গিটার.....
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
একটা গল্প বলি !
এক গায়ক নিউ ইয়র্কে বিশাল মিউজিক মলে ঘুরছেন পছন্দের গীটারের জন্য। খুজতে খুজতে একটা গীটার পেয়েও গেলেন। গীটার কেনার
আগে দোকানদারকে অনুরোধ করলেন একটু বাজিয়ে দেখা যাবে কিনা। বিশাল দোকান গুলিতে সাধারণত মালিকরা থাকেন না, কিন্তু ঐ শো রুমে সেদিন তার মালিক ছিলেন। মালিক ছিলেন আবার মিউজিকের ভক্ত। তিনি দিলেন গীটার বাজিয়ে দেখার সুযোগ। গীটার একটু বাজিয়ে দেখার পর দেখলেন সব ঠিক আছে। কিন্তু গীটার এর দাম শুনে গায়ক দমে গেলেন।
তিনি গরীব দেশের গরীব গায়ক। প্রায় কয়েক লাখ টাকা এই মুহূর্তে তার কাছে নাই। তাই মন খারাপ করে চলে আসছিলেন। কিন্তু গীটারের শো রুমের মালিক তার গীটার বাজানো শুনে অনুরোধ করলেন আরেকবার
বাজানোর জন্য। তাই গায়ক খুশীই হলেন। তার দেশে এই ধরণের গীটার পাওয়া যায়না। তাই মনের মাধুরি মিশিয়ে বাজালেন আবার গীটার।
তার গীটার বাজানো শুনে পুরো শপিং মলের লোকজন জড়ো হয়ে গেছে। সবাই তন্ময় হয়ে শুনছে গীটার বাজানো।
গীটার বাজানো শুনে সবাই বলছে এমন গীটার বাজানো তারা অনেকদিন শুনেন নাই। আর শপিং মলের মালিকও ভূয়সী প্রশংসা করলেন গীটার
বাজানোর। কিন্তু চলে আসার সময় গায়কের মন খারাপ এমন একটি গীটার তার কেনা হলনা। মন খারাপ করে চলে আসছিলেন গায়ক, এমন সময়
শপিং মলের মালিক খুশী হয়ে গিটারটা প্যাক করে গিফট করে দিলেন গায়ককে। এই গায়ক আর কেউ নন, তিনি আমাদের আইয়ুব বাচ্চু।
এমন অভাগা দেশে জন্মানো এক আইয়ুব বাচ্চুকে আমরা সম্মান দিতে জানিনা, কিন্তু বিদেশীরা ঠিকই সম্মান দেয়।
ঘটনাটা অনেক আগে শোনা, একটু ভুল হতে পারে, কিন্তু মূল ঘটনা সত্যি।
সমস্যা নাই বাচ্চু ভাই, যারা আপনার বুকভরা অভিমানরে শ্রদ্ধা করে,
আপনারে ভালোবাসে, তাদের হাততালির কোনদিন
অভাব হবেনা আপনার জন্য......একটা গল্প বলি !
এক গায়ক নিউ ইয়র্কে বিশাল মিউজিক মলে ঘুরছেন পছন্দের গীটারের জন্য। খুজতে খুজতে একটা গীটার পেয়েও গেলেন। গীটার কেনার
আগে দোকানদারকে অনুরোধ করলেন একটু বাজিয়ে দেখা যাবে কিনা। বিশাল দোকান গুলিতে সাধারণত মালিকরা থাকেন না, কিন্তু ঐ শো রুমে সেদিন তার মালিক ছিলেন। মালিক ছিলেন আবার মিউজিকের ভক্ত। তিনি দিলেন গীটার বাজিয়ে দেখার সুযোগ। গীটার একটু বাজিয়ে দেখার পর দেখলেন সব ঠিক আছে। কিন্তু গীটার এর দাম শুনে গায়ক দমে গেলেন।
তিনি গরীব দেশের গরীব গায়ক। প্রায় কয়েক লাখ টাকা এই মুহূর্তে তার কাছে নাই। তাই মন খারাপ করে চলে আসছিলেন। কিন্তু গীটারের শো রুমের মালিক তার গীটার বাজানো শুনে অনুরোধ করলেন আরেকবার
বাজানোর জন্য। তাই গায়ক খুশীই হলেন। তার দেশে এই ধরণের গীটার পাওয়া যায়না। তাই মনের মাধুরি মিশিয়ে বাজালেন আবার গীটার।
তার গীটার বাজানো শুনে পুরো শপিং মলের লোকজন জড়ো হয়ে গেছে। সবাই তন্ময় হয়ে শুনছে গীটার বাজানো।
গীটার বাজানো শুনে সবাই বলছে এমন গীটার বাজানো তারা অনেকদিন শুনেন নাই। আর শপিং মলের মালিকও ভূয়সী প্রশংসা করলেন গীটার
বাজানোর। কিন্তু চলে আসার সময় গায়কের মন খারাপ এমন একটি গীটার তার কেনা হলনা। মন খারাপ করে চলে আসছিলেন গায়ক, এমন সময়
শপিং মলের মালিক খুশী হয়ে গিটারটা প্যাক করে গিফট করে দিলেন গায়ককে। এই গায়ক আর কেউ নন, তিনি আমাদের আইয়ুব বাচ্চু।
এমন অভাগা দেশে জন্মানো এক আইয়ুব বাচ্চুকে আমরা সম্মান দিতে জানিনা, কিন্তু বিদেশীরা ঠিকই সম্মান দেয়।
ঘটনাটা অনেক আগে শোনা, একটু ভুল হতে পারে, কিন্তু মূল ঘটনা সত্যি।
সমস্যা নাই বাচ্চু ভাই, যারা আপনার বুকভরা অভিমানরে শ্রদ্ধা করে,
আপনারে ভালোবাসে, তাদের হাততালির কোনদিন
অভাব হবেনা আপনার জন্য......
৭টি মন্তব্য ৪টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা
সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না
...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না
ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন
লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?
মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়
প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন
চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)
সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন