চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি শিপ ইয়ার্ডে পরিত্যক্ত জাহাজে কাজ করার সময় দুর্ঘটনায় মারা গেছেন চারজন।
Published : 03 Apr 2014, 06:34 PM
বৃহস্পতিবার দুপুরের পর আরেফিন শিপইয়ার্ডে সংঘটিত দুর্ঘটনায় আহতরা বিকালে নগরীর একটি হাসপাতালে মারা যান বলে পুলিশ জানিয়েছে।
কদম রসুল এলাকার ওই শিপইয়ার্ডে কাটার জন্য আনা এমভি ক্যাপিটেন লি শেনকো নামে একটি জাহাজ থেকে মালামাল সরাচ্ছিলেন শ্রমিকরা।
সীতাকুণ্ড থানার ওসি ইফতেখার হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পরিত্যক্ত জাহাজের মালামাল কিনতে কয়েকজন সেখানে গিয়েছিলেন।
“তখন ওই জাহাজের একটি গ্যাস সিলিন্ডার হালকা বিস্ফোরণ ঘটে খুলে গেলে ছয়জন বিষক্রিয়ায় গুরুতর আহত হন।”
আহত শ্রমিকদের চট্টগ্রামে নিয়ে এ কে খান গেইট এলাকার আল আমিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে চার শ্রমিকের মৃত্যু হয় বলে সীতাকুণ্ড থানার এসআই মোজাম্মেল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
নিহতরা হলেন- মোহাম্মদ ফারুক, জসিম উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন ও মো. আরিফ। এদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। আহত রমজান আলী ও আলী আকবর ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হাসপাতালের এক চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আহতদের একজন গ্যাস বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত এবং অন্যজনের শরীরের কয়েকটি স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে।
হতাহতদের মধ্যে শিপইয়ার্ডের শ্রমিকদের পাশাপাশি মালামাল কিনতে যাওয়া প্রতিষ্ঠানের লোকও রয়েছেন।
দুর্ঘটনা কবলিত ইয়ার্ডের মালিক মো. কামালউদ্দিন বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান কার্যকরী সদস্য ও সাবেক সহ-সভাপতি।
দুর্ঘটনার বিষয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হেফজতুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুর্ঘটনার বিষয়টি জেনেছি। সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে বলে শুনেছি।আমাদের প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে গেছে।”
চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি কবির স্টিল মিল নামে অপর একটি জাহাজ ভাঙা ইয়ার্ডে বিস্ফোরণে চার শ্রমিক দগ্ধ হন।
গতবছরে সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে অন্তত ১০টি দুর্ঘটনা ঘটে, যাতে কমপক্ষে পাঁচজন মারা যায়।
সীতাকুণ্ডে জাহাজভাঙার এই কারখানাগুলোতে অনিরাপদ পরিবেশে শ্রমিকদের কাজ করানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।