বাংলাদেশে বিমসটেকের সচিবালয় স্থাপন হলে তা এর লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।
Published : 04 Mar 2014, 05:39 PM
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার আঞ্চলিক এই জোটের স্থায়ী সচিবালয় স্থাপনে সম্মত হওয়ায় বাংলাদেশকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার মিয়ানমারের রাজধানী নে পি টো-তে বিমসটেকের তৃতীয় সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীসহ আঞ্চলিক এই জোটের সরকার প্রধানরা।
ঢাকা বিমসটেকের স্থায়ী সচিবালয় স্থাপনের সিদ্ধান্তকে সাত জাতির এ সংস্থার জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক’ হিসেবে চিহ্নিত করেন মনমোহন।
জোটের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ‘সরাসরি ও প্রযুক্তিগত’ যোগাযোগ এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা ও ঐক্যের চালিকাশক্তি হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মনমোহন বলেন, ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিপক্ষীয় মহাসড়ক, কালাদান মাল্টিমোডাল ট্রানজিট-ট্রান্সপোর্ট প্রকল্প, এশিয়ান হাইওয়ে এবং আসিয়ান মাস্টারপ্ল্যান ফর কানেকটিভিটির মতো বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করার মধ্যে দিয়ে ভারত বিমসটেক সদস্যদের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী এ অঞ্চলে সন্ত্রাস প্রতিরোধে জোটের দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
“এ অঞ্চলের দেশগুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে শুরু করে সন্ত্রাসের মতো কিছু সাধারণ সমস্যায় ভুগছে। এসব সমস্যা দূর করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টাই এ অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা এবং উন্নতি আনতে পারে।”
সন্ত্রাস নির্মূলের ওপর জোর দিয়ে মনমোহন বলেন, “বিমসটেক অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে একে প্রতিরোধের জন্য পারস্পরিক সহযোগিতাও বাড়ানো প্রয়োজন।”
এই সহযোগিতার অংশ হিসেবে তিনি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ, সংগঠিত অপরাধ ও মাদক পাচার প্রতিরোধে বিমসটেক দেশগুলোর মধ্যে আইনি সহযোগিতা চুক্তির ওপর গুরুত্ব দেন।
বিমসটেক দেশগুলোর মধ্যে অপরাধী বিনিময়ের বিষয়ে আলোচনা শুরুরও তাগিদ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
বিসমটেক জোটের সম্ভাবনার ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরে এর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আশা করেছেন তিনি।