somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

♦লাল-সুবজ♦

২৭ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

লাল-সুবজ পতাকা হৃদয়ে ধারণ করে একাত্তরের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্যদিয়ে ১৬ ডিসেম্বর জন্ম নিয়েছিল বাংলাদেশ।ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছিল এ দেশেরই মানুষ। নয় মাসের যুদ্ধে দেশ স্বাধীন করে আপন অস্তিত্ব, অধিকার, চেতনা ও মূল্যবোধ বিশ্ববাসীর কাছে ছড়িয়ে দিয়েছিল এ দেশই। ৩০ লাখ শহীদের রক্তে রাঙা আর নির্যাতিত ৪ লাখ মা-বোনকে জড়িয়ে রাখা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা আমাদের অর্জন, আমাদের গর্ব, আমাদের অহঙ্কার। এ পতাকার ছায়াতলে আমরা বারবার একত্রিত হই। মিছিল করি পতাকা হাতে। প্রজন্মান্তরে সঁপে দিই এ পতাকা- এ আশ্বাসে যে, নতুন প্রজন্মই সমুন্নত রাখবে আমাদের বিজয়, আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের একাত্তর।
গতকাল ও আমরা স্বাধীনতার সম্মানে বিরল এক গৌরব অর্জন করেছি লক্ষ কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে ! মেশিন কাউন্ট ২৫৪৬৮১ জন অংশ নিয়েছে গতকালকের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনায় ! কতৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী এই সংখ্যা ৩ লক্ষ ছাড়িয়ে যেতে পারে ! সবারই হাতে ছিল কাগজের তৈরী একটা করে লাল - সবুজের পতাকা ! জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার শেষে সবাই ওই পতাকা উঁচু করে নাড়ানোর দৃশ্য সবার হৃদয়ের স্পন্দন নাড়িয়ে দিয়েছে ! অভূতপূর্ব সেই দৃশ্য ! জাতীয় সঙ্গীতের পরে বিভিন্ন শিল্পীদের অংশগ্রহনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল ! কিন্তু গতকাল যাঁরা জাতীয় সঙ্গীত গাইতে একজায়গায় সমবেত হয়েছিলেন সবাই শুধু মাত্র জাতীয় সংগীতের প্রেমেই গিয়েছিলেন !
অন্যকোন শিল্পী বা সঙ্গীত তাঁদেরকে কাছে টানতে পারে নি ! বিশেষ করে একজন শিল্পী যখন অতবড় অনুষ্ঠানে মরার কুকিলে বলে গান গাইতে শুরু করলেন শ্রোতা-দর্শকদের আর ধরে রাখা সম্ভব হয় নি , তথক্ষনে আমিও টিভি বন্ধ করে দিয়েছি ! পরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখতে পেলাম সকাল থেকে হাতে থাকা জাতীয় পতাকা হাতে নেই ! অনেকেই পদদলিত করে জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছেন আর অনেক চেতনাজীবি সেই ছবি যোগাযোগ মাধ্যমে অত্যন্ত গৌরবের সাথে প্রচার করছে ! যারা পতাকা পদদলিত তারা নিশ্চই শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন!
আমার মনেহয় যারা জাতীয় পতাকা পদদলিত করেছেন তারা জাতীয় সঙ্গীতের টানে সেখানে যাননি ! এতবড় আয়োজন তাদের কাছে তামাশা দেখার মত, তারা তামাশা দেখতেই গিয়েছিল ! অথবা গিয়েছিল ৯০ কোটি টাকা খরচ করছে সরকার সেই খবর শুনে , যদি নিজের ভাগে কিছু জোটে !!নাহয় সার্টিফিকেট কাউকে পায়ের নিচে দিতে দেখা গেলনা , কিন্তু জাতীয় পতাকা সবাই পদদলিত করে অনুষ্ঠান ত্যাগ করলো ! তবে জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা কি রইলো ??
আর যাঁরা ফেইস বুক সেলিব্রেটিরা এই জাতীয় পতাকা পদদলিত করার ছবি প্রকাশ , প্রচার করছেন তাঁরা কি করছেন একবার কি ভেবে দেখেছেন ! যারা পতাকা পদদলিত করেছে তারা হয়ত জেনে , বা না জেনে , বা ভুলবসত পতাকা পদদলিত করেছেন ! কিন্তু আপনারা জেনে শুনে সবল মস্তিস্কে লাল সবুজের পতাকা পদদলিত করার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাঘ্যমে প্রচার করে সারা বিশ্বকে দেখার সুযোগ করে দিচ্ছেন ! এটাও একটা অপরাধ এবং এই অপরাধ জাতীয় পতাকা পদদলিত করার চেয়ে কোনো অংশে কম নয় ! এভাবে নিজের গায়ে কাঁদা মেখে নিজের সৌন্দর্য কেউই বৃদ্ধি করতে পারবে না !
আমাদের মনে রাখতে হবে জাতীয় পতাকা শুধু একটি কাপড় নয়, এটি দেশের স্বাধীনতার প্রতীক। তাই পতাকার অবস্থা ব্যবহারযোগ্য না হলে তা মর্যাদাপূর্ণভাবে সমাধিস্থ করতে হবে। জাতীয় পতাকা ব্যবহারের বিধি মেনেই জাতীয় পতাকা ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে ! জাতীয় পতাকা ব্যাবহা বিধি অমান্য করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং কেউ ভঙ্গ করলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
কিন্তু আমাদের দেশে এত এত আইন , আইন নির্মাতারাও ভুলে যান কখন কোন আইন প্রয়োগ করতে হয় ! তাই এত আইনের দেশে অনিয়মই নিয়ম, আইন অমান্য করাই এখন আইন !
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×