বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুতে নির্ভরতা যোগাচ্ছেন ছন্দে থাকা এনামুল হক। ডানহাতি এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ক্রিকেটের সবগুলো ফরম্যাটেই ‘পরিপূর্ণ ক্রিকেটার’ হতে চান।
Published : 19 Mar 2014, 03:55 PM
বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এনামুল বলেন, “আমি কমপ্লিট ক্রিকেটার হতে চাই। সব ধরনের ক্রিকেটে সমান পারদর্শী হতে চাই। টেস্টে খুব একটা সাফল্য না পেলেও টেস্টই সবচেয়ে প্রিয়। তবে সব ধরনের ক্রিকেটই আমি উপভোগ করি।”
মাত্র দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই শতক হাঁকিয়ে এনামুলের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। কিন্তু ছন্দ হারিয়ে পরে বাদই পরে যান দল থেকে। দলে ফিরতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে তাকে।
“ব্যাটিংয়ে কিছু উন্নতি করার চেষ্টা করেছি। কিছু পরিকল্পনা মেনে চলতে চেয়েছি। চেষ্টা করেছি, ছোটখাটো টেকনিক্যাল কিছু কাজ করার ।”
নিজের ব্যাটিং পরিকল্পনা সম্পর্কে এনামুল বলেন, “উইকেট ভালো থাকলে আর বল সুইং না করলেও টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে আমার শট খেলতে সুবিধা হয়। বল পুরান হয়ে গেলে যতই জোরে বল করুক আমার কাছে ইজি মনে হয়। আমার পরিকল্পনা তৈরি করেই ব্যাটিংয়ে নামি।”
নেপালের বিপক্ষে ৪২ রানের এক কার্যকর ইনিংস খেলে রান আউট হন এনামুল। আফগানিস্তানের সঙ্গে প্রথম ম্যাচেও করেছিলেন অপরাজিত ৪৪ রান।
“প্রতিটি ফরম্যাটে সাধারণত আমি চেষ্টা করি একটু সময় নিয়ে ব্যাটিং করতে। মিডল অর্ডারের ওপর যেন চাপ না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখার চেষ্টা করি। খুব ভালো একটা ছন্দে আছি। আশা করি, সামনের ম্যাচগুলোতেও এটা ধরে রাখতে পারবো।”
মঙ্গলবার মাঠে বসেই হংকংয়ের খেলা দেখেছে বাংলাদেশ। তখন নেপালকে নিয়ে বেশি ভাবলেও পরের ম্যাচের প্রতিপক্ষ সম্পর্কে ধারণা নেয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেনি স্বাগতিকরা।
“হংকং চার-পাঁচটা পেস বোলার খেলায়। এটাই ওদের সবচেয়ে বড় শক্তি। প্রতিটি ম্যাচের আগে প্রতিপক্ষকে নিয়ে হোমওয়ার্ক করি। এই ম্যাচের আগেও তা করে দেখবো, আমাদের কোথায় উন্নতি করতে হবে। আমাদের কি করলে ভালো হবে।”
‘সুপার টেন’ এর আগে হংকং ম্যাচকে প্রস্তুতির শেষ সুযোগ হিসেবে দেখছেন এনামুল।
“কালকের ম্যাচ আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নিজেদের পরীক্ষা করে নেয়র এটাই শেষ সুযোগ। এখানে ভালো করলে ‘সুপার টেন’ এ আমাদের আত্মবিশ্বাস আরো বাড়বে।”
হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসার পাশাপাশি বাড়তি তিনটি ম্যাচ খেলার সুযোগ মেলায় প্রথম রাউন্ডে খেলে বাংলাদেশ লাভবান হয়েছে বলেই মনে করেন তিনি।
“আমরা অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পেয়েছি। বেশি খেলে উন্নতির সুযোগ মিলেছে, প্রতিটি ম্যাচ থেকেই নতুন কিছু না কিছু শিখেছি। দল জয়ের ধারায় ফিরেছে। আর জেতার অভ্যাস থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। জেতার অভ্যাস থাকলে ‘ক্লোজ’ ম্যাচেও জেতা সম্ভব হয়।”