somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পৃথিবির আবহাওয়া ও বাংলাদেশ

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আপনার সাথে আমার সংযোগ হোক!

পৃথিবির বর্তমান মানুষগুলোর মনের ভিতরে বাস করা অস্বাভাবিক অবস্থার মতো করে আজ পৃথিবির আবহাওয়াও দারুন বিপর্যয়ের মুখে উপনিত হয়েছে। তা আমরা সবাই কম-বেশী বুঝতে পারছি।

আপনার মনেও হয়তো প্রশ্ন আসছে, “এমন কেনো হলো?” এবং “এই সংকট থেকে বাঁচার উপায় কি?”

আমি বলি, বর্তমান এই আবহাওয়ার মারাত্মক বিপদ জনক পরিস্থিতি থেকে উত্তোরন মোটেই অসম্ভব নয়। মানুষ বুঝে-না বুঝে ভুল করে আবার মানুষই সেই ভুল বুঝতে পেরে শুদ্ধ-মঙ্গলের পথে যেতে পারে।

ধরুন আপনি নিজেকে একজন অনেক উন্নত দেশের নাগরিক হিসেবে ভেবে মজা পাচ্ছেন আবার একই সাথে আমাকে একজন তৃতিয় বিশ্বের অবহেলিত বোকা মানুষ ভেবেও মজা পাচ্ছেন। এই রকম বাজে, অন্যায্য, অহংকারে ভরা চিন্তা চেতনাই আজ এই পৃথিবির দুর্গতির কারন বলে স্পষ্ট মনে করা যায়।

একবারও কি ভেবে দেখেছেন যে, আপনি যে দেশেরই নাগরিক হোন না কেনো আপনার দেশের ভূ-খন্ডের অবস্থান এই ভূ-মন্ডলের বাইড়ে নয় বা আপনি ইচ্ছে করলেও আপনার দেশকে পৃথিবীর বাইড়ে শিফট করার মতো যোগ্যতা রাখেন না। আমাদের বুঝতে হবে পুরো পৃথিবীর আবহাওয়ার জন্য আস্ত পৃথিবীর রিপেয়ার একই সাথে জরুরি। এই কথা সবসময়ই সমান ভাবে সত্য।

বিশ্ব ব্যাংক সহ বিশ্বের কিছু নামজাদা আবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত রিপোর্ট ও ভবিষ্যত বানি আমাদের মনে সবসময়ই ভীতি ধরিয়ে দেয়। ভীত হবার কারনও স্বাভাবিক। তারপরও দেখবেন এসব প্রতিষ্ঠান সমস্যার সমাধানের চেয়ে সমস্যা প্রচার করতে বেশি উৎসাহ বোধ করেন। আমার প্রশ্ন তারা যে সব সমস্যাগুলো খুঁজে বেড় করে তার প্রকৃত ভিত্তি কি আদৌ ঠিক অথবা তারা কি সমাধান খুঁজে পাচ্ছেন না? এখন কথা হলো আপনি যদি সমস্যাগুলোকেই ঠিক মতো আইডেনটিফাই করতে না পারেন তাহলে সমাধানের পথে এগোবেন কি করে?

যাই হোক, পৃথিবীর আবহাওয়া ও জলবায়ু বর্তমানে যে অবস্থায় আছে তাতে ঘাবরাবার মতো তেমন কোনো কারণ আমি দেখি না। আপনার অন্তর থেকেই অনুভব করতে হবে যে, আমরা এই কঠিন পরিস্থিতি খুব সহযেই মোকাবেলা ও সংস্কার পূর্বক সমাধানের পথে যেতে পারি। পুরো পৃথিবির জলবায়ুকে আমরা স্বাভাবিক অবস্থায় রাখতে পারি। এজন্য আমাদের যে সব করনিয় তা আমি আপনাদের বলে দেবো। বাংলার মানুষ মোটেও ভয় পাবেন না। ঐ সব ভুলে ভরা রিপোর্ট ছুড়ে ফেলে দিন। আসিফ যখন আত্মপ্রকাশ করেছেই তখন কোনো বাঙালী ভয় পাবেন না। শুধু আমার উপর বিশ্বাস রেখে কাজ করুন।

শুধু বাঙালী কেনো পুরো বিশ্বের সকল মানুষ আমার উপর আস্থা, ভক্তি ও বিশ্বাস রাখুন। খুব দ্রুত আমরা আমাদের এই জলবায়ুর পরিবর্তন বিষয়ক ঝামেলা থেকে মুক্ত হতে যাচ্ছি।

আমাদের উপমহাদেশ অনেক বেশি বৈশম্যের স্বীকার তা পুরো বিশ্ব ভালো করেই জানেন। আমাদের উপর বিদেশীরা শাসন করতে গিয়ে শুধু আমাদেরই ক্ষতি করেন নি সেই সাথে আজ চোখ খুলে তাকালে দেখবেন পুরো পৃথিবীর সব রাষ্ট্রেরই ক্ষতি হয়ে গেছে।

এই বাংলাদেশ (এখানে বাংলাদেশ বলতে সকল বাংলা ভাষায় কথা বলা মানুষদের ভূখন্ডকে একসাথে বোঝানো হয়েছে) পুরো পৃথিবীর আচঁল স্বরূপ। বাংলা হলো পৃথিবীর স্বর্গ। বাংলার নিরিহ মানুষকে শাসন জালে বাঁধতে গিয়ে বাংলার প্রকৃতির উপরও ভিষন বাজে অন্যায় আচরন করা হয়েছে। এখন মনে রাখতে হবে এই বাংলার প্রকৃতির ভারসম্য রক্ষা শুধু বাংলাদেশ এর জন্যই জরুরী এমন ভাবনা পুরোপুরি ভুল। বাংলাদেশের আবহাওয়ার উপর বাজে প্রভাব সারা পৃথিবীর আবহাওয়ার ভারসম্যে দারুন বড় আঘাত হিসেবে ধরে নেয়া যায়।

পৃথিবির প্রতিটি মানুষের কথা ভেবে হলেও আজ আমাদের বাংলাদেশের প্রকৃতির উপর অনেক কাজ করতে হবে। পুরো বিশ্বের আবহাওয়ার বিনষ্ট শান্তি আজ রক্ষা করতে হলে বাংলাদেশের প্রকৃতি রিপেয়ার করার কোনো প্রকার বিকল্প এই মুহুর্তে নাই।

যারা আবহাওয়া নিয়ে গবেষনা করেন তারা আমার সাথে এই মুহুর্তে একমত হতে না পারলেও অসুবিধা নাই। বিশ্বের সব আবহাওয়া বিদদের আমি বলছি আপনারা যদি আর একটু ভালো করে যাচাই করতে শেখেন তাহলে আমার সাথে অবশ্যই আপনাদের একমত হওয়া ছাড়া উপায় নাই। এ পরম সত্য কথা।

আপনি যদি আপনার নিজ মনের উপলব্ধি দ্বারা একটু সামান্য ভেবে দেখেন তাহলে বুঝতে অসুবিধা হবে না যে, আজকের এই প্রকৃতিক বিপর্যয়ের ভয়ংকর আভাস যতটা না প্রকৃতিক কারনে হয়েছে বলে মনে করে থাকেন, আসলে ব্যাপারটা কিন্তু এমন নয়। উপনেবিশ শাসন, একটি রাজ্য-রাষ্ট্রের জোড় পূর্বক অন্য ভূখন্ডের উপর জোড় জবরদস্তি পূর্বক শাসন করার জন্য ও পৃথিবির কিছু কিছু ভুখন্ড কে ছোটলোক মানুষের আবাসস্থল ভেবে চাপিয়ে রাখার জন্য জলবায়ু-আবহাওয়ার এই ভয়ঙ্কর অবস্থা হয়েছে।

পৃথিবির কিছু মানব সম্প্রদায় আজ নিজেদের প্রযুক্তির বলে অনেক বেশি বলিয়ান ভাবছে। মানব সম্প্রদায় পৃথিবির বয়স নির্নয় করে ও সভ্যতার ভিত্তিতে অনেক গুলো যুগে ভাগও করেছে। এখন দেখুন এই যে যুগ ভাগ করে আজ মানুষ পৃথিবীকে আধুনিক ভেবে চলেছে ঠিকই। কিন্তু আপনি যদি আপনার মন থেকে বিচার করে প্রশ্ন করে দেখেন প্রাচিন কাল আর আজকের এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রিয় ব্যাবস্থায় কতটুকু পরিবর্তন আপনারা ঘটাতে পেরেছেন? আদি আমলে পৃথিবির টোটাল ভুখন্ডকে রাজাদের শাসন এরিয়া হিসেবে ছোট ছোট ভুখন্ডে ভাগ করা হয়েছিল। আজও রাষ্ট্র নামক ব্যবস্থায় একই জিনিস ভিন্ন ফ্লেবারে পরিবেশিত হচ্ছে। আমরা কিন্তু কখনও বুঝে নেবার চেষ্টা করে দেখি নি যে, সমস্ত পৃথিবীর ভুখন্ড কিন্তু এক। আমি মানি রাস্ট্রিয় ব্যবস্থার দরকার ছিল এবং আজও আছে যা শুধু মাত্র মানুষ এর সৃঙ্খলা, সুখ, সাচ্ছন্দ, কালচার ও আইনি প্রক্রিয়া দ্বারা মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার সুবিধা করার জন্য। তার মানে এই নয় কোনো একক রাষ্ট্রিয় ভুখন্ডের আবহাওয়া সম্পূর্ণ স্বাধীন। আলাদা ভুখন্ডের একটি রাষ্ট্র স্বাধিন বলে ধরা যেতে পারে কিন্তু কোনো ভাবেই কোনো অঞ্চলের আবহাওয়ার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে পুরো পৃথিবীর আবহাওয়া স্বাভাবিক রাখার চিন্তা বোকামি ব্যাতিত অন্য কিছু না।

পৃথিবির আবহাওয়া, জলবায়ুর স্বাভাবিক আচরন ও দুর্যোগ থেকে পরিত্রানের জন্য পুরো পৃথিবির আবহাওয়া ব্যাবস্থাপনা সিস্টেম কে একসাথে বিবেচনা করা ছাড়া উপায় নাই। একই নদী একাধিক দেশে প্রবাহিত। একই সাগর, মহাসাগরের তিরে একাধিক দেশ অবস্থিত। রাস্ট্রিয় সিমানা ভাগ করা থাকলে থাক কিন্তু আবহাওয়া ব্যবস্থাপনা করতে হবে সব দেশের এক হয়ে এবং একটি আবহাওয়া দপ্তর এর অধিনে।

আমি বলতে চাচ্ছি পৃথিবীর আবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়ন্ত্রন বা স্বাভাবিক রাখার জন্য সেন্ট্রাল ভাবে আবহাওয়া দপ্তর পরিচালিত হবে। যে সকল রাস্ট্রিয় আবহাওয়া অফিস আছে তা সব ঐ সেন্ট্রাল অফিস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। এখানে কোনো প্রকার নির্দিষ্ট রাষ্ট্রিয় সীমানা বা নির্দিষ্ট জাতি গোষ্টির দিকে তাকালে চলবে না। যেহেতু একটি রাষ্ট্র বা মানুষ কখনই দুর্যোগ নিয়ে আসার যোগ্যতা রাখে না। আবার আপনি যদি দুর্যোগের পুরো দ্বায় সৃষ্ট্রিকর্তার উপর চাপিয়ে দেন তাও অন্যায্য। কারণ সৃষ্ট্রিকর্তা আপনাকে মেধা দিয়েছেন এবং প্রকৃতির মধ্য থেকেই সমাধান দিয়ে দিয়েছেন। আমি আগেও আলোচনা করেছিলাম যে, পৃথিবীর আবহাওয়ার পূর্বাভাশ পদ্ধতি মোটেও আধুনিক নয়। এর প্রমান আপনারা নিয়মিত দেখে চলেছেন। পৃথিবিতে যেভাবে আবহাওয়ার পূর্বাভাষ দেয়া হয় তার পুরোটাই হলো ডাটাবেইজ, কেস স্টাডি ও পূর্ব অনুমান নির্ভর। তাই একটু এদিক সেদিক হবার মতো দুর্যোগ আমরা বুঝতে পারি না বলে এতো বেশি ক্ষয় ক্ষতি হচ্ছে।

আমাদের মধ্যে বদ্ধমুল ধারনা তৈরি হয়েছে গরিব দেশের আবহাওয়ার পূর্বাভাশ পদ্ধতি খারাপ আর ধনি দেশের আবহাওয়ার পূর্বাভাশ পদ্ধতি উন্নত। এখন ভেবে দেখুন বন্ধু! তাই বলে কি কথিত উন্নত দেশ গুলো কি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পেরেছে? অবশ্যই না।

আমরা জেনে এসেছি বাংলাদেশ ঘুর্নিঝড় ও বন্যা প্রবনিত এরিয়া। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ও স্বাভাবিক জ্ঞান প্রদান করার মাধ্যমে এই ম্যাসেজটি আমাদের মনে গেঁথে গেছে। আসলে কি তাই?

সত্যি যদি এমন হয় তাহলে মনে রাখবেন প্রকৃতি সবসময়, সবস্থানেই সচ্ছ্বল। বাংলার আবহাওয়া পৃথিবির সব স্থানের থেকে অনেক বেশি বৈচিত্রময় সুন্দর। বাংলা অবশ্যই জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ এর উর্দ্ধে নয়। তাই বলে আমাদের হাত গুটিয়ে বসে থাকলে হবে না। আমি আবারও বলছি বাংলার প্রকৃতির স্বাভাবিক ও শক্ত বলয়ের উপর বাকি পৃথিবির স্বাভাবিক অবস্থা নির্ভরশীল।

স্বাভাবিক আবহাওয়ার ক্ষেত্রে তাপ, চাপ, বায়ু প্রবাহ পানি প্রবাহ ও বৃক্ষের আধিক্য অনেক বেশি জরুরী। বৃক্ষ অস্বাভাবিক ভাবে বায়ু প্রবাহকে স্বাভাবিক করতে পারে। বাংলার গাছ বাড়লে ঘুর্নিঝড় এর ক্ষতি অনেক বেশি কমবে। বিশ্বের উষ্ণতা স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে যাবার জন্যও বাংলার বৃক্ষ অনেক বেশি জরুরী। একটি গাছ অনেক পরিমান তাপ শোষন করে নিয়ে প্রকৃতিকে স্বাভাবিক রাখতে পারে। এমনকি মাটির নিচে যে সব খনিজ উপাদান আছে তাও বৃক্ষ স্বাভাবিক পরিমানে রাখার জন্য সর্বোচ্চ সেবা করতে পারে। মানব সৃষ্ট ভুলের জন্য আজ মাটিতে যে সব ক্ষতিকর রাসায়নিক জমে আছে সে সব দুর করার জন্যও গাছের কোনো প্রকার বিকল্প নাই। বাংলায় প্রচুর গাছ রাখা সবসময় দরকার।

এই ভুলে ভরা রাজনিতি ও উপনিবেশ শাসন স্থাপন-রক্ষা করার জন্য আজ নদির পানিও হিসেব নিকেশ ও চুক্ত করে বন্টন করা হয়। একটি নদী বা নদীর অংশ বিশেষ কখনও একটি রাষ্ট্রের পলিটিক্সের হাতিয়ার হতে পারে না। নদী মানুষ সৃষ্ট্রি করে নি। নদী মানুষ আবিষ্কার করে নি। নদীর কোনো প্যাটেন্ট নাই। তাই একটি নদী যে দেশেরই সম্পদ হোক না কেনো পৃথিবীর সকল মানব সম্প্রদায়ের জন্যই ঐ নদী নয়নাভিরাম ভাবে উপভোগ করার অধিকার আছে।
বাংলার নদীগুলোর উপর অনেক বেশি অত্যাচার কার হয়েছে ও হচ্ছে। আজ আমরা নিজেদের মুসলমান দাবি করছি। আমরা ভুলে গেছি যে এয়াজিদ হোসাইন কে নদীর পানি থেকে বঞ্চিত করে- ইতিহাসের এক নির্মম ইতিহাসের জন্ম দিয়েছে। সেই ইতিহাস গড়েছিলো শুধু নদীকে অবরুদ্ধ করে আর বাংলার নদীর পানি আটকে আরো বড় অপরাধ ও নির্মম পরিস্থিতির দিকে আমরা এগোচ্ছিলাম। এখনও সময় আছে।

আমরা শুধমাত্র বাংলার পানির ন্যায্য হিস্যার মধ্যে এখন আর সিমাবদ্ধ নই। আমরা চাই পৃথিবির সব নদি হোক বাধা মুক্ত। পৃথিবির সর্বখানে গাছের আধিক্য থাক।

আমাদের নদীকে স্বাভাবিক না করতে পারলে বৃক্ষরাজির স্বাভাবিকতা আশা করতে পারি না। মনে রাখবেন, বাংলাদেশ মিষ্টি পানির দেশ। বাংলাদেশ অন্য অনেক দেশকে সুপেয় পানি দিয়েও সাহায্য করার যোগ্যতা রাখে। আমাদের নদী স্বাভাবিক না থাকলে অত্র অঞ্চলেই এক সময় খাবার পানির সংকট অনেক বেশি তিব্র আকার ধারন করবে। আমাদের বুঝতে হবে প্রকৃতি সব সময় স্বাভাবিকতা পছন্দ করে। প্রকৃতি একটি সিস্টেম। একটি পূর্নাঙ্গ সিস্টেমের সব ইউনিটই গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশের ছোট শাখা নদী ও খাল গুলোকে পরিকল্পিত ভাবে মার্ডার করা হয়েছে। দির্ঘ প্রস্তের কোনো খালের ভিতর এতো ছোট আকারের কালভার্ট দেয়া হয়েছে যে, এর ফলে পুরো খালটিই মৃত খাল হয়ে গেছে। প্রতিটি খালে জোয়ার ভাটা স্বাভাবিক রাখতে হবে। জোয়ার ভাটা ঠিক থাকলে যত বড় বন্যাই আসুক না কেনো, সেই বন্যা সুনামি খুব বেশি ক্ষতি করতে পারে না। বাংলার গবাদি পশুর সংখ্যা কমে গেছে। আমাদের স্বাভাবিক জীবন ধারনের জন্য গবাদি পশু অনেক বেশি গুরুত্ব পূর্ন।

আপনার হৃদয় থেকে অনুভব করে দেখুন পৃথিবির প্রতিটি অঞ্চলের সাথে প্রতিটি অঞ্চলের প্রকৃতির খুব স্পষ্ট একটি লিংক আছে। তাই এই সভ্যতার যুগে আমাদের মিছে মিছে ভুখন্ডের বড়াই না করে বরং মানুষকে স্বাভাবিক করার জন্য পুরো পৃথিবীকে একটি বড় একক রাষ্ট্রিয় সিস্টেমে চালানো জরুরী হয়ে পড়েছে। এর মধ্যেই সব সমস্যার সমাধান সুনিশ্চিত করা সম্ভব।

ভুখন্ডে-ভুখন্ডে, ধর্মে-ধর্মে, জাতিতে-জাতিতে, মানুষে-মানুষে অনেক দিন তো রেশারেশি করে দেখলাম। আর কতদিন মানবজাতি এমন ভুল করবে বলুন? এরচেয়ে বরং আজ আপনি আপনার নিজের মনের প্রেম দিয়ে পুরো বিশ্বকে অনুভব করে দেখুন, দেখবেন আপনি আমি এক। তাহলে আমরা কেনো এমন করবো বলুন? আমরা চাই প্রতিটি মানুষের স্বাধীন মধুর প্রেম ভরা শান্তি ও মুক্তি।

আসুন আজ থেকে মন থেকে প্রতিজ্ঞা করি আর কখনও অসুন্দরের পথে হাটবো না। আর কখনও অন্যায় ও অন্যায্য আচরন করবো না। আর কখনও মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করবো না। আর কখনও অত্যাচার করবো না। আর কখনও মানুষের উপর বিশ্বাস হারাবো না। আর কখনও নিজের কুৎসিত মায়ার কাছে নিজেকে জিম্মি করে অন্য মানুষকে কষ্ট দেবো না।

{বিঃদ্রঃ বাংলাদেশ পৃথিবির স্বর্গ তাতে বিন্দু পরিমান সন্দেহ নাই। তাই বাংলাদেশ কে কিভাবে সত্যিকারের স্বর্গ হিসেবে গড়ে তোলা যায় তা নিয়ে আমার অনেক কিছু বলার ও করার আছে। সবকিছু স্বাভাবিক থাকুক আর নাইবা থাকুক আসিফ যখন আত্মপ্রকাশ করেছেই তখন বাংলার স্বপ্ন অবশ্যই পূরণ হবে। আপনারা শুধু আমাকে সহযোগিতা করে যান।}


১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিস অস্বীকার করে রাসূলের (সা.) আনুগত্য সম্ভব

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

সততা হলে প্রতারণার ফাঁদ হতে পারে

লিখেছেন মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম নাদিম, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৯

বিষয়টি আমার ভালো লেগেছে। ক্রেতাদের মনে যে প্রশ্নগুলো থাকা উচিত:

(১) ওজন মাপার যন্ত্র কী ঠিক আছে?
(২) মিষ্টির মান কেমন?
(৩) মিষ্টি পূর্বের দামের সাথে এখনের দামের পার্থক্য কত?
(৪) এই দোকানে এতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পোষ্ট যদি ক্রমাগতভাবে ০, কিংবা ২/১'টি মন্তব্য পেতে থাকে, বুঝবেন যে, সোনাগাজী সেমি-ব্যানে আছে!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



আপনার পোষ্ট যদি ক্রমাগতভাবে ০ কিংবা ১'টি মন্তব্য পেতে থাকে, তখন খোঁজ নিলে দেখবেন যে, সোনাগাজী সেমি-ব্যানে আছে!

কোন বিষয়ের উপর অনেক মানসম্পন্ন পোষ্ট লিখলেও সামুতে আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×