বগুড়ার আদমদীঘিতে সোনালী ব্যাংকে সুড়ঙ্গ পথে লকার ভেঙে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা লুট হয়েছে বলে কি ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে। এ ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের ২ প্রহরী ও পার্শ্ববর্তী ফার্নিচারের মালিক এবং কর্মচারীকে পুলিশ আটক করেছে। এ ঘটনার পর আদমদীঘিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতাযেন করা হয়েছে। তোলপার শুরু হয়েছে পুলিশ প্রশাসনে।
ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে জামানতের টাকা জমা দেয়ার কারণে গতকাল সোনালী ব্যাংক আদমদীঘি শাখা খোলা রাখা হয়। কিন্তু সারাদিন খোলা থাকলেও লেনদেন হয়নি। সেকারণে ব্যাংকের লকারও বন্ধ থাকে। একপর্যায়ে সন্ধ্যা ৭টায় ব্যাংক কর্মকর্তা ভোল (লকার) খুলতে গিয়ে দেখতে পান সিন্ধুক ভাঙা। সুড়ঙ্গ পথ দিয়ে ডাকাত দল প্রবেশ করেছিল। পরে তদন্ত করে দেখনে সোনালী ব্যাংকের পশ্চিম পাশের বিপ্লব কাঠের ফানির্চারের দোনানের ভিতর থেকে ডাকাত দল সুড়ঙ্গ করে ব্যাংকে প্রবেশ করেছে। খবর পেয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে তদন্ত শুরু করে। তদন্তে ব্যাংকের ভোল (লকার) থেকে মাত্র ১৬ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। আর ৩২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা লুট হয়েছে বলে তদন্তে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের প্রহরী মিলন মিয়, পূর্ণ দেব, বিপ্লব ফার্নিচারের মালিক আশরাফুল ইসলাম ও কর্মচারী শহিদ মিয়াকে পুলিশ আটক করেছে।
সোনালী ব্যাংক আদমদীঘি শাখার ম্যানেজার শামছুদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, তিনতলা ভবনের নিচতলায় সোনালী ব্যাংক। পার্শ্ববর্তী বিপ্লব ফার্নিচারের ভেতর থেকে সুড়ঙ্গ করে সোনালী ব্যাংকে ডাকাত দল প্রবেশ করেছে। ব্যাংকের ভোলটি (লকারে) ৩২ লাখ ৫১ হাজার টাকা ছিল। পরে তদন্তে ওই লকারে ১৬ হাজার টাকা পাওয়া যায়। আর ৩২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা লুটে নিয়েছে ডাকাত দল।
সূত্রঃ আমার দেশ
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩০