তার ছেলে রাহুল সিং জানিয়েছেন, তিনি শান্তিপূর্ণভাবেই মৃত্যুবরণ করেছেন।
রাহুলের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে দাহ করা হবে।
১৯১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তিনি অবিভক্ত ভারতের পাঞ্চাবের হাদালিতে জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর অঞ্চলটি পাকিস্তানের অধীনে চলে যায়।
তিনি সংবাদপত্র যোজনা’র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। এছাড়াও ভারতের ‘দ্য ন্যাশনাল হেরাল্ড’ ও ‘দ্য হিন্দুস্তান টাইমস’ও সম্পাদনা করেছেন।
লাখো ভক্ত-পাঠক তার লেখা ‘ট্রেন টু পাকিস্তান’, ‘আই শ্যাল নট হিয়ার দ্য নাইটিঙ্গেল’ এবং ‘দিল্লি’র মতো গ্রন্থগুলোকে স্মরণ করছে।
খুশবন্ত ৯৫ বছর বয়সে ‘দ্য সানসেট ক্লাব’ উপন্যাস লিখেন। এছাড়াও তার ননফিকশন দুইখণ্ডের রচনা, ‘অ্যা হিস্টরি অব দ্য শিখস’ ছাড়াও অনুবাদ, সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে লেখা, উর্দু কবিতা সব মিলিয়ে তার লেখার পরিমাণ অনেক।
২০০২ সালে পেঙ্গুইন থেকে তার আত্মজীবনী ‘ট্রুথ, লাভ অ্যান্ড এ লিটল ম্যালিস’ প্রকাশিত হয়।
১৯৮০ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতের লোকসভার সদস্য ছিলেন।
১৯৭৪ সালে খুশবন্ত ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় বেসামরিক পদক পদ্মভূষণ অর্জন করেন। কিন্তু অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সেনাবাহিনী র অভিযানের প্রতিবাদে ১৯৮৪ সালে তিনি পদ্মভুষণ ফিরিয়ে দেন।
২০০৭ সালে তিনি দেশটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় বেসামরিক পদক পদ্মবিভূষণে সম্মানিত হন।
খুশবন্তের ছেলে রাহুল বলেন, “তিনি (খুশবন্ত) কপটতা, মৌলবাদ ঘৃণা করতেন। তিনি ছিলেন অমায়িক ভালো মানুষ।”
তার মৃত্যুর খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে অসংখ্য ভক্ত, শুভানুধ্যায়ী শোক প্রকাশ করে বিভিন্ন লেখা পোস্ট করছেন।