somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কর্পোরেট কালচার: কর্মক্ষেত্রে ক্ষমতার দাসত্ব অভ্যাস করানো

১৫ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কোম্পানীর অনেক ব্যবস্থাপক-পরিচালক-উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অনেক সময় এটা বেমালুম ভুলে যান যে, পারস্পরিক সম্মানবোধ ও অপরের অবদানকে স্বীকৃতিদানের র্চচার অনুপস্থিতিতে প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশে তিনটি বৈশিষ্ট্যের ব্যক্তিরাই দীর্ঘসময় কর্মরত থাকতে পারে। ১) ব্যক্তিত্বহীন ২) অযোগ্য ৩) অসৎ। অবশ্য একই সঙ্গে একজনের মাঝে একাধিক বৈশিষ্ট্যও পরিলক্ষিত হতে পারে।কম তেল দিয়ে মচমচা ভাজতে চাওয়াটা মোটেই যুক্তিসম্মত নয়।

অনেক অফিসে কিছু মানুষ প্রচন্ডরকমের অহংকারী-বদমেজাজী হয়ে থাকেন।নিজেকে সবজান্তা মনে করে অপরকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতে থাকেন।অপরের নিন্দা করা, সমালোচনা করা ও অন্যকে কারণে অকারণে ঝাড়ি মেরে অনেকে নিজের বড়ত্ব-শ্রেষ্টত্ব-ক্ষমতা জাহির করেন। সাধারণত সততা তিরস্কৃত ও অসততা পুরস্কৃত হলে প্রাতিষ্ঠানিক স্বার্থের চেয়ে ব্যক্তিস্বার্থই প্রবল হয়ে ওঠে। এই ধরণের পরিস্থিতি কিছু অনিয়মের পথকে প্রশস্তকরণে তীব্রভাবে কার্যকর ভুমিকা রাখে। ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে, ১) নিয়োগ ও পদোন্নতি ২) ক্রয়-বিক্রয় ৩) অযৌক্তিক খরচ ও অপচয় ৪) ক্ষমতার অপব্যবহার।

যারা ছাত্রজীবন শেষ করে নিজেদের উদ্যোগে ব্যবসায় নেমেছেন, অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেন নি, কোম্পানী পরিচালনা-ব্যবস্থাপনার একাডেমিক জ্ঞানও তাদের নেই তাদের মধ্যেও অনেকে উত্তরাধিকার সূত্রে ব্যবসায়িক পরিবারের সন্তান হওয়ায় কিছুটা বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কিন্তু অনেকেই কোন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীর সংস্পর্শ পাননি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে অভিজ্ঞতা লাভেরও সুযোগ পাননি, ব্যবসায়িক লাইনে পড়াশুনাও করেন নি অথচ হঠাৎ ব্যবসায়ি সেজেছেন। অনেক সময় এরা তালগুল পাকান, সবকিছু গুলিয়ে এলোমেলো করে ফেলেন। উদ্যোক্তা বা মালিকদের মনে রাখতে হবে, ঘৃণা করার জন্যে কেউ ভালবাসেনা তবে ভালবাসার পর অনেকেই ঘৃণিত হয়ে ওঠে। কারণ কৃত্রিমতা দিয়ে অকৃত্রিম উদারতাকে জয় করা যায় না। আর হৃদয় জয় না করে মাথা কেনার চেষ্টার দ্বারা কখনোই কোন ব্যক্তিকে পুরোপুরি কর্মোদ্দীপনাসহ তৎপর রাখা সম্ভব নয়। মুখের ভাষা যদি হৃদয়ের ভাষা হয় তবে তা হৃদয় না ছুয়ে পারেনা।

কর্মক্ষেত্রে পরিবেশটা যদি এমন হয় যে সেখানে কাজের স্বীকৃতি নেই, দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ নেই তবে সৃজনশীলতা-মননশীলতা-রুচিশীলতা সব নষ্ট হবে। ব্যক্তির সামর্থ্য বাড়ানোর একমাত্র উপায় সাধনা বাড়ানো। বইয়ের শেখা যথেষ্ট নয়, জীবন ও জগৎ থেকে শেখো। আগে মজবুতভাবে ধরো, শক্তভাবে ধরো, দাড়াও; হাটতে থাকো। তারপর দৌড়ানোর চেষ্টা। ধৈর্য ও চেষ্টা ছাড়া প্রত্যাশিত প্রাপ্তি অসম্ভব। কখনই বিজয়োল্লাসে উন্মত্ত হওয়া নয়, দায়িত্বভেবেই বিনম্র হতে হয়। ধ্বংসের উৎসব প্রিয় না হলেই কেবল সৃষ্টির আনন্দ পাওয়া সম্ভব।

অনেকে বসের কাছে বেশি ভাল হতে চেয়ে অতিমাত্রায় চাটুকারিতার আশ্রয় নেন, উধ্বতনকে সন্তুষ্ট করতে যেয়ে কোন ভুল ত্রুটিরও সমালোচনা না করে প্রশংসা করেন, অন্যায় ও অযৌক্তিক কাজকেও সমর্থন দিয়ে যান-এতে প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেকে বলেন, লাভ লোকসানের হিসাব কষে জীবন চালাতে চেয়োনা। কিছু পাবে, কিছু নেবে, কিছু দিবে, কিছু হারাবে-এটাই জীবন। ভুলে গেলে চলবে না যে, পুড়লে স্বর্ণ খাঁটি হয় আর কাঠ হয় কয়লা। তাই অবস্থার ক্রমোন্নতির প্রয়াসই যৌক্তিক, স্থবিরতা কিংবা থেমে থাকাটাই অযৌক্তিক। নিজের ভাগ্য গড়ার দায়িত্ব অন্যকে অর্পণ করাটা বোকামি।

অনেকে কোন ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রে অন্যের কাছে পরামর্শ নেয়াটাকে ব্যক্তিগত দুর্বলতা মনে করেন। অপরকে অবিশ্বাস করা- সবসময় দ্বিধাদ্বন্ধে থাকা মোটেই ভাল লক্ষণ নয়।উত্তম মানুষ অন্যকে সহজে অধম ভাবতে পারে না। সম্মান পেতে হলে সম্মান করতে শিখতে হবে। মানুষকে মূল্যায়ন করতে হলে আগে নিজেকে মানুষ হওয়া চাই। যার আত্মসম্মানবোধ নেই তার অপমানিত হবারও ভয় নেই। আপনি তখনি কিছু পাবেন যখন কিছু দিতে শিখবেন। কেননা বিসর্জনের মাঝেও অর্জন থাকে।

আসলে প্রাণবন্ত জীবনের জন্যে প্রাণচাঞ্চল্যেপূর্ণ আনন্দময় পরিবেশ লাগে। জীবনের আনন্দের মত মৃত্যুর বেদনাটাও গুরুত্বপূর্ণ। শরীরের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি মনের চাহিদা পূরণটাও গুরুত্বপূর্ণ। আপন করে না নিতে পারলে প্রশ্ন আসবে দূরেই যদি ঠেলবে তবে কাছে টেনে ছিলে কেন? সকল বিরহ কিংবা হারানোর ঘটনা একই ধরনের প্রভাব ফেলে না।মনের গভীরতম জায়গা থেকে কাজের প্রতি কিংবা প্রতিষ্ঠানের প্রতি ভালবাসা স্বেচ্ছায় ওঠে না আসলে সবটুকু নিবেদিত হবে না, প্রতিষ্ঠানও সর্বোচ্চমানের সেবা পাবে না।

নিজেকে এত বেশি গুরুত্ব দিতে চাওয়া বোধহয় যৌক্তিক নয় যতটা গুরুত্ব দিলে অন্যরা গৌণ হয়ে পড়ে।বলতে চাওতো শুনতে হবে। শিষ্যের জন্যে চরিত্রহীন গুরু হিংস্র বাঘের মতই ভয়ংকর। বড় হবার জন্যে ছোট হওয়া আর বড় থাকতে চেয়ে ছোট হওয়াটা এক কথা নয়। দীর্ঘ অপেক্ষার পর কাংখিত প্রাপ্তিতে চরম সুখকর এক অনুভূতি। চেয়েছি বলেই পেয়েছি, তুমি চাওনি তাই পাওনি। হারানোর কষ্টে সময় ক্ষেপনের চেয়ে পাবার লক্ষ্যে ছোঁটাই শ্রেয়। তবে মনে রাখতে হবে বাহ্যত শুভ উদ্যোগও অশুভ হতে পারে অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য অশুভ হলে।

অক্ষমরাই সক্ষমদের বিড়ম্ভনা। অযোগ্য হয়ে যোগ্যতার ভান লজ্জাস্কর পরিস্থিতিকেই স্বাগত জানায়। রক্ত দিতে যে প্রস্তুত তাকে শত্রুর ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। অভ্যাস সদা পরিবর্তনশীল, অপরিবর্তনীয় নয়। গড়তে হলে ভাঙতে হবে। পেতে চাওতো দিতে অভ্যস্ত হও। তবে হ্যাঁ নাই যদি থাকে তবে দেবার প্রশ্ন কেন আসে? করতে চাইলে বলতে শিখো।

কষ্টের দহনে বুক হয়ে ওঠেছে আগ্নেয়গিরির মত। আগুন জ্বালাতে চানতো বারুদ খুজুঁন। এসেই যখন পড়েছি তখন না নিয়ে ফেরাটা অসম্ভব। ত্যাগের আনন্দকে ভোগের আনন্দের বিনিময়ে বিক্রি করতে চাইনা। দূর্বল হতে পারি তবে সবলের দাস নই। অতিব্যস্ত মানুষ না হয়ে কর্মব্যস্ত মানুষ হও। মহত্তর কিছু করতে নিজে মহৎ হওয়াটা আবশ্যক। নীচুতা নিয়ে বিশাল কিছু করা যায়না। সম্পদে বড় না হয়ে মনে বড় হও।

বিলাতে গেলে নিজের কিছু থাকতে হয়। অতীতের অন্ধকারে বর্তমানকে আচ্ছাদিত করো না। বর্তমানকে ব্যয় কর সামনে এগুনের জন্যে পেছাবার জন্যে নয়। বিপদেও যে হাসতে শিখে গেছে তাকে ক্রন্দনের ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই। প্রয়োজনে মরণও যার কাংখিত তাকে দমাবার শক্তি জমিনে নেই।

মাঠে না নেমে কেউ গোল করতে পারেন না। জনগণ নিয়ে না ভেবে জননেতা হবার চেষ্টা বৃথা। স্বীকৃতি পেতে হলে স্বীকৃতি দিতে হবে। শিক্ষার্থী না হয়ে কেউ শিক্ষক হতে পারে না। রুপে মানুষ না হয়ে গুণে মানুষ হও। ছোট কিছু পেতে যেয়ে বড় কিছু হারিয়ো না।

'মগজ' হচ্ছে ইঞ্জিনের মত। তাই মাথা দ্বারা শরীর পরিচালনা কর। 'মস্তিষ্ককে' চালাবার দায়িত্ব দেহকে দিয়োনা। মাথার চেয়ে শরীরের দাম বেশি হলে বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী। হারিয়ে পেয়েছি বলেই পাওয়ায় এত আনন্দ। দেহ কাছাকাছি হলেই মন কাছাকাছি হয়না। মনের মিলন না হলে দৈহিক মিলন অসম্পূর্ণ অর্থহীন।

আমার ভাল আচরণ তোমার খারাপ ব্যবহার কাম্য নয় বলে। মাটির দেহ মাটিই হবে, আত্মাই চির অমর রবে। মনে রেখেছি মানেই ভুলে যেতে পারিনি। কাদাঁতেই যদি এসেছিলে তবে হাসানোর কিইবা প্রয়োজন ছিল। যদি না চাইতাম তবে না পাবার বেদনাও থাকত না। কষ্টের মাঝেও সুখ আছে। নিজেকেই চিনতে পারিনি এখনো, তোমাকে চিনব কেমন করে? সহজবোধ্য ব্যাপারটিকে তুমি দূর্বোধ্য করোনা। অস্তিত্বই যখন হুমকির মুখে তখন আভিজাত্যের কথা ভেবে কি লাভ? শয়তানটা না মরলে সমাজটা বাঁচবে না। জীবনের প্রয়োজনেই মরণকে অভিনন্দন। বয়স বেড়েছে বেশ তবে বুদ্ধিতো বাড়েনি। লুকুচুরি করে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা যায় না।

জটিলতা সবসময় সরলতার প্রতিবন্ধক। সহজকে কঠিন করার প্রচেষ্টা অনেকটাই অপচেষ্টা। বিনয়ী হওয়া মানে নতজানু হওয়া নয়। শত্রুকে বন্ধু ভাবা কিংবা বন্ধুকে শত্রুভাবা দুটোতেই অকল্যাণ। যে শত্রু মিত্রে পার্থক্য করতে জানেনা সম্পর্কই তার নিরাপত্তাহীনতার কারণ। আজকের আনন্দ উৎসব গতকালের বেদনাকে লুকানোর চেষ্টা মাত্র। ভালবাসার উত্তাল ঢেউ ঘৃণার খরকুটো ভাসায়ে নিয়ে গেল দূর অজানায়। স্বপ্নভরা চোখই অর্থময় জীবনের সন্ধান পায়। হতাশা নিয়ে বিজয়ী হওয়াটা দু:সাধ্য। বিবেকের কাছে পরাজিত হলে সে বিজয় মূল্যহীন। প্রাপ্তি নয় প্রত্যাশা নিয়ে সামনে এগুনোটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মূল্যায়ন পেতে হলে মূল্যবান করে গড়ে তোলাটা আবশ্যক।

বড় অর্জন দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টার ফল, সফলতা আশাবাদীদের জন্যেই। সংকীর্ণতাই সীমাবদ্ধতা তৈরি করে। চর্মচক্ষুর দেখাটা পরিপূর্ণ দেখা নয়। আদৌ ক্ষমার অযোগ্য কোন অপরাধ আছে কি? প্রায়শ্চিত্তের সুযোগহীন অপরাধীর শাস্তিদাতাও অপরাধী। হতে পারে তুমি অক্ষম বলেই তুমি অধম ; সক্ষম না হয়ে উত্তম হওয়া যায়না।

সাহসই যদি না থাকে তবে প্রতিবাদী হবে কীভাবে। ভয় নিয়ে জয়ের চেষ্টাটাই বৃথা। জীবনের কথা ভেবে পথচলো তবে মৃতু্যকে ভুলে নয়। সব সময় হাসিমুখ হৃদয়ের কান্নাকে আড়াল করতে পারে না। অশ্রু প্রতিবাদের নিরব ভাষা। মায়ের চোখের জল তার বুকের বলকে বাড়িয়ে দিল।
প্রচলিত চিন্তা ভাবনার বিপরীতে দাড়ায়ে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে কর্মক্ষেত্রকে ক্ষমতার দাসত্ব অভ্যাস করানোর জায়গা বলে মনে হতে পারে। ব্যক্তির আত্ম হল ব্যক্তিত্ব গঠনের মূল উপাদান। আর এই ব্যক্তিত্ব ও স্বকীয়তার অনুপস্থিতি পরনিয়ন্ত্রিত পরিবেশকেই স্বাগত জানায়। তাই অধিকাংশ কর্মকর্তা কর্মচারীদেরই ভেতরের শক্তির চাইতে বাইরের শক্তি দ্বারা চালিত বলে মনে হয়। স্বচালিত না হলে স্বতন্ত্রতা থাকে না। এর ফলাফল পরনির্ভরশীল মানসিকতা, দুর্বল চিত্ত, তোষামোদ প্রবণতার ব্যাপকতা দেখা যায়।

যারা অনুভূতি ও কল্পনার ধার ধারেনা, দুনিয়ার যশ খ্যাতি এবং সম্পদকেই বড় করে দেখে তার দ্বারা যে কোন নিষ্ঠুর কাজ হতে পারে। নামের নেশায় মশগুল হয়ে চালানো কর্মতৎপরতা দ্বারা বড় কাজ হতে পারে কিন্তু মনের সূক্ষ ও সুন্দর বৃত্তিগুলো নষ্ট হওয়ায় তা দীর্ঘমেয়াদে আশীর্বাদ হয়ে আর দেখা দেয়না। তাই বড় কাজের পরিবর্তে আত্মসৃষ্টিকে গুরুত্ব দিতে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আবশ্যক। কর্মের সৃষ্টি হলে কর্মীর অভাব হয়না। কিন্তু শুধুই কর্মী,কেরানী আর চাকুরি প্রার্থী সৃষ্টি হলে কর্ম নাও দেখা দিতে পারে। চাকুরি দাতা মিললেই চাকুরি প্রার্থীর অতৃপ্তি মেটার সম্ভাবনা। এই অনিশ্চয়তা থেকে ঝুকি নিতে অনাগ্রহীর নব সৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তাই নিজের ভাগ্য গড়তে যাদের অন্যের ওপর নির্ভর করতে হয়,অতৃপ্তিকেও গ্রহণ না করে তাদের কোনো উপায় নেই।

কাজে অনাগ্রহ,অনাসক্তি ও স্বীকৃতির অভাবে অনেকের অন্তরের সহজ প্রবৃত্তি নষ্ট হয়েছে। ফলে বেড়েছে তিক্ততা ও বিরক্তি। নিজের সুখ-সৃষ্টির চাইতে পরের দু:খ সৃষ্টির স্পৃহা যেখানে প্রবল হয়ে দেখা দেয় সেখানে স্বাভাবিক বিকাশের পরিবেশ আর থাকে না। নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ভিতরের কাজ করার প্রেরণা স্তব্ধ করে অন্যকে জব্দ করার প্রচেষ্টা বৃদ্ধি করে। যৌক্তিক দাবি ও চাহিদার অপূরণজনিত সংকট কর্মস্থলে জীবনের বিকাশের আনন্দ নষ্ট করে। এতে অনেকে যে কোনো উপায়ে সার্থকতা লাভকেই বড় করে দেখতে শুরু করে। আর এতেই সৃষ্টি হয় ভীষণ রকমের সংকট। অনেকে সার্থকতা লাভের জন্য এত ব্যস্ত হয়ে উঠে যে, আত্মার বৈশিষ্ট্য নষ্ট করে নিতান্ত সাধারণ হয়ে পড়তেও কুন্ঠাবোধ করে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:০৮
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

উপকূলের ভাই-বোনদের প্রতি গভীর সমবেদনা

লিখেছেন বিষাদ সময়, ২৭ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৭




আমরা ঢাকার পাকা দালানে বসে যখন আয়েস করে চায়ে চুমুক দিয়ে বৃষ্টি বিলাসে বিভোর, ঠিক সেই সময় আমাদের উপকূেলের ভাই-বোনেরা হয়তো কেউ স্বজন, কেউ ঘর, কেউ ফসল, কেউবা গবাদী... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা: অশ্লীলতা কি পোশাক দিয়ে নির্ধারণ করা উচিৎ নাকি মানসিকতা ও চরিত্র দিয়ে?

লিখেছেন লেখার খাতা, ২৭ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫২


ছবিটি -ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।

কহিনুরের, ফ্লোরা ওরিয়েন্টাল বিউটি সোপ।১৯৭৮ সালের বিজ্ঞাপন। ছবিটি ফেসবুকে পেয়েছি। ব্লগার সোনাগাজী, ব্লগার কামাল ১৮ সহ যারা মুরুব্বি ব্লগার রয়েছেন তারা হয়তো এই বিজ্ঞাপনটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

রেমাল ঘূর্ণিঝড়ে

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ২৭ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৪



কতোজনে ভাসছে জলে
পথ ঘাট সব যে পানির তলে
রেমালের কবলে পড়ে।
কতোজনে আজ দূর্বিপাকে
ভাবছি বসে তাদের কথা
কতৈনা দূর্গতি, বাড়িঘর
ফসলী জমি গৃহস্থালি;
ভাসছে আজ জোয়ার জলে
প্রকৃতির বিষম খেয়ালে।
জেলেরা আজ ধরছে না মাছ,
স্কুল কলেজে নেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন বেনজীর আহমেদ ও আমাদের পুলিশ প্রশাসন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৭ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৪২



বৃষ্টিস্নাত এই সন্ধ্যায় ব্লগে যদি একবার লগইন না করি তাহলে তা যেন এক অপরাধের পর্যায়েই পরবে, যেহেতু দীর্ঘদিন পর এই স্বস্তির বৃষ্টির কারণে আমার আজ সারাদিন মাটি হয়েছে তাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

গাজার যুদ্ধ কতদিন চলবে?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৮ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার আগে মহাবিপদে ছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু৷ এক বছর ধরে ইসরায়েলিরা তার পদত্যাগের দাবিতে তীব্র বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন৷ আন্দোলনে তার সরকারের অবস্থা টালমাটাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×