অস্ট্রেলিয়া উপকূলে কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে পাওয়া ছবিতে ভারত মহাসাগরের দক্ষিণ অংশে দুটি ভাসমান বস্তুর সন্ধান মিলেছে, যা মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমানটির ধ্বংসাবশেষ হতে পারে বলে ধারণা করছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
Published : 20 Mar 2014, 09:56 AM
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবোট বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, ভাসমান বস্তু দুটির সম্ভাব্য অবস্থানে তল্লাশি চালাতে ইতোমধ্যে বিমান ও জাহাজ পাঠানো হয়েছে।
এই অভিযানে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে নিউ জিল্যান্ডও যোগ দিয়েছে বলে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র বিষয়ক দপ্তর বলছে, পার্থের আড়াই হাজার কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে যে দুটি বস্তুখণ্ড ভাসছে বলে উপগ্রহের ছবিতে দেখা গেছে, তার মধ্যে বড়টি আনুমানিক ২৪ মিটার দীর্ঘ।
৮ মার্চ ২৩৯ জন আরোহী নিয়ে বেইজিং যাওয়ার পথে হঠাৎ ‘উধাও’ হওয়ার পর থেকে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের বোয়িং-৭৭৭ বিমানটির আর কোনো খোঁজ মেলেনি।
এর আগে দক্ষিণ চীন সাগরে কয়েক দফা ভাসমান বস্তুর কথা শোনা গেলেও তল্লাশির পর জানানো হয়, সেগুলোর সঙ্গে মালয়েশিয়ার উড়োজাহাজটির কোনো সম্পর্ক নেই।
বর্তমানে বাংলাদেশসহ ২৬টি দেশ ওই বিমানের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে। জাহাজ ও বিমানের সঙ্গে এ কাজে যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন দেশের কৃত্রিম উপগ্রহও।
দুর্ঘটনা, ছিনতাই, নাশকতাসহ সব ধরনের সম্ভাবনা তদন্ত করে দেখার পরও গত ১২ দিনে বিমানটির কোনো সন্ধান না মেলায় বিষয়টি বিমান চলাচলের আধুনিক ইতিহাসের অন্যতম হতাশাজনক ও রহস্যময় ঘটনা হিসেবে দেখা দিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবোট পার্লামেন্টে জানান, মেরিটাইম সেফটি অথরিটি (এএমএসএ) কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে পাওয়া ছবি বিশ্লেষণ করে ভাসমান বস্তু দুটির সন্ধান পায়, যেগুলো মালয়েশীয় বিমানের হয়ে থাকতে পারে।
এএমএসএ- এর মহা ব্যবস্থাপক জন ইয়ংকে উদ্ধৃত করে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভাসমান বস্তু দুটির মধ্যে বড়টি কোনো উড়োজাহাজের অংশ হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে।
তল্লাশি অভিযানে এটি একটি অগ্রগতি, সম্ভবত এ পর্যন্ত হওয়া সবচেয়ে বড় অগ্রগতি। কিন্তু আমাদের সেখানে পৌঁছাতে হবে, বস্তুগুলো খুঁজে বের করতে হবে, দেখতে হবে সেগুলো আসলেই আমাদের অনুসন্ধানের সঙ্গে সম্পর্কিত কি না।”
সাগরে ভাসমান বস্তু দুটির বিষয়ে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
মালয়েশিয়ার ভারপ্রাপ্ত যোগাযোগ মন্ত্রী হিশামুদ্দিন হুসেইন বলেন, “অনুসন্ধানের প্রতিটি অগ্রগতির খবরই আমরা রাখছি। আপনারা আশা করুন, এটা যেন সত্যিই একটি ইতিবাচক অগ্রগতি হয়।”