somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কল্পগল্পঃ ট্রেসলেস রেভুল্যাশন !

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক

-কি মনে হচ্ছে ?
-বুঝতে পারছি না !
-আপনার মনে হয় সারভাইভ করবে ?
-আরও কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে দেখি !
-দেখুন ব্রেন টা কিভাবে গ্রো করছে ? দেখুন দেখুন !
-হুম ! এই তো কাজ হচ্ছে মনে হচ্ছে ! আমরা সফল হতে চলেছি !
-আমরা না ! ড. টমাস মিরিনসো ক্সাইলেন সফল হতে চলেছেন !


দুই
২০৫০ সাল

দুপুরের খাওয়া শেষ প্রেসিডেন্ট একটু বিশ্রাম নেন । আজকে অনেক দিন পরে একটু অবসর পাওয়া গেছে ! মনে মনে ঠিক করে নিলেন আজকে সারা বিকাল তিনি তার মেয়ের সাথে কাটাবেন ! কাজের চাপে মেয়েকে একদম সময় দেওয়া হয় না ! আজকে সময়টা তিনি মেয়ের সাথেই কাটাবেন ! তিনি মেয়েকে ডাকতে যাবেন এমন সময় তার নিজেস্ব সহকারী হন্তদন্দ হয়ে ঘরে ঢুকলো ! চেহারা দেখেই মনে হচ্ছে সাংঘাতিক কিছু হয়েছে !
-কি ব্যাপার ?
-স্যর, রাশিয়া আমাদের ওয়াশিংটন বরাবর নিউক্লিয়ার মিশাইল থ্রো করেছে !
প্রেসিডেন্ডের মনে হল তিনি ভুল শুনলেন !
-কি বললে তুমি ?


তিন
আমার বিস্তৃত হাসি দেখে তন্বীর মুখটা বিরক্তিতে ভরে গেল ! এমন একটা ভাব যেন আমি হেসে বড় অন্যায় করে ফেলেছি !
আরে বাবা একজন মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছি একটু হাসবো না ?
আদনান সাহেব আমার দিকে তাকিয়ে আবারও বলল
-আপনাকে কি বলে যে ধন্যবাদ দিবো বুঝতে পারছি না !
আমি আর একটু হাসি বিস্তৃত করে বললাম
-আরে কোন ধন্যবাদ দেওয়ার দরকার নেই ! তন্বী তো আমার বন্ধু তাই না ?
-জি জি ! তা তো অবশ্যই ! আচ্ছা ! আমি আর বেশিক্ষন থাকতে পারবো না ! আপনারা পড়াশুনা করুন !
-কোন সমস্যা নেই !
-তন্বী আপনার কথা প্রায়ই বলে ! আপনি না থাকলে ওর গ্রেড নাকি একদম জিরোতে চলে যেত । জানেনই তো এখন গ্রেড পয়েন্ট টা কত জরুরী ! একটা ভাল জীবন, একটা ভাল লাইফ স্টাইল, ভাল সুযোফ সুবিধার জন্য একটা ভাল গ্রেড দরকার !
-জি ! তা তো অবশ্যই !

আমি তন্বীর দিকে তাকিয়ে দেখছিলাম আমি আদনান সাহেবের সাথে যতই কথা বলছিলাম তন্বী ততই বিরক্ত হয়ে উঠছিল ! আরে এই মেয়েটা কি ? একটু কথাও বলতে দিবে না দেখছি !
আদনান সাহেবের মনে হয় আরও কিছু বলার ইচ্ছা ছিল কিন্তু দেখলাম তন্বী তাক কথা বলার সুযোগ দিলো না ! বলল
-তোমার না অফিসে দেরী হয়ে যাচ্ছে ?
-ও হ্যা ! যাচ্ছে তো !
-তাহলে এখানে কেন দাড়িয়ে আছো ? জানো না এখন টাইম টেবিলটা কত স্ট্রীক !
-ও হ্যা হ্যা ! আচ্ছা অপু সাহেব ! আপনার পড়াশুনা করুন ! আমি যাই !
আমি কথা না বলে আবার সেই বিস্তৃত হাসি দিলাম !

আদনান সাহেব চলে যাওয়ার পরে তন্বী আমার দিকে বিরক্তি নিয়ে তাকিয়ে বলল
-কি ব্যাপার ? এতো ফাউ প্যাঁচালের দরকার কি ?
-আরে আশ্চার্য ! তোমার বয়ফ্রেন্ড ! একটু কথা বলবো না ?
তন্বী আবারও একটু বিরক্তি নিয়ে বলল
-ও আমার বয়ফ্রেন্ড না ! ফিওনসে !
-ও হ্যা ! তাই তো ! ও তোমার তোমার বয়ফ্রেন্ড হতে পারবে না ! তোমার বয়ফ্রেন্ড তো আমি !
এই কথা বলেই আমি জোড়ে হেসে উঠলাম ! তন্বী আরও একটু বিরক্ত হয়ে উঠলো !
বিরক্ত নিয়েই বলল
-তুমি কি একটু সিরিয়াস হবে না ? দেখো বিয়ের দিন এগিয়ে আসতেছে ! গ্রেজুয়েশন শেষ হতে আর মাত্র মাস খানেক বাকি আর তারপরেই আদনানের সাথে আমার বিয়ে হয়ে যাবে ! তখন ? তখনই কি এই রকম ভাবে দাঁত কেলিয়ে হাসতে পারবে ?
-ও ! বেইবি ! রিল্যাক্স ! কোন চিন্তা কর না !

আমি যদিও ওকে রিলাক্স হতে বললাম তবে ও খুব একটা রিলাক্স হল বলে মনে হল না ! কিছু একটা করতে না পরলে আসলেই আদনানের সাথে তন্বীর বিয়ে হয়ে যাবে ! আমি চেয়ে চেয়ে দেখবো ! কদিন পরে আমাকে বিয়ে করতে হবে টমিক্সের পছন্দ মত মেয়েকে !

মাঝে মাঝে এমন রাগ লাগে এই মুল কন্ট্রোলার টমিক্সের উপরে ! বেটা দুনিয়ার সব কিছু তুই নিয়ন্ত্রন করিস এতে তোর মন ভরে না ? আমি কাকে বিয়ে করবো সেইটাও তোর ঠিক করে দেওয়া লাগবে ?
থাপড়ায়া কান গরম করে দেওয়া উচিৎ !
কান কিভাবে গরম করবো ? বেটার তো কানই নাই !

যাক কান না থাকলে কি হবে, বেটার কিছু একটা গরম আমি ঠিকই করে দিবো ! বেটা ঘুঘুর ফাঁদ দেখেছে ঘুঘু দেখে নাই !


২২ শতকের শেষ সময়ে এসেই টমিক্স পুরো পৃথিবীকে চালায় ! ২০৫০ সালে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধে পৃথিবীর প্রায় সব গুলো দেশ একে অন্যের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে পড়ে ! ফলাফল স্বরূপ প্রচুর লোক মারা যায়, বলতে গেলে প্রায় সব মানুষই মারা যায় ! পৃথিবীর লোক সংখ্যা ৭০০ বিলিয়ন থেকে মাত্র ৭০ হাজারে নেমে আসে !
যুদ্ধ চলে প্রায় ১১ বছর ধরে ! যুদ্ধ যখন শেষ হয় তকখন পৃথিবীর আর কিছুই বাকি ছিল না ! একটা বিল্ডিংও মাথা উচু করে দাড়িয়ে ছিল না ! ২০৬১ সালের আবার সব নতুন করে সব কিছু শুরু হয় ! নিউক্লিয়ার আর পরমানু অস্ত্রের ব্যবহারের ফলে পৃথিবীর প্রায় সব জায়গায়ই বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে ! কিছু নিরাপদ জায়গা বেছে মানুষ বসবাস শরু করে ! এবং আশ্চার্য ভাবে লক্ষ্য করা গেল মাত্র কয়েক বছরেই নতুন পৃথিবীটা জ্ঞান বিজ্ঞানের নতুন এক পথে অগ্রসর হয়ে পড়লো ! বিগত শতাব্দী গুলোতে মানুষ যা করতে পারে নি এই শতকে মাত্র ৪০ বছরে সব কিছু একেবারে আধুনিক হয়ে গেল ! পৃথিবীর মাঝ খানে এক নতুন কম্পিউটার স্থাপন করা হল যার নাম টমিক্স ! খাদ্য উৎপাদ থেকে শুরু করে বন্টন সহ সব ধরনের কাজ কর্ম নিয়ন্ত্রিত হতে লাগলো টমিক্স দ্বারা !

মোটামুটি এই টুকুই আমি জানি ইতিহাস । পাবলিক লাইব্রেরিতে আজকাল আর কেউ যায় না আমি মাঝে মাধ্যে গিয়ে নতুন মানব সভ্যতার ইতিহাস নিয়ে পড়াশুনা করি ! খুব তথ্য কোথাও পাওয়া যায় না ! তবে আমার কেন জানি মনে হয় কেউ একজন খুব চরুরতার সাথে সেই সব তথ্য গুলো সরিয়ে ফেলেছে । নতুবা এতো শত বই কিন্তু ২০৫০ থেকে ২১০০ সাল পর্যন্ত ইতিহাস একেবারে দায়শারা ভাবে লেখা হয়েছে । কিছু একটা লুকিয়ে রাখা হয়েছে !
কি সে টা কে জানে !

যাক সেইটা এখন সমস্যা না ! সমস্যা হচ্ছে হাতে মাত্র মাস দুয়েক সময় আছে । এর ভিতর কিছু একটা করতে হবে ! নতুন তন্বী ফুরুৎ হয়ে যাবে ।
পুরানো দিনের ইতিহাস থেকে জানতে পেরেছি আগে ছেলে মেয়েরা নাকি নিজের ইচ্ছে মত বিয়ে করতে পারতো, কেবল দুজন দুজন কে পছন্দ করলেই হত ! কিংবা পরিবারের পছন্দ !
এখনকার দিনে সেটা কল্পনাই করা যায় না ! জন্মের পর থেকেই টমিক্স ঠিক করে দেয় ছেলে কিংবা মেয়ে কোন স্কুলে যাবে কি নিয়ে পড়া শুনা করবে ! তার সাথে ডিএনএ গঠন পর্যবেক্ষন করে ও ঠিক করে দেয় মেয়েটা বড় হয়ে কোন ছেলের সাথে বিয়ে করবে !
এইটা কিছু হইলো !
আদনান সাহেব ঠিক এই ভাবেই তন্বীর ভাবী বর !

অবশ্য আমার জন্যও ঠিক করা আছে । মেয়েটার সাথে আমার বেশ কয়েকবার দেখাও হয়েছে । পাশের শহরে থাকে । নাম ইমি ! মাঝে মাঝেই আসে এখানে ! খারাপ না মেয়েটো !
কিন্তু মেয়েটা কে আমি ভালবাসি না ! তন্বীকে ভালবাসি ! আর আমি কাকে আমার জীবন সঙ্গী হিসাবে বেছে নিবো এটা একটা মাথা মোটা কম্পিউটার কিছুতেই ঠিক করে দিবে না ! বেটাকে থাপড়িয়ে পাগল বানিয়ে দিবো !


চার

প্রোফসর মালিক জামান আমার দিকে অনেক্ষন একভাবে তাকিয়ে রয়েছেন । আমি ভদ্রলোকে খুব ভাল করে চিনি এই কথা বলা যাবে না ! তবে উনার কয়েকটা ক্লাস করেছি ! বেশ ভাল পড়ায় ! আজকে হঠাৎ আমাকে কেন ডাক দিয়ে নিজের কেবিনে বসালেন ঠিক বুঝতে পারছি না ! আমার মত ক্ষুদ্র মানুষকে এমন একজন মানুষ কেন ডাক দিবে আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না !

অনেকক্ষন চুপ করে থেকে হঠাৎ তিনি বললেন
-তুমি কি জানো তোমাকে আমি বেশ কয়েক দিন থেকে লক্ষ্য করছি !
আমি একটু চমকালাম !
আমাকে কেন লক্ষ্য করবে এই ভদ্রলোক ! আমি তো ঠিক বুঝতে পারছি না !
আমাকে চুপ করে থাকতে দেখে জামান মালিক বলল
-আমার কেন জানি মনে হচ্ছে তুমি কদিনের ভিতরেই কিছু একটা অন্যায় করতে যাচ্ছ ?
এইবার আমি সত্যি সত্যিই বেশ চমকালাম ! লোকটার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখি আমার দিকে সে তীক্ষ চোখে তাকিয়ে আছে !
আসলে লোকটা কি করতে চয় ঠিক বুঝতে পারছি !

জামান মালিক বলল
-তুমি ঐ মেয়েটাকে ভালবাসো তাই না ?
খাইছে ! এ লোকটা কে ?
টমিক্সের কেউ ?
না । তা তো মেন হচ্ছে না ! কারন এই লোক যদি টমিক্সের কেউ হত তাহলে আমাকে এতোক্ষনে গ্রাউন্ড সাবটারফেজে নেওয়া হত ! তারপর মেমরী রিপ্লেমেন্ট প্লান্টের ভিতর ঢুকিয়ে দিতো ! এখনও যেহেতু সেটা করা হয় তাই মনে হচ্ছে ভদ্রলোকের মতলব অন্য খানে !
আমি এবারও কোন কথা না বলে কেবল তাকিয়ে রইলাম !
জামান মালিক বলল
-আমি যতদুর জানি নিজের সিলেকটেক পার্সোনের বাইরে কাউকে ভালবাসা অন্যায় ! এর জন্য তোমাকে গ্রাউন্ড সাবটারফেজে যেতে হতে পারে এটা জানো ?
-জি জানি ?
-তো কি ইচ্ছা ?
-আপনার কথা আমি ঠিক বুঝতে পারছি না ! যদি একটু পরিস্কার করে বলতেন !
-বলবো ! তার আগে আমি নিশ্চিত হতে চাই যে তুমি নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বাসযোগ্য কি না !

জামান মালিক আরও কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে রইলো ! কি বলতে মনে মনে ঠিক করে নিল ।
তারপর বলল
-তুমি কি ট্রেসলেস রেভুলেশনের কথা শুনেছ ?
আমি একটু ভুরু কুচকে তাকালাম লোকটার দিকে ! লোকটা আমাকে কি বলতে চায় ? বেটা কি বিদ্রোহী নাকি ? আমাকেও দলে ভেড়াতে চায় ?
আমি একটু নড়ে চড়ে বসলাম !
লোকটা আবার বলল
-আমি জানি তুমি জানো ! অনেকেই জানে ! কিন্তু কেউ এটা মুখে স্বীকার করে না !


ট্রেসলেস রেভুলেশনের কথা আসলেই অনেকেই জানে তবে স্বীকার করে না মুখে ! আমরা মানুষ হয়ে কেন একটা মেশিনের কথা মত চলবো এবং তার নির্ধারিত পথে আমাদের হাটতে হবে এই প্রশ্ন তুলে অনেকে টমিক্সে সাথে বিদ্রোহ ঘোষনা করেছে ।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমাদের প্রত্যেকের দেহে একটা করে ট্র্যাকিং ডিভাইস সেট করা আছে যেটা দিয়ে টমিক্স আমাদের উপর নজর রাখে । আমাদের যোগাযোগ রাখে ! আমাদের শরীরের দিএনএর সাথে সামাঞ্জস্য রেখে এই ডিভাইস কাজ করে ! এই বিদ্রোহী গুলো নিজেদের দেহ থেকে সেই ট্র্যাকিং ডিভাইস বের করে ফেলেছে !
এখন চাইলেও টমিক্ক্স তাদের কি ট্রেস করতে পারবে না ! কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ডিভাইস বের করে ফেলার সাথে সাথে তারা এই পৃথিবীর কেউ না হিসাবে গন্য হবে ! এখানকার কোন প্রকার সুযোফ সুবিধা তারা আর পাবে না !
এখন তারা সবাই হয়ে গেছে ট্রেসলেস ! কিন্তু শরীর থেকে ট্র্যাকিং ডিভাইস বের করে ফেলা লেভেল ফোর অপরাধ ! যার একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড !

আমি উঠে পড়তে পড়তে বললাম
-সরি স্যার ! আপনি কি বলছেন আম বুঝতে পারছি না ! আরও ভাল করে বললে আমি এসব বুঝতে চাচ্ছি না !

প্রফেসর আমার কাছ থেকে ঠিক এমই একটা উত্তর আশা করেছিলেন যেন ! অদ্ভুদ ভাবে হাসলেন তিনি ! হাসি মুখ রেখেই বললেন
-অপু হাসান ! তোমাকে একটা কথা বলি ! তুমি যেটা করতে যাচ্ছ সেখাতে তোমার সাহায্য লাগবেই ! একা কিছুতেই তুমি পেরে উঠবে না !
-সেটা স্যার আমার সমস্যা ! আমি দেখবো !
আমি আর দাড়াবো না বলে ঠিক করলাম !
আমি যখন উঠে পড়তে যাবো তখন জামান মালিক বলল
-অপু এটা কিন্তু ক্যাম্পাসের কম্পিউটারের ডাটা চেঞ্জের বিষয় না ! মনে রেখো !

আমার শিরদাড় দিয়ে একটা ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল !
লোকটা কি বলল ?
তার থেকে বড় প্রশ্ন লোকটা কিভাবে জানলো ?
কারও তো জানার কথা না ! তাহলে ?
যেখানে টমিক্স জানে না এই লোক কিভাবে জানে ?

মাস দুয়েক আগের কথা ! একটা ঝামেলার কারনে আমার একটা ল্যাব টেস্ট বেশ খারাপ হয় ! আমি জানতাম আমার রেজাল্ট কেমন হবে ! একটু চিন্তার বিষয় কারন গ্রেড খারাপ আসলে আমার সিটিজেন অপরোটুনিটি স্কোর কমে যাবে ! ফলে বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা হাত ছাড়া হয়ে যাবে ! এই চিন্তায় অস্থির ছিলাম ! তাই ঠিক করলাম ক্যাম্পাসের রেজাল্টের ডাটা পাল্টে দেবো ! এটা করা অবশ্য খুব একটা সমস্যার কথা না ! সমস্যা টা হল আমার ভিতরে থাকা ট্র্যাকিং ডিভাইসটা ! আমি যেখানেই যাই না কেন এটা মেইন ডাটা বেজে রিডিং উঠবে ! আর আমার যেখানে থাকার কথা না সিগনালে যদি সেখানে ধরা পড়ে তাহলে সেখানে নিরাপত্তা কর্মীদের পৌছাতে খুব বেশি হলে দুমিনিট লাগবে !
কিন্তু আমি ঠিকই উতরে গেলাম !

জামান মালিক বলল
-দেখো, যারা একবার ট্র্যাকিং ডিভাইসটা বের করে ফেলে তারা সকল নাগরিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ে আবার ট্র্যাকিং ডিভাইস শরীরের রেখে বিদ্রোহ করা সম্ভব না তুমি ভাল করে জানো ! এক মাত্র তুমি জানো ! তুমি কিভাবে নিজের শরীরের ভিতর ট্র্যাকিং ডিভাইসটা থাকা সত্ত্বেই কাজ টা করতে পেরেছিলে ? কিভাবে মেইন টমিক্সে ফাঁকি দিতে পেরেছিলে এই টা আমাদের দরকার ! আমাদের জানা দরকার !

আমি আবার বসে পড়লাম চেয়ারটাতে ! কি করবো ঠিক বুঝতে পারছি না ! আমার ব্যাপারে লোকটা বেশ ভাল খোজ খরব নিয়েছে বোঝা যাচ্ছে ! এখন আমি কি করবো ?
লোকটা যদি আমার নামে যে কোন স্টেশনে রিপোর্ট করে তাহলে আমাকে সোজা জেলে চলে যেতে হবে ! সেখানে যদিও আমার অপরাধ প্রমান করতে পারবে না কেউ তবে আমার উপর নজর বাড়বে ! তখন ?
তখন তো বেশ বিপদে পড়ে যাবো ?
আমার সাথে সাথে তন্বীও বিপদে পড়বে !

আমি বললাম
-আমি যদিও বলেই দেই তাতে তো খুব একটা লাভ হবে না ! টমিক্সকে কিছুতে হ্যাক করা সম্ভব না ! তার উপর টমিক্সের অবস্থান কোথায় কেউ জানে না ! জানলেও সেখানে পৌছানো সম্ভব না কিছুতেই !
প্রফেসর একটু হাসলো ! বলল
-আমি জানি টমিক্সকে হ্যাক করা সম্ভব না ! আমরা ওটাকে হ্যাক করবো না !
-তাহলে ?
-ধ্বংস করবো ।

আমি কেবল একরাশ বিশ্ময় ভরা চোখ নিয়ে প্রফেসরের দিকে তাকিয়ে রইলাম ! এটাও কি সম্ভব ?
কিন্তু প্রোফেসরের হাসি মাখা মুখের নিচে একটা দঢ় মনভাব দেখে মনে হল ভদ্রলোক সফল হলেও হতে পারে !



পুরো গল্প এখানে


গল্পের নাম চয়নে শান্তির দেবদূত
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:১৫
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ রমনায় ঘুড়ির 'কৃষ্ণচূড়া আড্ডা'

লিখেছেন নীলসাধু, ১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬




আজ বিকাল ৪টার পর হতে আমরা ঘুড়ি রা আছি রমনায়, ঢাকা ক্লাবের পর যে রমনার গেট সেটা দিয়ে প্রবেশ করলেই আমাদের পাওয়া যাবে।
নিমন্ত্রণ রইলো সবার।
এলে দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×