কতো অফুরন্ত অমূল্য রতন,
পল্লী জননীর পরতে পরতে,
লুকিয়ে আছে।
ভোরের ¯িœগ্ধ হিমেল হাওয়া,
মোদের মন মাতিয়ে তোলে,
সুমধুর গানে।
ডাক ও খনার জ্ঞানগর্ভ বচন,
সর্বজন যাহা করিত স্মরণ,
নিয়ত হারিয়ে গেছে।
“মন মাঝি তোর বৈঠা নেরে”
এমন মধুর গানের সুর,
ক্রমশ লোপ পেয়েছে।
রাখাল, ভাটিয়ালী, মারফতী আর,
জারি, আধুনিক গানের মারপ্যাচেঁ,
পিষ্ট হচ্ছে নির্দ্বিধায়।
পল্লী সাহিত্যের দিগন্তহীন সমুদ,
শুকিয়ে হয়েছে অখন্ড মরূ,
অথচ আমরা নির্বিকার।
কে আছো মখমল মনের মানব?
হৃদয় যাহার আবেগপ্লুত সদা,
পল্লীর টানে।
মৃত পল্লী সাহিত্যেরে দানিতে প্রাণ,
স্বকরূণ সুরে তনুমন যাহার,
প্রত্যহ কাদেঁ।