শুনানিতে আইনজীবী রোকনউদ্দিন মাহমুদের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে কয়েকটি সংগঠনের দেয়া বিবৃতি প্রকাশ করায় দৈনিক সমকাল ও নয়া দিগন্তের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছে হাই কোর্ট।
Published : 09 Mar 2014, 02:31 PM
রোববার প্রথম আলোর একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানির শুরুতেই বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমদের বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
সমকাল ও নয়া দিগন্তের সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকরের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে ওই রুলে।
রোকনউদ্দিন মাহমুদের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে বিবৃতি দেয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহেদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান এবং বরিশাল বিভাগ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আবদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খানকে আগামী বুধবার আদালতে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত দুটি লেখা নিয়ে সম্প্রতি পত্রিকাটির যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানকে তলব করে হাই কোর্টের একই বেঞ্চ। তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার শুনানি শুরু হয়।
ওই বিবৃতির ভিত্তিতে দৈনিক সমকাল ও নয়া দিগন্তে প্রকাশিত প্রতিবেদন রোববার আদালতের নজরে আনেন রোকন উদ্দিন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আদালত অবমাননার রুল দেন।
এ সময় আদালত বলে, বিচারাধীন বিষয়ে এ ধরনের বিবৃতি প্রকাশ করা যায় না।
“বৃহস্পতিবার আমরা সতর্ক করেছিলাম। বিবৃতি প্রকাশের বিষয়ে আমরা মৌখিকভাবে বারণ করেছিলাম। কিন্তু তা প্রতিপালন করা হয়নি। আজ তাই আমরা আদালত অবমাননার রুল দিচ্ছি।”
‘রোকনউদ্দিন মাহমুদের বক্তব্যের প্রতিবাদ বিভিন্ন সংগঠনের’ শিরোনামে দৈনিক সমকাল রোববার ওই বিবৃতি ছাপে। ‘রোকন উদ্দিন মাহমুদের বক্তব্যের প্রতিবাদ ডিআরইউ’র’ শিরোনামে একই খবর ছাপে দৈনিক নয়া দিগন্ত।
রোববার শুনানিতে রোকনউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “আদালতে আইনজীবীর বক্তব্য প্রিভিলেজ। সেখানে তারা বলছে, রোকনউদ্দিন মাহমুদকে ক্ষমা চাইতে হবে, বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। এটা কিভাবে সম্ভব? আদালতে দেয়া বক্তব্য কিভাবে প্রত্যাহার করব?”