somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পারস্পরিক সম্মান বোধ পারস্পরিক সম্মান, বাংলাদেশের সমস্যার সমাধান এবং শান্তি

২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আসসালামু আ:লাইকুম

আসসালামু আ:লাইকুম মানে অাপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক।

একথা যদি বলি যে একটি সমাধান বলুন যা বাংলাদেশের সব সমস্যার সমাধান করে দেবে। সম্ভব? কথা হলো কার কাছে কোনটা সমস্যা। অবস্থা ভেদে এক একজনের সমস্যা এক একরকম। কিন্তু একথা বলে দেয়া যায় যে সবার কাছেই “শান্তি” জীবন যাপনের মূল অর্থ হিসেবে গ্রহণযোগ্য।

পারস্পরিক সম্মান। প্রতিটি নাগরিককে অন্য নাগরিকের প্রতি সম্মান। শুধু এই “সম্মান” এর মাধ্যমেই “শান্তি” সম্ভব। কিভাবে আমরা সেটা করবো?

বাংলাদেশে প্রায় প্রতিটি মুসলমান একে অন্যকে সালাম দিয়ে থাকেন। সালাম দেয়ার এই অভ্যাসটি এতো ব্যাপক যে এমনকি একজন হিন্দু ও তাদের মুসলমান বন্ধুবান্ধবকে অভ্যাসবসে সালাম দিয়ে থাকেন।

তাশাহুদ এ আমরা পড়ি “আস-সালামু আ:লাইনা ওয়া আ:লা এবাদিল্লা হিস সলেহিন” মানে “সকল নেক/মুমিন বান্দাদের উপর শান্তি বর্ষিত করুক”

এর মানে কি?
“সালাম” এর এতো গুরুত্ব কেন ইসলাম এ? প্রতিটি নামাজে ও আমরা তাশাহুদ এ সেই সালাম কেন দেই?

আমাদের জীবনে কি এর ব্যবহার আমরা করবো না? আমাদের চরিত্রে কি আমরা সেটা প্রকাশ করবো না? তার ও আগে আমরা যখন “সালাম” দেই একজনকে তখন তা কি আমি সত্যি সত্যি চিন্তা করবো না মনে মনে যে ওই ব্যাক্তির উপর আল্লাহ শান্তি বর্ষিত করুক?

খেয়াল করুন, একজন মা কখন মনে মনে অথবা প্রকাশে তার সন্তানকে “ভালো থাকার জন্য” বা “শান্তি পাবার জন্য” দোয়া করে থাকেন । কিভাবে একজন মা তার সন্তানের মুখে, মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে তাকে দোয়া করেন এবং কিভাবে সম্পূর্ণ অন্তর দিয়ে তার “ভালো” বা “শান্তি” বা “রহমত” কামনা করে থাকেন। অথচ এই সালাম এর মানে তো তাই।

খেয়াল করুন, আপনি কিভাবে কত আদর করে এবং কতটা আন্তরিকতার সঙ্গে আপনার স্নেহ পরায়ন একজনের জন্য “ভালো” কামনা করেন। অথচ সালাম এর মানে তো তাই। সালাম এর মানে তো সেই অর্থেই ব্যবহৃত হওয়ার কথা।

আমরা কি করছি। কে আমাদের সেই শিক্ষা দেবে? কোন সমাজ, কোন পরিবার আজ আমাদের সেই শিক্ষা দিচ্ছে? চিন্তা করুন “সালাম” দেয়া এবং “সালাম” এর অর্থ বুঝে সেই প্রকাশ বা সেই আচরন করাটাই তো মুসলিম সমাজ হওয়ার কথা ছিলো।

বস্তুত, যেজন সেটা বুজেছে সেজন সেভাবেই তার চরিত্র গড়েছেন বা সেই আচরন চর্চা করেছেন। আমরা যাদের “বুজুর্গ” ব্যক্তি বলি, যাদের চরিত্র রুপকথার মতো মনে হয়, তারাই সেটা বুজেছেন। আর কি আশ্চর্য, তাদেরকে “বুজুর্গ” আখ্যা দিয়ে আমরা ভিন্ন ধরনের ভিন্ন শ্রেণীর মুসলমান হিসেবে বিবেচনা করি । কি হাস্যকর, আমরা কি ভেবে নিয়েছি যে আল্লাহ আমাদেরকে অন্য আর এক ধরনের “মুসলমান” হিসেবে “কবুল” করে নিয়েছেন? সেই “বুজুর্গ” ব্যক্তির হিসাব আলাদা হবে ? আর আমাদের “নিজেদের মতো করে মুসলমান” হওয়া আজকের “মুসলমান”দের বিচার আলাদা হবে? চলুন, ভাবি একবার।

সেই রুপকথার মতো বুজুর্গ ব্যক্তিদের জীবন চরিতই যদি “মুসলমান” চরিত্র হয় এবং তারাই যদি “মুসলমান” হয় তাহলে আমরা কি? “মুসলমান” মানেই তো সেই চরিত্রেরই হওয়া উচিত।
আল্লাহ কি আমাদের আজকের এই “নিজেদের মতো করে মুসলমান” দের “বেহেস্ত” দেবার কোন অঙ্গীকার করেছেন? আপনি কিভাবে নিশ্চিত হচ্ছেন যে আপনি বেহেস্ত যাচ্ছেন? একটু ও কি ভয় লাগছে না?

তাই সবশেষে বলি, যদি আল্লাহকে বিশ্বাস করেন, প্রথমে আসলে তাই নির্ধারণ করুন, আসলে আল্লাহকে কতটুকু বিশ্বাস করেন।

সেই পরিমান নির্ধারণের একটা ইঙ্গিত আমি দিতে পারি, আল্লাহতে পরিপূর্ণ ঈমান মানে প্রতিটি মুসলমান এক একজন সেই “বুজুর্গ”। আর পরিশেষে এটা মনে করিয়ে দেই যে, সেই “বুজুর্গ” ব্যক্তিরা ও কিন্তু এই নিশ্চয়তা নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন নি যে তারা বেহেস্তে যাচ্ছেন।

আসুন, এবার হিসাবটা করার চেষ্টা করতে থাকি।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:০২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫


,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×