বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিরোধিতা করে বিএনপির মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
Published : 13 Mar 2014, 06:07 PM
বিইআরসির ঘোষণার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায় বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বিদ্যুতের দাম গড়ে ৬.৯৬ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বিকালেই জানায় এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় ফখরুল বলেন, “এতে মানুষের ভোগান্তি বাড়বে। আমরা সরকারের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানাচ্ছি।”
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ফখরুল বলেন, “কুইক রেন্টালের চুরি হালাল করতেই সরকার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে।”
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
শ্রমিক দল সভাপতি নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক জাফরুল হাসান, সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের খাজা, নুরুল ইসলাম খান নাসিম, শফিউল ইসলাম, মিয়া মিজানুর রহমান বক্তব্য রাখেন।
‘যা হওয়ার হয়েছে, এবার নির্বাচন দিন’
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়া আওয়ামী লীগ সরে গেছে বলে দাবি করেন ফখরুল।
“তারা একদলীয় শাসনের লেবাসে দেশকে গণতন্ত্রহীন করে ফেলেছে,” বলেন তিনি।
৫ জানুয়ারির ‘ভোটারবিহীন’ নির্বাচনের কথা তুলে ধরে ফখরুল বলেন, “যা হওয়ার হয়েছে, এবার অতিদ্রুত সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। নির্দলীয় সরকারের অধীনে সব দল যাতে অংশ নিতে পারে, সেরকম নির্বাচন দিতে হবে।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে বিরোধী নেতা-কর্মীদের দমন-পীড়ন বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
“যারাই সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে সরকার মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিচ্ছে। খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। আগে কখনোই শুনিনি এরকম মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয়া হয়।”
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ঘিরে রাজধানীতে সাজ-সজ্জার দিকে ইঙ্গিত করে ফখরুল বলেন, “যত ঢাকঢোল বাজান না কেন, শহরে যত আলোকসজ্জা করেন না কেন, দেশে আজ গণতন্ত্র নেই।”