শিশুর শ্বাসকষ্ট ও বয়স্কদের হাঁপানি
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
যে কোনো শিশু হঠাৎ সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে। কোনো কোনো শিশুর শ্বাসে বাঁশির শব্দ (হুইজিং) শুনে হঠাৎ অনেকে ভয় পেতে পারেন। শিশুর নিঃশ্বাসে হুইজিং মানে অ্যাজমা নয়। পাঁচ বছরের কম বয়সের শিশুদের শ্বাসনালির প্রদাহ এবং সংকোচন হয় সাধারণত ভাইরাস আক্রমণে। ভাইরাস আক্রান্ত শিশুদের শ্বাসনালির অন্যান্য লক্ষণসমূহ যেমন কাশি, কফ, গলাব্যথা বারবার দেখাা দেয়। বারবার শ্বাসনালির প্রদাহ এবং স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসের বাধার অন্যান্য কারণ (যেমন শ্বাসনালির স্থায়ী সংকোচন, টিউমার ইত্যাদি বিষয়) যদি রোগের বৃত্তান্ত এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে বাদ দেওয়া যায় তবে সে ক্ষেত্রে হুইজিংকে অ্যাজমার অন্যতম লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করা সম্ভব। দেখা যায় বংশ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অনেকের এটা কমে আসে সেহেতু হুইজিং হলেই অ্যাজমা নিরূপণ করা নিতান্তই অবিবেচকের পরিচয় দেওয়া হবে। এ অবিবেচনায় শিশুর ভুল রোগ নিরূপণ, ভুল চিকিৎসা এবং শ্বাসনালির অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হয়ে দেখা দিতে পারি।
প্রতিরোধ : সাধারণত শিশুদের শ্বাসে বাঁশির মতো শব্দ হলে শ্বাসনালিতে প্রদাহ, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়। দেখা যায় যদি কারণগুলো সঠিক পরীক্ষা, অ্যালার্জি টেস্ট ও ফুসফুসের কার্যকর ক্ষমতা পরীক্ষা করে অ্যালার্জি ওষুধ ও ভ্যাকসিন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তা হলে কর্টিকোস্টেরয়েডের বহুল প্রতিক্রিয়া থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। আমাদের মতো উন্নত দেশগুলোতে এ ধরনের পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে। এই চিকিৎসা পদ্ধতিকে অ্যালার্জি রোগীদের দীর্ঘমেয়াদি সুস্থ থাকার অন্যতম গ্রহণযোগ্য চিকিৎসা পদ্ধতি।
বয়স্ক মানুষের হাঁপানি : প্রাপ্তবয়স্করা হাঁপানি আক্রমণের মধ্যবর্তী সময়ে স্বাভাবিক আর বৃদ্ধ হাঁপানি রোগীরা আক্রমণ ছাড়াও দিনের বেশিরভাগ সময়ই শ্বাসকষ্ট থেকে রক্ষা পান না। হাঁপানি রোগ বৃদ্ধ স্বাভাবিক কারণে একটি আলাদা অর্থ বহন করে থাকে। হাঁপানি উন্নত দেশের বয়স্ক মানুষের সংখ্যার ওপর নির্ভর করে। আমরা দেখতে পাই যে, হাঁপানি একটি প্রচলিত রোগ কিন্তু বয়স্কদের ওপর হাঁপানি রোগের প্রকোপ সমীক্ষা নেই বললেই চলে। বর্তমানে বিশ্বে দেখা যায় যে, ৫০-৬০ বছর বয়স্কদের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে হাঁপানি রোগের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বয়স্কদের বুকের মধ্যে চাপ অনুভব কাশি ও ছোট ছোট শ্বাসই হাঁপানি রোগের উপসর্গ। গ্লুকোমা, উচ্চ রক্তচাপের কোনো কোনো ওষুধ বস্কদের হাঁপানি বৃদ্ধি করে। দেখা যায় হজমের ওষুধ, ডিসপেপসিয়ার ওষুধ, এন্টাসিড হাঁপানি কিছুটা কমাতে পারে। হাঁপানিতে যারা কষ্ট পান তাদের চিকিৎসা সাবধনে করতে হয়। হাঁপানির ক্ষেত্রে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ একনাগাড়ে ব্যবহার করা উচিত নয়। যাদের উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগ আছে তারা যদি অ্যাড্রিনেলিন ইনজেকশন নেন তাদের মহাবিপদের আশঙ্কা আছে।
লেখক : বক্ষব্যাধি ও অ্যাজমা বিশেষজ্ঞ,
ইউনাইটেড হাসপাতাল, ঢাকা। ফোন: ০১৭১১-১৭১৬৩৪
- See more at: Click This Link
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
অপরূপের সাথে হলো দেখা
আট এপ্রিলের পর দশ মে আরো একটা প্রাকৃতিক আইকন বিষয় ঘটে গেলো আমার জীবনে এবছর। এমন দারুণ একটা বিষয়ের সাক্ষী হয়ে যাবো ঘরে বসে থেকে ভেবেছি অনেকবার। কিন্তু স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমরা কেন এমন হলাম না!
জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন
অভিমানের দেয়াল
অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি
২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১
তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন