somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সপ্নে বাদলও কদম্ফুল

২৭ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



খুব সকাল হালকা আলো পর্দা দিয়ে আসা শুরু করেছে।ঘুমটা এই ভোর বেলায় না ভাঙলে কি ক্ষতি হত??? ঘুম ভাঙার একটা যুক্তিযুক্ত কারন অবশ্য আসে।মেজাজ একটু খারাপ হয়ে গেল।তারপরেও বালিশের নিচে মাথা ঠুকে দিয়ে ঘুমানোর বার্থ চেষ্টা করে যাচ্ছে রবিন।

রবিন মেসে থাকে.মফস্বলের ছেলে ঢাকাতে পড়তে এসে এই মেসে উঠা।মেসে সবকিছুই ভাল শুধু সকালে এর ওর গেস্ট এসে ঘুমটা নষ্ট করে দেয়। যাক খুব ঘুম আসছে রবিনের। মুহূর্তেই রবিন কোথায় যেন হারিয়ে গেল।

-এই রবিন উঠ, আর কত ঘুমাবা।কি বেপার উঠ না, একটা মেয়ের কণ্ঠ শুনতে পেল।
রবিন প্রথমে বিশ্বাস করে নাই এই সকালে এই মেসে কোন মেয়ে আসবে??!!

-আজিব উঠবা না??? খুব পরিচিত গলা।কিন্তু এই পরিচিত গলা তো রবিনের শুনবার কথা ছিল না কখনও।

-শ্নেহা তুমি??? রবিন উঠে বলল।কিন্তু তুমি এখানে কিভাবে?? আর আমি যে এখানে থাকি তুমি যানলাই বা কিভাবে??

-এত প্রশ্ন করলে কোনটার উত্তর দেওয়া উচিত।
-আচ্ছা তুমি একটু বস আমি ফ্রেশ হয়ে আসি।

-আমি কেমন আসি কিছুই আস্ক করলা না??

-করব একটু চোখে পানি দিয়ে আসি।আসলেই তুমি কিনা এখনও বুঝছিনা???!! আর এই সকালে ঘুম ভাঙছে মেজাজটাও একটু তিরিক্ষি আসে।

-আমি আসলেই তোমার মেজাজ তিরিক্ষি না কি জানি হয়?!

-ঝগড়া করতে এসেছ??

-ঝগড়া ছাড়া কি কিছু আর আসে আমাদের???

-ওয়েট আসতেছি
;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;
-হুম বল কি জানি বলতে চাইছিলা।
-আজকের তারিখটা মনে আসে তোমার??
-না
-এই দিন তুমি আমাকে একটা কদম্ফুল দিয়ে প্রপোস করছিলা!!!

-অহ তাই তো।
-কিন্তু ওইটা মনে রাখার মত কিছু কি আর আসে?

-কই আমি তো ভুলি নাই।
-পুরো বছর তুমি তো মনে রাখতেই চাইতা না আর এখন??

-রবিন তুমি কি আমার অবস্থা একবারও চিন্তা করস?? আমি ঠিক কি পার করেছি? আমার শুধু ভুলটাই দেখছ।

-আমি কি চেষ্টা করি নাই বল।সব কিছুই করসি, শুধু মুখে বলতাম না। তুমি হুট করে বিয়ে করে আরেকজনের হয়ে জাবা।সব কিছু মিথ্যা বলে চলে যাবা। আমি আর কিই বা করতে পারতাম।খুব কষ্টে পার হইসে সময় গুলা। যাইহোক ভালই তো আস মনে হয়।

-দেখে কি তাই মনে হচ্ছে?মনে হলেই ভাল।

-তা আমার এখানের ঠিকানা কই পেলা তুমি?

-বলতে পারব না।

-হুম

-আজকে তুমি আর আমি বের হব, রিকশা তে চরে অনেক ঘুরবো। চল রেডি হয়ে নাও!!

-আকাশ কি মেঘলা দেখছ??
-তাতে কি??

-হুম


খুব বৃষ্টি বাহিরে।

রিকশা ড্রাইভার গুলা পুরা নবাব্জাদা হয়ে গেছে।কেউ যাবে না।একটা দুইটা যাবে তাও ভারা ডাবল চায়।

-অই মামা যাবেন, কলাভবন???
-৫০ টাকা
-কলা ভবন ৫০ টাকা কবে থেকে??
-ভাইজান আজকে কি বৃষ্টি দেখসেন???

- তো বৃষ্টিতে কি রাস্তা বড় হয়ে যায় নাকি??

শ্নেহা বললঃ আচ্ছা চলই না, তোমার স্বভাব পালটালও না।

- অকে চল। অই যে আরেকটা রিক্সা । অই মামা ?? কলা ভবন??
কত??

-৬০ টাকা

-ধুর!!!

-কতঁয় যাবেন?

-৩০
- কি কন না কন?
- থাক লাগব না !! ঃ@
- হ চলেন মামা ৪০ টাকা।

তারপর রবিন আর স্নেহা রিকশা তে উঠল।বেশ ভালো বৃষ্টি ।সাথে রাস্তায় জ্যাম। কেউ কুনু কথা বলছে না। হুট করে এক পিচ্চি এসে বলে ভাইয়া ফুল লইবেন ফুল কদমফুল।রবিন ৫ টা কদম্ফুল কিনল। স্নেহা এত খুশি হল তা দেখে রবিন অদ্ভুত একটা আনন্দ পেল।


কলাভবন এসে গেল ওরা,অনেক টাইম লাগল।

- মামা ১০ টাকা বাড়ায়ে দিয়েন??

-কেন?

-জ্যাম দেখসেন???

-৪০ টাকা দিয়ে না পুরায়ে আসলাম?

-আচ্ছা ওই যে মুরুব্বি আসে উনাকে জিজ্ঞাসা করেন এত জ্যাম থাকলে কত ভাড়া হয়??

-মুরুব্বি বলেন তো- পুরা কাহিনি বলল রিক্সাওয়ালা।

হুম ৫০ টাকাই তো ভাড়া হয়- মুরুব্বি আন্সার দেয়।

রবিন ৪০ টাকা বের করে রিক্সা ড্রাইভার কে দিয়ে বলে বাকি ১০ টাকা মুরুব্বি দিবেন, উনার কাছ থেকে নাও!!!

মুরুব্বি তো পুরা অবাক, রিক্সাওয়ালা রে একটু হেল্পাই তে গিয়ে এমন একটা বিব্রতকর অবস্থা তে পড়তে হবে উনি ঠিক বুঝতে পারেন নাই। রিক্সাওয়ালাও একটু অপ্রস্তুত।

স্নেহা ১০ টাকা বের করে দিয়ে দিল।

তুমি একটুকুই চেইঞ্জ হও নাই।।

আসলেই আমি চেইঞ্জ হয় নাই!!!
;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;া;;;;;;;
ঘুমটা এবার আসলেই ভাঙল। বাহিরে আসলেই বৃষ্টি হচ্ছে। স্নেহা এতদিন পর এভাবে সপ্নেই ক্যানও এলে???

তুমি কেমন আছ ??? এটাই তো বল্লা না।

রাতেরআকাশ
০৩০৭২০১৩
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×