শ্রীপুরের ভোট স্থগিত

ভোটের তিন দিন আগে মঙ্গলবার ‘সুষ্ঠু পরিবেশ’ না থাকার কথা জানিয়ে কমিশনের এই সিদ্ধান্ত এলো।

উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় দফায় আগামী ১৫ মার্চ আরো ৮০ উপজেলার সঙ্গে শ্রীপুরেও ভোট হওয়ার কথা ছিল।

এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শুরুর পর এই প্রথম ভোটের আগে কোনো উপজেলার ভোট স্থগিত হলো।

নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেন, “সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় নির্বাচন স্থগিত করেছি আমরা।”

শ্রীপুরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে প্রচার চালিয়ে আসছিলেন গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হাসান সবুজ। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সমর্থক হিসাবে পরিচিত।

কিন্তু উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল জলিল জেলা নেতাদের মতের বাইরে গিয়ে থানা আওয়ামী লীগের একাংশের সমর্থনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন। তিনি স্থানীয় সাংসদ মো. রহমত আলীর সমর্থক হিসাবে পরিচিত। 

একই পদে ক্ষমতাসীন দলের দুই নেতার প্রচারের মধ্যেই গত শুক্রবার র‌্যাবের হাতে আবদুল জলিলের আটক হওয়ার খবরে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় তার সমর্থকরা।

জলিলকে ছেড়ে দেয়ার পর কর্মী-সমর্থকরা চলে গেলেও নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল হোসেন সবুজের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে শনিবার তাদের সংঘর্ষ বাঁধে।

সংঘর্ষের সময় প্রকাশ্যে গুলি ছোড়া, গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। আহত হন অন্তত ৫০জন। ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী আল আমিন রোববার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এই প্রেক্ষাপটে ইকবাল হোসেনের বদলে জলিলকে নির্বাচনে সমর্থন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজমত উল্লাহ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে  বলেন, “দলের বৃহত্তর স্বার্থে হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন।”

এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি ও ২৭ ফেব্রুয়ারি দুই ধাপে ভোটের সময় অনিয়মের অভিযোগে শতাধিক কেন্দ্র স্থগিত করে ইসি। নোয়াখালী সদর উপজেলার ভোটও স্থগিত করা হয়।

আগামী ১৫ মার্চ তৃতীয় ধাপের ভোটের পর ২৩ মার্চ চতুর্ধ ধাপে ৯৩ উপজেলা ও পঞ্চম ধাপে ৭৪ উপজেলায় ভোটের কথা রয়েছে।