somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্ষমা করে দে মা মনিরা

০৬ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত কাল আমার প্যান্টের পকেট কেটে টাকা নিয়ে গেল সুপ্রভাত বাসে। আমার মেয়েরা প্রায় দেড়মাস হলো নানা বাড়ীতে। আজ বৃহস্পতীবার তাদের আনতে যাব এই পরিকল্পনা ছিল। কতদিন মেয়েদের দেখিনা। কিন্তু সব পরিকল্পনা মাঠে মারা গেল। পকেটমারের ব্লেডের খোঁচায়।



দু:সময় যেনো আমার পিছু ছারছেনা। এর শুরু হয় ২০০৬ সালে। আমি যে এন.জি.ও তে চাকুরী করতাম তার পতনের মধ্য দিয়ে। এন.জি.ও টি সরকারী নিষেধজ্ঞার কবলে পড়ে। ফলে বন্ধ হয়ে যায় রোজি রোজগারের ধান্দা। আমি অন্যত্র চাকুরী চেষ্টা করি। এর মধ্যে বাবা ইন্তেকাল করলেন। আমার অবস্থা দিনকে দিন কাহিল থেকে কাহিল হতে লাগল। আত্মীয় -স্বজন বন্ধু বান্ধব সবাই কেমন যেনো দুরে সরে যেতে লাগলো। তাদের কথাবার্তা ব্যাবহারে বড়ই অচেনা মনে হতো তাদের। খুব বেশী প্রয়োজন না হলে কারো সাথে যোগাযোগ করতাম না। অনেকটা নিজের মাঝে নিজেকে নিয়ে বস্ত থাকা। এমনকি শশুর বাড়ী রসে হাড়ি সেখানেও তেমন যেতাম না। আমর শশুর বউ আর বাচ্চা কে নিয়ে যেতো। তখণ আমি তাদের আনার জন্য যেতাম।

নিজের অবস্থা পরিবর্তনে সচেষ্ট হলাম। বাবার পুরোনো দোকানটিকে ঘষে মেঝে ব্যাবসা শুরু করলাম। পাসাপাসি কোনমতে একটি চাকুরী যোগার করলাম নিকস্থ একটি গার্মেন্টেস এর এম.আই.এস অফিসার হিসেবে। গার্মেন্টস এর শ্রমিক মালিক দন্দ্বক্লীষ্ট পরিবেশে সেখানেও এক বছরের বেশী চাকুরী করা গেল না। অবশ্য সাথে সাথে আরো একটি প্রতিষ্ঠানে পেয়ে যাই ডাটা এন্ট্রীর কাজ। কিন্তু যার কপালে সুখ আল্লাহ লেখেনি সেকি তার স্বন্ধান সহযে পায়? এর মধ্যে জানা গেলো আমার পূর্বের নিষেধাজ্ঞা আরোপিত প্রতিষ্ঠান এ চাকুরী করা কালে আমার নামে একটি মামলা হয়েছে। সেরের উপর সোয়া সের। এমনেই কষ্টে সৃষ্টে দিন চলে এরপর আবার নতুন ভাবে মামলা ঝামেলা। ল্যা ঠ্যালা সামলা। যাহোক জামিনে থেকে মামলায় হাজীরা দিচ্ছি এখনো। রায় কি হয় ? কবে হয় জানি না? হাতে টেনেটুনে মাসিক বেতনটা ছারা আর কোন সম্বল নেই। এভাবেই চলছে।


মেয়েগুলো আজ কতদিন হল দুরে আছে । মোবাইলে তাদের কথা শুনি। তাদের কাছে পেতে ইচ্ছে করে। আদর করতে ইছ্চে করে। বেতনটা পেলেই তাদের কাছে যাবো কত পরিকল্পনা আমার। এর মধ্যে যদি এমন অকস্মাত নিয়তির খরগ এসে পরলে কোথায় যাই? মরার উপর খরার ঘা যেনো।

কেনো এমন হয় আমার সাথে বারে বারে। এর আগে এই বাসে আমার মোবাইল নিয়ে গেল। তখন বড় বোন একটি মোবাইল দিল। সেটাও গত বছর বাসা থেকে জানালা খুলে বড় বাঁশের মাথায় জাল লাগিয়ে দুরের উচু জায়গাথেকে চার্জ দেয়া অবস্থায় চুরি হয়ে যায়। আসলে কপালে যদি না থাকে ঘি ঠক ঠকালে হবে কি?

মেয়েগুলোকে বলেছিলাম বাবা আসছি। কিন্তু সে কথা রাখা হলো না বুঝি। অজাচিতরা চুরি করে নিয়েছে তোদের স্বপ্ন । ক্ষমা করেদে মা মনিরা।

কেন এমন হয় জানিনা।
আল্লাহই ভাল জানেন।
স্বপ্ন আর আশা গুলো চুরি হয়ে যায়।
কেন এমন হয় আমি জানিনা।

কেন বারে বারে মুরগী আমিই হই জানিনা।
জবাই আমিই হই জানি না।
আল্লাহই ভাল জানেন।
কেন এমন হয় আমি জানিনা।

কেন বারে বারে কষ্টগুলো ফিরে আসে জানিনা।
সাবার কাছে কেন হতে বেকুব মানব জানিনা।
আল্লাহই ভাল জানেন।
কেন এমন হয় আমি জানিনা।

কেন বারে বারে জীবন পথে কাঁটার খোঁচা জানিনা।
ঘরে বাইরে সর্বত্র যেনো কি একটা অমানীষা জাানিনা।
আল্লাহই ভাল জানেন।
কেন এমন হয় আমি জানিনা।

কেন বারে বারে হোচটখাই জানিনা।
রক্তক্ষরনের পর উঠে দাড়িয়ে কেন আবার পতন হয় জানিনা।
আল্লাহই ভাল জানেন ।
কেন এমন হয় আমি জানিনা।

কেন সবার কাছে অপদার্থ প্রমানিত হই জানিনা।
চারপাসে শুধু ঘুরছে কিসের যেনো অশনি সংকেত জানিনা।
আল্লাহই ভাল জানেন।
কেন এমন হয় আমি জানিনা।

কেন রুটি রোজগারের ধান্দায় বাগরা জানিনা।
একি কোন অভিশাপ নাকি পরিক্ষা নাকি শাষ্তি জানিনা।
আল্লাহই ভাল জানেন।
কেন এমন হয় আমি জানিনা।

কেন আমার কারনে সবাই থাকে অস্বস্তিতে জানিনা।
ভজঘট গোলমোলে পরিবেশর আমিই কেন মূল হোতা জানিনা।
আল্লাহই ভাল জানেন।
কেন এমন হয় আমি জানিনা।

কেন দু:সময়ে আপনজন বন্ধ বান্ধব ভূল বুঝে জানিনা।
কেন হারিয়ে যায় আস্থার জায়গা টুকু জানিনা।
আল্লহই ভাল জানেন।
কেন এমন হয় আমি জানিনা।

কেন পিতা সন্তানদের কাছে যেতে পারেনা জানিনা।
মাথায় হাতরেখে আদর করার ইছ্চে দমন করতে হয় জাানিনা।
আল্লাহই ভাল জানেন।
কেন এমন হয় আমি জানিনা।

জানিনা কেন ভাল ছেলে হতে পারলাম না ?
জানিনা কেন ভাল ভাই হতে পারলাম না?
জানিনা কেন ভাল স্বামী হতে পারলাম না?
জানিনা কেন ভাল বন্ধু হতে পারলাম না?
জানিনা কেন ভাল কর্মী হতে পারলাম না?
জানিনা কেন ভাল প্রতিবেশী হতে পারলাম না?
জানিনা কেন ভাল নাগরিক হতে পারলাম না?
জানিনা কেন ভাল একজন মানুষ হতে পারলাম না?

হাজারো কেন উত্তর আমি জানিানা
আল্লাহই ভাল জানেন।
২১টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×