somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একজন নারী নিজেকে তৈরি করে একজন পুরুষের জন্য এবং একজন পুরুষ নিজেকে তৈরি করে তার জীবনে একজন নারী আসবে ।

১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সৌন্দর্যের সংজ্ঞা নিয়া নানান ধরনের বিতর্ক আছে । এর মধ্যে প্রকৃতি ও নারীর সৌন্দর্য নিয়ে সবচেয়ে বেশি লেখা ও চর্চা করা হয়েছে । নারীর মুখশ্রী ও শারীরিক গঠন এর উপর সাধারনত পুরুষরা সৌন্দর্য খোজার বেশি চেষ্টা করে বিধায় নারীও তার শারীরিক গঠন ও মুখশ্রীকে যথা সম্ভব উপযোগী করে পুরুষের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করে । অপরদিকে নারীর কাছে পুরুষের সৌন্দর্য এক কালে শৌর্যের মধ্যে থাকলেও কালের সামাজিক বিবর্তনে তা শৌর্যের সাথে সম্পদ ও ক্ষমতাও যুক্ত হয়েছে । এখন প্রবাদ আছে পুরুষের আবার চেহারা ও বয়স কি ? অর্থ সম্পদের মালিক হলেই হোল । প্রকৃতিগত ভাবে নারী ও পুরুষের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য আছে বৈ কি । নারী হচ্ছে মা যিনি গর্ভধারন করেন এবং মানব বংশ বৃদ্ধি করেন । যদিও প্রাণী জগতের সকল নারী প্রজাতিই বংশ বৃদ্ধির ধারক ও বাহক । তথাপি একজন পুরুষের সংগ ছাড়া এই বংশ বৃদ্ধির কার্যক্রম প্রাণী জগতের কোন নারীরই একার পক্ষে করা সম্ভব নয় । প্রানিকুলের মধ্যে মানব জাতীর নারী ও পুরুষের মধ্যে একটি প্রাকৃতিক বৈজ্ঞানিক পার্থক্য কোন একটি বিজ্ঞান সাময়িকীতে পরেছিলাম । একজন নারী সারাজীবনে মাত্র ১৯ বার গর্ভ ধারন করতে পারে অপরদিকে একজন পুরুষের একবারের স্খলিত বীর্য দিয়ে ৫০০ কোটি নারীকে গর্ভবতী করা যায় । সেই হিসেবে নারী ও পুরুষের মধ্যে প্রকৃতি গত ক্ষমতার পার্থক্য আছে বলেই ধরে নেয়া যায় । তা নারীবাদীরা যতই নারীদের পুরুষের সমকক্ষ হিসেবে দাবী করুক শারীর ও প্রকৃতি সেই সমকক্ষকে স্বীকৃতি দেয় না । আর এই শারীরিক গঠন ও সমাজ - প্রকৃতিতে নারী পুরুষের ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্ব থাকার কারনে নারী - পুরুষের মানসিক গঠনও অনেক ভিন্ন । মানসিক গঠনটা এই রকমঃ একজন নারী নিজেকে তৈরি করে একজন পুরুষের জন্য এবং একজন পুরুষ নিজেকে তৈরি করে তার জীবনে একজন নারী আসবে । এখানেই দৃষ্টি ভঙ্গির পার্থক্য । এই দৃষ্টি ভঙ্গী প্রকৃতি ও সমাজ সৃষ্ট । এই দৃষ্টি ভঙ্গী পরিবর্তন যোগ্য নয় বিধায় এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা একটি ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছুই নয় ।
কথা শুরু করেছিলাম সৌন্দর্য নিয়ে । নারীর চোখে যে পুরুষ সুন্দর আর পুরুষের চোখে যে নারী সুন্দর তা হচ্ছে আসল নারী পুরুষের সৌন্দর্য । একজন পুরুষের বা নারীর সুধু শরীর ও মুখশ্রী চোখে পরে না । মেয়েলীপনার বা পুরুষালীর নানা দিক চোখে পরে । এর মধ্যে হাটা, চলা, হাসি, কথা বলার ঢং, আচরন , রুচি, ফ্যাশন , শিক্ষা , সংস্কৃতি সকল কিছু মিলেই সৌন্দর্য তৈরি হয় । কোন নারী প্রকৃতি গত ভাবে পুরুষ বিদ্বেষী হতে পারে না । কারন প্রকৃতিগত ভাবে একজন নারী গর্ভধারণের জন্য তৈরি বিধায় পুরুষের প্রতি তার আকর্ষণ থাকাটাই স্বাভাবিক বরং না থাকাটাই অস্বাভাবিক । অপরদিকে একজন পূর্ণবয়স্ক গর্ভধারণের জন্য তৈরি একজন নারীর প্রতি পুরুষের আকর্ষণও প্রকৃতিগত । এর কোন ব্যত্যয় ঘটা মানে মানসিক সমস্যা বা বিকৃতি অথবা বলা যেতে পারে মানসিক রোগী । নারী ও পুরুষের পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ বোধও সৌন্দর্যের অংশ । সেই আকর্ষণের প্রতিফলন নারী বা পুরুষ নানান কায়দায় প্রতিফলিত করে । এর বেশিরভাগ চর্চা হয় সাহিত্যে ও সংস্কৃতিতে । শিল্প - সাহিত্যের একটি বড় অংশ জুড়ে আছে নারী - পুরুষ সম্পর্ক । এই সম্পর্ককে মানুষ প্রেম - বিয়ে ইত্যাদি নামে ও বন্ধনে সংজ্ঞায়িত করেছে ।
যারা নারীবাদী বা শুধু নারীদের নিয়ে কথা বলে এবং নারীকে পুরুষের সমকক্ষ রুপে দাড় করায় তারা সামজের নারী পুরুষ সম্পর্কের সৌন্দর্যকে নষ্ট করে । প্রাণী জগতের সকল পুরুষ ও নারী যেমন মানুষ তার থেকে ভিন্ন নয় । ভিন্নতা যতটুকু তা মানুষের বিকৃতি । এই বিকৃতি চর্চা একটি হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয় । মানুষ সমাজ তৈরি করেছে মানুষের বুদ্ধি দ্বারা । সেই সমাজের স্বাভাবিক বিকাশের অংশ হিসেবে নারী পুরুষের ভুমিকা ভিন্ন । এই ভিন্নতা যেমন প্রকৃতিতে তেমন সমাজে । সমাজ গঠনের প্রারম্ভিক সময়ে যে শ্রম বিভাজন তৈরি হয় তা মুলত নারী পুরুষের প্রকৃতিগত শারীরিক গঠন থেকেই তৈরি হয় । এই শ্রম বিভাজনের অংশ হিসেবে নারী গৃহস্থালির কাজে ও পুরুষ অন্ন সংস্থানের কাজের সাথে জড়িত হয় । সেই জায়গা থেকেই নারী ও পুরুষের ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি গরে উঠে । এবং সেই সাথে নারী - পুরুষ পরস্পরকে সেইভাবে দেখতে অভ্যস্ত ।
আমরা এখন নারী দিবস পালন করি একটি ভিন্ন দৃষ্টি ভঙ্গী নিয়ে । যেখানে বলা হয় নারীরা পুরুষের দ্বারা নির্যাতিত । সমাজের সকল স্থানেই নারীরা নির্যাতিত । সমাজ ও সংসারে নারীরা নির্যাতিত পুরুষের দ্বারা নয় । নির্যাতিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা দ্বারা । দারিদ্রতা নারী নির্যাতনের অন্যতম কারন । নারী পাচার , নারীকে শারীরিক ভাবে আঘাত , নারীর শরীরকে পন্য হিসেবে ব্যবহার ইত্যাদি সংক্রান্ত নির্যাতন হয় দারিদ্রতা থেকে । একজন পুরুষ শ্রম বিভাজনের শিকার হয়ে পরিবারের আয় রোজগারের দায়িত্বে নিয়োজিত কিন্তু সমাজ বা রাষ্ট্র তাকে কাজ দিতে পারছে না । কিন্তু নারী বসে আছে পুরুষের আয়ের উপর । এই শ্রমবিভাজন থেকেই নারী নির্যাতনের বেশীরভাগ অংশের উৎপত্তি । নারী দিবসের প্রবক্তারা দারিদ্রের কথা বলে না, ধর্মীয় অনুশাসনের জন্য নারীরা কাজ করতে পারে না সেই কথা বলার সাহস পায় না । অথচ নারী নির্যাতনের জন্য সোজা সাপটা পুরুষকে দায়ি করে বসে যা নারীদের মধ্যে পুরুষ বিদ্বেষী মনোভাব তৈরি হয় । এই নারীবাদি বক্তব্যের জন্য বিশ্বে যত টাকা খরচ হয় তার দ্বারা প্রতি বছর ৫ কোটি নারীর কর্ম সংস্থান করা যায় ।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:২৭
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×