্যালওয়্যারটি। আক্রান্ত কম্পিউটার থেকে একই নেটওয়ার্কে থাকা একই কম্পিউট রে সংক্রমণ ঘটায় উরুবুরস। ডেটা চুরি করার পর নির্মাতার কাছে এক সঙ্গে সব ডেটা পাঠিয়ে দেয় ম্যালওয়্যারটি।
জি ডেটার ওই অভিযোগের বিপরীতে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায় রাশিয়া দূতাবাস। অন্যদিকে ম্যালওয়্যারের নির্মাণের সঙ্গে রাশিয়ার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনার পর সংবাদমাধ্যমের কাছে এ ব্যাপারে গোপনীয়তা বজায় রাখছে খোদ জি ডেটাও।