চট্টগ্রামের ষোলশহর দুই নম্বর গেইট এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
Published : 17 Mar 2014, 11:27 AM
সোমবার সকাল ১০টার দিকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়। ট্যাংকে লাশ দুটি একটির উপর অপরটি রাখা অবস্থায় ছিল।
লাশ উদ্ধারের পর এমইএস কলেজের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন ষোলশহর এলাকায় বিক্ষোভ করে এবং বেশকিছু যানবাহন ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
খুন হওয়া কামরুল ইসলাম (১৮) নগরীর তুলাতলী এলাকার শামসুদ্দিন সড়কের আবদুল হাকিমের ছেলে। সে ওমরগণি এমইএস কলেজ থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
অপরজন ফোরকান উদ্দিন (১৯) ইপিজেড এলাকায় একটি তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করত বলে তার স্বজনরা জানিয়েছে।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার দীপক জ্যোতি খীসা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, স্থানীয় লোকজন লাশ দুটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় এবং পরে গিয়ে তা উদ্ধার করা হয়।
খুলশী থানার এএসআই তরিকুল ইসলাম বলেন, সেপটিক ট্যাংকে ফোরকানের লাশটি হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এবং তার ওপর কামরুলের লাশটি রাখা ছিল।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে তাদের খুন করে কেউ সেখানে ফেলে রেখে গেছে।
তিনি বলেন, কামরুলের হাত-পায়ের রগ কাটা ছিল এবং তার শরীরে কোন জামা ছিল না। ফোরকানের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ছিল।
নিহত কামরুলের মা জোৎস্না বেগম জানান, শনিবার রাতে ২০ টাকা নিয়ে সে বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকেই তার আর কোন খোঁজ পায়নি। রাত ১০টার দিকে একবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা গেলেও এরপর থেকে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সোমবার সকালে একজনের কাছ থেকে লাশ পাওয়ার সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে যান তিনি।
জোৎস্না বেগম বলেন, “আমার ছেলে কোনো প্রকার রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিল না। কে যে এমন কাজ করল বুঝতে পারছি না।”
নিহত ফোরকান রোববার বিকাল ৪টার দিকে বাসা বের হওয়ার পর তার আর কোন খোঁজ পাননি বলে জানান তার মা খুরশীদা বেগম।
লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কজে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান এসআই তরিকুল।