যৌবন কোন সময় যে আমার কায়ায় ভর করেছে তা আমি বুঝে উঠতে পারিনি।একদিন সকালবেলা বাবা বলল - মা তনু তুমি বড় হয়েছ,এখন তোমার বোরখা পরা প্রয়োজন।আমি চাঁদনী টেইলার্সে বলে এসেছি,তুমি স্কুল থেকে আসার পথে কাপড়ের রং পছন্দ করে বোরখার মাপ দিয়ে এসো।এখন থেকে তুমি বোরখা পরবে।বাবার কথা শুনে আমি ঘাবড়ে গেলাম।ওয়াশরুমে গিয়ে নিজের নগ্ন কায়ায় তাকিয়ে রইলাম অনেক্ষণ,তাইতো আমিতো দেখছি বড় হয়ে গিয়েছি।তাহলে আমি আগে কেন খেয়াল করলাম না??যৌবন কেন এতদিন আমাকে তাড়া করেনি??
এখন বুঝতে পেরেছি-সেদিন স্কুলে যাওয়ার পথে এলাকার রবি ভাই কেন আমাকে দেখে শিষ মারল।একদিন মা বলল-স্কুল ছাড়া কখনো বাহিরে যেতে মন চাইলে আমাকে বলবে,আমি নিয়ে যাব।মনে মনে ভাবলাম-তাহলে কি আমি আমার বান্ধবীদের বাড়িতেও যেতে পারব না??ওহ না-আমি আর ভাবতে পারছিনা,আমার চোখে যেন কবরের অন্ধকার আর মন যেন সাভার ধ্বংস স্তূপের নিচে চাপা পড়েছে।কয়েকদিন পর প্রাইভেট টিচার কে আসতে নিষেধ করল বাবা,একদিন বন্ধ করে দিল আমার স্কুলে যাওয়া।বাবা বলল-মেয়েদের বেশী লেখা পড়া করার দরকার নেই।তারপর একদিন মা বলল-ভালো বংশের ছেলে দেখে আমার বিয়ে ঠিক করেছে বাবা।নির্বাক আমি,আমাকে একবারো জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন বোধ করলনা বাবা?
রাতে বিছানায় শুয়ে খোলা জানালা দিয়ে চাঁদ বিহীন অন্ধকার আকাশ পানে তাকিয়ে আমি,এক সময় ঘুমের রাজ্যে পদার্পন।স্বপ্নে এ আমি কাকে দেখছি? এই লোকটা নাকি আমার বর? আমাকে বোরখা পরিয়ে পান চিবাইতেছে।আমার ঘুম ভেংগে যায়,মাকে ডাকি- মা ওমা মাগো।মা আসে,বাকরুদ্ধ আমি,আমি কিছুই বলতে পারিনা।আমার দুচোখ দিয়ে শুধু অশ্রু ঝরছে।মা জিজ্ঞেস করল - কি হয়েছে তনু?? ততক্ষণে ঘর ভর্তি মানুষ,নির্বাক আমি সকলের দিকে তাকিয়ে রই..........