লুটের ঘটনায় ব্যাংক ব্যবস্থাপকসহ আটক আরো ৭

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় সুড়ঙ্গ খুঁড়ে সোনালী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ৩০ লাখের বেশি টাকা লুটের ঘটনায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপকসহ আরো সাতজনকে আটক করা হয়েছে।

বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 March 2014, 07:53 AM
Updated : 9 March 2014, 08:06 AM

এ নিয়ে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোট ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

আদমদীঘি থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, টাকা লুটের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রোববার সকালে ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মো. শামছ উদ্দিন শরীফসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে।

আটক অন্যরা হলেন- ব্যাংকের নিরাপত্তারক্ষী রুহুল আমীন, ব্যাংক কার্যালয় সংলগ্ন বিপ্লব ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী শফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, আব্দুল ওহেদ, মো. মৃদুল, পাশের ওয়েলডিং দোকানের কর্মচারী আব্দুল লতিফ।

আদমদীঘি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সোনালী ব্যাংকের কার্যালয় সংলগ্ন বিপ্লব ফার্নিচারের দোকান থেকে সুড়ঙ্গ কেটে ব্যাংকের ভল্ট থেকে ৩০ লাখ ৭৯ হাজার ৮০০ টাকা লুট হয়।

শনিবার বিকালে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. শামছ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের প্রার্থীদের টাকা লেনদেনের জন্য সোনালী ব্যাংকের সব শাখা শনিবার খোলা ছিল। তবে ব্যাংকে লেনদেন হয়নি।

“বিকাল ৪টার দিকে ব্যাংক থেকে যাওয়ার পথে ভল্টের কাছে চেক করতে গিয়ে দেখতে পাই ভল্ট খোলা। পরে পুলিশসহ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাই।”

বৃহস্পতিবার ব্যাংক বন্ধ করার সময় ভল্টে ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৭ টাকা রেখে গিয়েছিলেন বলে জানান তিনি।

পরে রাতে ভল্টের আশপাশ ও সুড়ঙ্গের ভিতরে ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় এক লাখ ৭২ হাজার ১৮৪ টাকা পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় রাতেই ব্যাংকের ক্যাশিয়ার আজহার উদ্দিন, নিরাপত্তা রক্ষী মিলন (২৪) ও পূর্ণ চন্দ্র (২২) এবং ‍বিপ্লব ফার্নিচারের মালিক আশরাফুল ইসলাম ও তার কর্মচারী শাহীনুর ইসলামকে আটক করা হয়।

ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় শনিবার রাতেই সোনালী ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আব্দুস সামাদ বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। তবে তাতে আসামি হিসেবে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি।

মামলায় বলা হয়েছে, ব্যাংকের ভল্টে ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৯০০ টাকা জমা ছিল। সেখান ৩০ লাখ ৭৯ হাজার ৮০০ টাকা খোয়া গেছে।

এর আগে ২৬ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ শহরে সোনালী ব্যাংকের অফিসে সুড়ঙ্গ খুড়ে ১৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা চুরি হয়। দুদিনের মাথায় এই চুরির মূল হোতা সোহেল ওরফে হাবিবসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তাদের কাছ থেকে চুরির ১৬ কোটি ১৯ লাখ ৫৬ হাজার ৬৪ টাকা উদ্ধার করা হয়।