লোকসভা নির্বাচনের আগে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির অগ্রগতি সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে ভারত।
Published : 21 Mar 2014, 09:54 AM
দেশটি বলছে, আগামী এপ্রিল-মে’তে সংসদ নির্বাচনের পর এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
বৃহস্পতিবার নয়া দিল্লিতে দুই দেশের অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়।
এদিন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিব শঙ্কর মেনন ও পররাষ্ট্রসচিব সুজাতা সিংয়ের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে কথা বলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক।
পাশাপাশি তিস্তার পানি অপসারণেরও প্রতিবাদ গিয়েছে ঢাকার পক্ষ থেকে।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সই হওয়ার কথা থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতার কারণে শেষ মুহূর্তে তা বাতিল হয়ে যায়।
শুরু থেকেই মমতা অভিযোগ করে আসছেন, তার সরকারকে অবহিত না করে গোপনে বাংলাদেশকে পানি দেয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার দুই দেশের অভিন্ন এই নদী থেকে আরো বেশি পানি টেনে নেয়ার পরিকল্পনা করছে বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে, যাতে বলা হয়েছে, দেশটির উত্তরবঙ্গের কৃষকদের কাছে সেচের পানি পৌঁছে দিতে তারা তিস্তার পানি ব্যবহার করবে।
বৈঠকে বাংলাদেশে তিস্তা নদীর পানির প্রবাহ কমে যাওয়ার বিষয়ে নয়া দিল্লি বলেছে, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং বলেছেন, “বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের দেখতে বলেছি।”
যৌথ নদী কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ এখন তিস্তার মোট পানি প্রবাহের সাড়ে ৬ শতাংশ ভারত থেকে পাচ্ছে, যা ইতিহাসে সবচেয়ে কম।
ভারত সফরের প্রথমদিন বুধবার ভারতের পানিসম্পদ সচিব অলোক রাওয়াতের সঙ্গে বৈঠকেও তিস্তার পানি প্রবাহ কমে যাওয়ার বিষয় নিয়ে উদ্বেগের কথা জানান শহিদুল।
সূত্র জানিয়েছে, আলোচনায় শিব শঙ্কর মেনন ও সুজাতা সিং লোকসভা নির্বাচনের পর নতুন সরকারের অধীনে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির অগ্রগতি হওয়ার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন।
ভারতে আগামী এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত নয় ধাপে ৫৪৩ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন বিধি অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার পর থেকে নতুন সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ রয়েছে।