নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে কয়েকটি ভাসমান লাশ দেখার কথা জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে, এ বিষয়ে কিছু ‘জানে না’ পুলিশ ও কোস্টগার্ড।
Published : 16 Mar 2014, 09:05 PM
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকাল থেকে লাশগুলো মেঘনায় ভাসছিল। রোববার নদীর তীরে চলে আসায় কুকুর টানাহেঁচড়া করে। এতে আশপাশ এলাকায় গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে পুলিশ ও কোস্টগার্ড মেঘনায় ভাসমান লাশের কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
রোববার রাতে হাতিয়া থানার ওসি সৈয়দ মো. ফজলে রাব্বী ও হাতিয়া কোস্ট গার্ডের স্টেশন কমান্ডার হামিদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, তাদের কাছে ভাসমান লাশের কোনো তথ্য নেই।
ওয়ার্কার্স পার্টির হাতিয়া উপজেলা শাখার সম্পাদক সুখচরের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রোববার সকাল থেকে বাদশা মিয়া গ্রামের উত্তর পাশে মেঘনা নদীর তীরে একটি লাশ নিয়ে দুটি কুকুরের টানাহেঁচড়া তাদের চোখে পড়েছে।
দুপুরে গ্রামের পশ্চিম পাশের নদীতে আরো একটি লাশ দেখা যায় বলে জানান তিনি।
এর আগে শনিবার বিকালে চেয়ারম্যান ঘাটের পশ্চিমে মেঘনায় তিনিসহ স্থানীয় লোকজন একটি লাশ দেখেন।
আনোয়ার হোসেন এবং মধ্য চর আমানুল্যাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিধান চন্দ্র দাস জানান, শনিবার বিকালে বৌ বাজারের পশ্চিম পাশের মেঘনায় তিনটি লাশ ভাসছিল।
খবর পেয়ে তারাসহ স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা সেখানে জড়ো হন।
সুখচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঘাট থেকে মেঘনা পার হয়ে পশ্চিম পাড়ের ঢালচর ও মৌলভীর চর থেকে প্রতিদিন গরু মহিষের দুধ আনতে যান মিরাজ গোয়াল।
তিনি জানান, শনিবার দুপুরে হরিণ বাজারের পশ্চিম পাশে মেঘনায় দুটি লাশ ভাসতে দেখেছেন তিনি।
তবে মোট কতগুলো লাশ ভাসছে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু জানাতে পারেননি তারা।