somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অদুরের ইতিহাস : শান্তিতে নোবেল ও ড. ইউনুস প্রসঙ্গ

২৩ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হে কলমওয়ালা ! তুমি কি জান বর্ণচোরা রাষ্ট্রদ্রোহী কারা? বল। বর্ণচোরা রাষ্ট্রদ্রোহী তারাই, যারা উন্নয়নশীল দেশে ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প খুলে দারিদ্র বিমোচনের নামে সুদী কারবার খুলেছে। মাইক্রোক্রেডিট ব্যবসায়ীগন কখন ও চাইনা যে, উন্নয়নশীল দেশের সরকার সৎ ও কল্যাণমূখী হোক। কেননা সরকার কল্যাণমূখী হলে রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুষ্ঠ বন্টন হবে ফলে দারিদ্র বিমোচন সম্ভব হয়ে উঠতে পারে এবং তার সুফল জনগণ ভোগ করবে।এতে করে ঐ সব সুদী কারবারীদের ব্যবসাতে খরামন্দা চলে আসবে। তাই তারা মনেপ্রাণে বাসনা করে সরকারের বন্টন ব্যবস্থা বিশৃঙ্খল হয়ে থাক। বল। আল্লা অর্ন্তযামী।

হে নোবেল প্রদান কামিটি ! তোমরা যদি সত্যিকারের বিবেকি শান্তিবাদী হতে তবে অবশ্যই এ বছরে নোবেল শান্তি পুরস্কার পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টির প্রতিবাদ স্বরুপ প্রদান থেকে বিরত থাকতে। তোমরা যদি বাস্তবিকই মানবতাবাদী হতে তবে শান্তি পুরস্কার স্থগিত রাখলে শাশ্বত বিশ্ববিবেকের সারথী হওয়ার গৌরব অর্জণ করতে পক্ষান্তরে তোমরা বুশকে করলে শান্তিতে ভূষিত করার অন্যতম বিবেচনাধীন ব্যক্তি! বল আল্লা বিবেকের আধার।

হে শিশুদের সালামকারী ! তুমি বলে দাও যে, শান্তি পুরস্কার এজন্য স্থগিত করতে হতো যে, একচোখা নীতির আকর বুশব্লেয়ার আর ইসরাইলজোট ইরাক লেবাননের উপর যে নির্দয় ধ্বংশযজ্ঞ প্রবাহিত করলো আর নিরীহ সাধারণ আবাল বৃদ্ধ বনিতা যেভাবে ক্ষতবিক্ষত হলো, এভাবে যখন শান্তির পায়রা রক্তে রঞ্জিত হয়ে ছিন্নভিন্ন হলো তখন এ বছর শান্তিতে নোবেল প্রদান প্রহসনের শামিল। তবে এ কথা ঠিক যে, তোমরা নোবেল কমিটি শান্তি পুরস্কারটি আগেই বিতর্কিত করে ফেলেছিলে এবার করে দিলে হাস্যরসাত্বক। বল একথা মনুষ্যত্ববিহীন ব্যক্তিই শুধু উপলব্ধি করতে পারবে না।


তুমি আরও বলে দাও যে, সত্যিকার যদি শান্তিতে নোবেলখ্যাত ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশের স্থায়ী কল্যাণ চাইত তবে তিনারা কল্যাণমূখী রাজনীতি চালু করতো(কিছুদিন পর ইউসুস উদ্যোগ নিয়েছিল) ।কেননা তারা তো অরিজিনাল গরীবদুঃখীর বন্ধু। আর সকলেরই জানা যে, অর্থনীতির কল্যাণমূখী বিকাশ সুস্থধারার রাজনৈতিক শক্তির রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের মাধ্যমেই সম্ভব। রাজনীতির মাধ্যমে ভোটের রায় নিয়ে লুটপাট প্রবণ মানসিকতা ত্যাগ করে ক্ষমতার মসনদে বসে কল্যাণমূখী প্রকল্প চালু করলে তবেই স্থায়ী দারিদ্র বিমোচন সম্ভব নয়ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে দূর্নীতি আর আত্মসাতের ক্রীড়ানক করে রেখে এনজিও কার্যক্রমের মাধ্যমে সেবা প্রদান করলে বাংলাদেশের গরীবদুঃখীদের শুধু নাক ভাসিয়েই বেঁচে থাকতে হবে। বল। মূর্খ আর অজ্ঞজনে একথা উপলব্ধি করবে না।

হে কথা কয় যে পাখী তার নামধারী। তুমি ইউনুসের শান্তা নোবেল কে আখ্যায়িত করে দাও যে, এটা হলো পুঁজি সঞ্চয়ের শান্তি পুরস্কার। বল। গরীব দুঃখীকে বিনা আমানতে ঋণ সাহায্য দেবার নামে বলিষ্ঠ ব্যাংকারে পরিনত হওয়ার তৃপ্তি পুরস্কার। স্মরণ কর কোরানে বলা হয়েছে- যারা ধন পূঁজি করে এবং তা গণনা করে এবং মনে করে যে, তাদের ধন চির স্থায়ী হবে, তাদের কে হুতামা নামক দোযখে নিক্ষেপ করা হবে।'

স্মরণ কর, ইউনুস নবীর ঘটনা ! যখন তাকে মাছের পেটে আটকানো হলো, তখন সে আল্লার কাছে ক্ষমা চাইতে লাগলো। একটা সময় পর তাকে মাছের পেট থেকে মুক্তি দেওয়া হলো। কিন্ত তুমি ইউনুস ব্যাংকার সর্ম্পকে বলে দাও যে, সে সুদের পেটে গেঁথে রয়েছে। সে যদি তথা কথিত গ্রামীণ ফান্ড থেকে উদ্বৃত্তের একটা অংশ গ্রামীণ মেম্বারদের নগদ প্রদান করে। তবে মুক্তির ব্যাপারটা বিবেচনাধীন থাকবে। তুলনা কর ব্যাংকার সাহেবের জীবন যাত্রার মান আর ঐ গ্রামীণ মেম্বার আর ঋণ গ্রহণকারীদের জীবমান। ফায়সালা পেয়ে যাবে।

হে কলমওয়ালা ! বল যখন অর্থশালীরা জমানত প্রদানের অছিলায় কম টাকা হার সুদে ঋণ সংস্থা হতে ঋণ লাভ করে আরও অর্থশালী হয়ে উঠছে। তখন নিরন্ন খেটে খাওয়া মানুষকে বিনা আমানতে ক্ষুদ্র ঋণ দেয়ার বাহানাতে সুদ আসল কড়াই কন্ডায় তুলে নেয়া হচ্ছে। সুদ আসল শোধ করতে না পারায় অনেক বনীআদম আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে এবং ঘরবাড়ী ফেলে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে অথচ বড় বড় ঋণ খেলাফিগণ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি হয়ে অর্থ অহংকারের দাপট দেখাচ্ছে তখন কিভাবে উক্ত ব্যক্তিত্ব শান্তির জন্য নোবেল পাই। আসলে শান্তি নোবেল নীল নকশার অংশ বিশেষ। পশ্চিমারা একদিকে রাষ্ট্রিয়ভাবে বাংলাদেশ কে দূর্নীতিতে চাম্পিয়ন খেতাব দান করার পাশাপাশি ব্যাংকার প্রতিষ্ঠানকে শান্তিতে নোবেল দান মানে এনজিও গুলোকে রাষ্ট্রের প্যারালাল সৃষ্টিরই আয়োজন। আর এখানেই ঐ ব্যক্তির বিবেক দগ্ধ হওয়া উচিত এবং তার সুস্থ ধারার কল্যাণমূখী রাজনীতি সূচনা করা আবশ্যক। কারণ দূর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ মানেই দারিদ্র্য বিমোচনে সফলতা। আর দূর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য ইউনুস ব্যাংকারদের সক্রিয় রাজনীতিক ভূমিকা প্রকৃত সমাজ সেবক প্রমাণের জন্য আবশ্যক। বল আল্লা মহান চিন্তাবিদ এবং চিন্তার বাস্ত্মবায়নকারী।
হে আঁধার মুখমন্ডল। তোমাদের তো জানাই আছে যে, নোবেল বিশেষ করে শান্তি আর সাহিত্য পুরস্কার নিয়ে পশ্চিমারা ঘৃণ্য রাজনীতি করে। তার শেষ সংযোজন হলো এবারের শান্তি আর সাহিত্য পুরম্নস্কার। পশ্চিমা শাসকরা ইরাক আর লেবানন ধ্বংশযজ্ঞে সারা বিশ্বের কাছে বিশেষ করে মুসলিম জনসাধারণের কাছে সাম্প্রদায়িক হায়েনা রুপে প্রকট ভাবে ধরা পড়ে গেছে। তাদের হায়েনা রুপটাতে মুখোশ আটতে এবারের দুই মুসলিম দেশের ব্যক্তিত্বের নোবেল পুরম্নস্কার। আসলে এটা গরু মেরে জুতা দান মানে মুসলিম সম্প্রদায়ের ক্ষোভ প্রশমনের একটা দাওয়ায়। তুমি কি খেয়াল করেছ যে, সাহিত্যে নোবেল পেল মিশর। লেবানন যুদ্ধহেতু ক্ষোভ উত্তাল মধ্যপ্রাচ্য সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্তিতে গদগদ হয়ে উঠুক আর তৃতীয়বিশ্বের মুসলিম দেশ শান্তিতে নোবেল পেল এতে গোটা মুসলিম বিশ্বে এই উলস্নাসে ঐ ক্ষোভ অভিমান দুরীভূত হোক এটাই তাদের চালাকি। তুমি আরও বলে দাও- ইউনুস অর্থনীতির লোক তার অর্থনীতিতে নোবেল পাওয়া আবশ্যক ছিল। কিন্ত কমিটি এজন্য দিল না যে, অর্থনীতিতে নোবেল একটি সৃজনশীল পুরস্কার আর একজন মুসলিম বাঙালি বলেই সৃজনশীলতার মূল্যায়ন পেল না। শুধুমাত্র জাতিগত ইগোর দরুন। তবে স্মরণ রাখবে- মাইক্রোক্রেডিট এমন কোন সৃজনশীল উদ্ভাবন হতো না যদি না তোমাদের মত সরকার গুলো দূর্নীতি মুক্ত হওয়ার বাস্তব পদক্ষেপের লড়াই করতো, তাহলে মাইক্রো ক্রেডিট কোন চমক হতো না। বল আল্লা এমন নয় যে বণীআদমের মৌলিক চাহিদা নিবারণের জন্য সম্পদ সৃষ্টি করে রাখেননি আসলে ব্যাপার হলো দূর্নীতিবাজরা রাষ্ট্রিয় বন্টনকে নিজেদের উদরপূর্তির মাধ্যমে গরীব দুঃখীর হক ক্ষতম করে দিচ্ছে। বল এ ভাষণটুকুর অবতারনা করার উদ্দেশ্য হলো- পুরস্কার প্রাপ্তির আত্ম প্রসাদে না ডুবে সৎ যোগ্য হিসাবে এবং মনুষ্যত্ব বিকাশের প্রতিযোগীতায় তোমরা দেশের এলিট শ্রেণীরা লিপ্ত হয়ে যাও। বল। আল্লা মহার্ঘ পুরষ্কার সুখ শান্তি প্রদানের মালিক। তোমরা নেতৃত্ব স্থানীয়রা বিবেক উৎকর্যের অধ্যবসায় কর। জেনে রাখবে পৃথিবীর সব পুরস্কার প্রাপ্তদেরই কঠোর অধ্যাবসায় আছে। অতএব আল্লার তরফ থেকে সুখশান্তির নোবেল পেতে হলে বিবেক উৎকর্ষের অধ্যাবসায় কর। দেখবে দুনিয়ার এক তিল পরিমান সময় কালেই বুকে অনাবিল সুখ শান্তির প্রস্রবন প্রবাহিত হচ্ছে। আর এই ফিলিংস অবৈধ পয়সা কামানো জমানোর ফিলিংস নয়। মহাজাগতিক ফিলিংস !
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৩৩
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!

লিখেছেন মাঈনউদ্দিন মইনুল, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬



এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×