somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রমনা পার্কে বাংলাদেশ উৎসব

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


রমনা পার্কে বাংলাদেশ উৎসব । বাংলাদেশ দেখার এই আয়োজন অবশ্যই প্রশংষার দাবী রাখে। কিন্তু বাংলাদেশকে যখন রমনা পার্কের ক্ষুদ্র জায়গায় উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হয়, তখন কেমন জানি মনের ভিতরে একটু খটকা লাগে। আমরা কি এতো ছোট হয়ে যাচ্ছি যে পুরো বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যকে রমনা পার্কে উপস্থাপন করা যায়! আমাদের জাতীয়তাবোধ কি এতোটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে একটা বিদেশি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের টাকায় উৎসব করে দেশীয় মূল্যবোধকে জাগ্রত করতে হয়? যদি আমেরিকায় কিংবা লন্ডনে, সুইজারল্যান্ডে, নাইজেরিয়ায়, কিউবায় বাংলাদেশ উৎসবের আয়োজন করা হতো তখন আমি গর্বিত হতে পারতাম। কিন্তু যখন দেখি আমারই দেশকে আমার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার দায়িত্ব নেয় বিদেশি কোন প্রতিষ্ঠান, তখন আমি গর্বিত না হয়ে লজ্জিত হয়। যে কাজটা আমাদের সরকারের করার কথা সেই কাজটা করছে একটা বিদেশী মোবাইল কোম্পানী সেটা আবার আমাদেরই টাকাই। প্রথম আলোয় সেই উৎসব নিয়ে গুণমুগ্ধকর ফিচার ছাপা হয়েছে কারন প্রথম আলো এ্ই উৎসবের সহযোগী। একটা বিদেশি বুর্জোয়া কোম্পানীকে সহযোগিতা করে প্রথম আলো কি সুবিধা পেয়েছে? আমি ব্যাক্তিগতভাবে প্রথম আলোকে পছন্দ করি। কারন প্রথম আলো মানুষের পাশে থেকে আমাদেরকে দেশপ্রেমের গল্প শোনায়। সম্প্রতি আমার এক ফেসবুক বন্ধু বেলছিলেন যে আমাদের উৎসবের রঙ এখন বদলে গেছে। এখন আমাদের উৎসবের রঙ হচ্ছে কমলা।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী এদেশে এসেছিল ব্যাবসা করার জন্য কিন্তু পরে ব্যাবসার সঙ্গে এদেশকে শাষন করেছিল প্রায় ২০০ বছর। বিদেশি মোবাইল কোম্পানীগুলো কি ব্যাবসার নামে সেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চাই?
তাই আমি বলতে চাই আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতিকে রক্ষা করার মহান দায়িত্ব বিদেশি মোবাইল কোম্পানীগুলোকে না নিলেও চলবে।
আমরা দেখতে চাই আমাদের সরকার নিজস্ব সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক হবে, ঐতিহ্য রক্ষার দায়িত্ব নেবে। একদিনের বাণিজ্যিক উৎসব করে নয়, প্রতিদিনের ধারাবহিক চর্চার মধ্য দিয়ে আমরা দেশাত্ববোধকে জাগ্রত করব। সেই পরিবেশ সরকারকে তৈরি করে দিতে হবে।
২৫/১২/১২ সকাল ১০: ৪৫
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×